Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Neena Gupta: শৈশবে বারংবার যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, আত্মজীবনীতে বিস্ফোরক নীনা

চিকিৎসক থেকে দর্জি, নীনার শৈশব কলুষিত হয়েছে সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষের লোলুপ দৃষ্টিতে।

Neena Gupta: শৈশবে বারংবার যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, আত্মজীবনীতে বিস্ফোরক নীনা
নীনা গুপ্তা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 18, 2021 | 9:38 AM

ছোটবেলা ছিল এক বিভীষিকাময় অধ্যায়। এক বার নয়, বারংবার যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে অভিনেত্রী নীনা গুপ্তকে। আত্মজীবনীতে বিস্ফোরক তিনি। নীনা লিখেছেন, এই সব নির্যাতনের কথা অন্য কাউকে তো দূর অস্ত নিজের মা’কেও মুখ ফুটে বলতে পারেননি তিনি। কিন্তু কেন?

চিকিৎসক থেকে দর্জি, নীনার শৈশব কলুষিত হয়েছে সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষের লোলুপ দৃষ্টিতে। নীনার লেখা থেকে জানা যাচ্ছে চোখের ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন দাদার সঙ্গে। দাদাকে বাইরে বসতে বলে সেই চিকিৎসক নীনাকে ভেতরে ডেকে নিয়ে যান। তাঁর লেখায়, “চোখ পরীক্ষা করতে শুরু করে সে প্রথমে। এরপর এমন সব জায়গায় পরীক্ষানিরীক্ষা চালাতে থাকে যার সঙ্গে চোখের কোনও সম্পর্ক নেই। আমি জড় পদার্থের মতো বসে ছিলাম। বাড়ি ফিরে এক কোনায় বসে কেঁদেছিলাম।” মা’কে বলতে না পারার কারণ হিসেবে নীনা বলেন, “মনে হয়েছিল মা বলবে দোষ আমার। আমি হয়তো এমন কিছু করেছি যে কারণে সেই ব্যক্তি এমন কাজ করার সাহস পেয়েছে। একবার নয়, বহুবার বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে এমন অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাকে।”

নীনা জানাচ্ছেন, শুধু চিকিৎসকই নন, দর্জিও তাঁর জামার মাপ নিতে গিয়ে অভব্যতা করেছিলেন তাঁর সঙ্গে। একি ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল ১৬ বছর বয়সে। তবে এবার দর্জি নয়, তাঁর নিজের দাদার বন্ধু, যার সদ্য বিয়ে হয়েছিল। নীনা লিখছেন, কলেজে ওঠার পর তিনি বুঝতে পারেন, তিনি একা নন, সমবয়সী অনেক বন্ধুই ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এমন নানা ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু বাবা-মা’কে মুখ ফুটে বলার সাহস পাননি কেউই। বর্তমানে ছোট ছোট বাচ্চাদের যে ভাবে ‘গুড টাচ’ ও ‘ব্যাড টাচ’-এর সংজ্ঞা সেখান বাবা-মা তাঁদের সময়ে এমনটা ছিল না বলেই এমন সব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে বলে মনে করেন নীনা গুপ্তা।

ঠোঁটকাটা। বলিউড ইন্ডাস্ট্রি এ ভাবেই চেনে নীনা গুপ্তাকে। নিজের শর্তে জীবন বেঁচেছেন। কেরিয়ারের স্ট্রাগল, একা মায়ের লড়াই- কাউকে পাশে পাননি। ফলে মুখের উপর কথা বলতে তাঁর বাধে না। ক্রিকেটার ভিভিয়ান রিচার্ডসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। তাঁরা বিয়ে করেননি।

৮০-র দশকে ভিভ, নীনার প্রেম, সম্পর্ক নিয়ে উত্তাল ছিল ফিল্ম এবং ক্রিকেট মহল। তাঁরা সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। একে অপরকে ভালবেসেছিলেন। তাঁদের সন্তান মাসাবা। কিন্তু কখনও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হননি ভিভ-নীনা। ভিভ পরে বিয়ে করেছিলেন মিরিয়মকে। অন্যদিকে পেশায় চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট বিবেক মেহেরাকে বিয়ে করেন নীনা।