
এখন গোটা দেশ মেনে নিতে পারছে না, গায়ক জুবিন গর্গের আকস্মিক মৃত্যু। কীভাবে স্কুবা করতে গিয়ে একজনের মৃত্যু ঘটে, তা নিয়েও রহস্য দানা বেঁধেছে। বিদেশের মাটিতে ভূমিপুত্রের এহেন প্রয়াণে অনেকেই ষড়যন্ত্রের আঁচ পাচ্ছেন! এমনকী, এই আঁচের ভিত্তিতেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। বৃহস্পতিবারই গ্রেফতার করা হয়েছে জুবিনের টিমের ড্রামার শেখরজ্যোতি গোস্বামীকে। নজরে রয়েছেন গায়কের আপ্ত সহায়ক সিদ্ধার্থ শর্মাও। জানা গিয়েছে, জুবিনের মৃত্যুর তদন্তে আরও কয়েকজনকে সমন পাঠানো হয়েছে।
ঠিক এই সময়ই সোশাল মিডিয়ায় সরব হলেন গায়ক পাপন। জুবিনের সঙ্গে তাঁর দারুণ বন্ধুত্ব ছিল। সেই বন্ধুত্বকে সঙ্গে নিয়েই অসম সরকারের কাছে বিশেষ আর্জি করলেন পাপন।
পাপন লিখলেন, ‘তোমাকে খুব মিস করছি ভাই। যেখানেই থাকো, ভালো থাকো।’ সেখানেই অসম সরকারের কাছে দ্রুত তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন জুবিনের বন্ধু-গায়ক পাপন। পোস্টে উল্লেখ, ‘দ্রুত তদন্তের অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা যেসব উত্তরগুলো খুঁজছি, সেগুলো যেন তাড়াতাড়ি পাই।’
তিন বছর বয়স থেকেই সঙ্গীতের প্রশিক্ষণ শুরু করেন জুবিন। মায়ের কাছেই তাঁর প্রথম গান শেখা। পরে ১৯৯২ সালে পেশাগতভাবে গান গাওয়া শুরু করেন তিনি। অহমিয়া সিনেমার পাশাপাশি বাংলা সিনেমাতেও প্রচুর গান গেয়েছেন জুবিন। সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘মন মানে না’, ‘পিয়া রে’ তাঁর জনপ্রিয় গান। বলিউডে প্রীতমের হাত ধরে ‘গ্যাংস্টার’ ছবির ‘ইয়া আলি’ গান হইচই ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশে। বহুবার নানা কারণে বিতর্কেও জড়িয়েছেন জুবিন। নেশাগ্রস্ত হয়ে মঞ্চে গান গাওয়ার কারণে বহুবার বিপাকেও পড়েছিলেন গায়ক। দারুণ শিল্পী হয়েও অনেকেই মনে করতেন জুবিনের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন তাঁকে ঠেলে দিচ্ছিল অন্ধকারে।