কালিম্পংয়ের ডেলো। এই জায়গায় নাম বিভিন্ন সূত্রে হয়তো আপনি শুনেছেন। সেখানকার এক ব্রিটিশ ট্যুরিস্ট লজে এ বার রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। সৌজন্যে নতুন ওয়েব সিরিজ ‘কালিম্পং ক্রাইমস’। ওয়েব স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘ক্লিক’-এ আগমী ৬ অগস্ট থেকে যা দেখতে পাবেন দর্শক।
হিরোইন, প্রোডিউসারস, হিরো, সিনেম্যাটোগ্রাফার, পরিচালক, ম্যানেজার, ভিলেন, চিত্রনাট্যকার সকলেই অনস্ক্রিন। অর্থাৎ ছবির মধ্যে ছবি। শুটিংয়ের গল্প ফ্রেমবন্দি হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যু, পুলিশের তদন্ত, তাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় গল্প।
কালিম্পংয়ের পাহাড়, তিস্তা নদীর ল্যান্ডস্কেপে শুটিং করেছেন পরিচালক তপন সাহা। গল্প এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন অমিতাভ ভট্টাচার্য। মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন দেবলীনা দত্ত, সৃজনী মিত্র, অর্জুন চক্রবর্তী প্রমুখ।
এক চিকিৎসককে দিয়ে গল্পের শুরু। যাঁর পুরনো অস্ত্র সংগ্রহের শখ রয়েছে। নায়ক রাহুল ছবির দুই অভিনেত্রীর সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ হয়। প্রযোজক দয়াল এবং সায়রা নামে একজন অভিনেত্রীর মধ্যেও কুৎসিত বিবাদ শুরুর আভাস পাবেন দর্শক, যেখানে প্রযোজক তার উপর যৌন নির্যাতন করতে উদ্যত হন। এরপরেই দুই নায়িকা, মল্লিকা এবং সায়রা একে অপরকে হুমকি দিতে থাকেন। তাদের দুজনের প্রেম বা ঘৃণার ব্যাক্তি কি এক? সেই রাতেই সায়রা এক ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হয়। ঘটে যায় তার অস্বাভাবিক মৃত্যু। যদিও স্থানীয় পুলিশ প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনাটিকে একটি আত্মহত্যার মামলা হিসাবে তুলে ধরে। হঠাৎ করেই ঘটনাস্থলে, নীহারিকা সেন নামে একজন গোয়েন্দার আবির্ভাব হয়। তিনি এই হত্যা মামলার তদন্ত শুরু করেন। গল্পে প্রবেশ ঘটে একজন প্রখর বুদ্ধিসম্পন্না মহিলা সিআইডি অফিসার সায়নী ব্রহ্মের। যিনি পুনরায় এই পরিকল্পিত অপরাধের তদন্ত শুরু করেন। ক্রমে এই মহিলা অফিসার বুঝতে পারেন যে আসলে নীহারিকা একজন ভুয়ো গোয়েন্দা। আর এই তথ্য সামনে আসার পর গল্পটি ষড়যন্ত্রের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যায়। কিন্তু অভিনেত্রী সায়রার বীভৎস হত্যার তদন্তের জন্য নীহারিকার আসল পরিচয় লুকোনোর উদ্দেশ্য কি? এই মহিলা কি আদৌ একজন গোয়েন্দা? সব প্রশ্নের উত্তরের জন্য আর কয়েকটা দিনের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন, রাজকে ছাড়া মেয়ের জন্মদিন, দেখুন মন্দিরার শেয়ার করা ছবি