
সালটা ১৯৫৪। যৌবনে পা দিয়েই মা-বাবার কথায় গ্রামের মেয়ে প্রকাশ কৌরকে বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। কখনও বলিউডের নায়ক হয়ে ওঠেননি তিনি। সেই স্ত্রীকে ছেড়েই মুম্বইয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। অভিনেতা হয়ে ওঠার কঠিন লড়াই, স্ট্রাগলে প্রথম স্ত্রী প্রকাশকে সব সময়ই পাশে পেয়েছিলেন অভিনেতা। আর সেই কারণেই হয়তো হেমা মালিনীর সঙ্গে প্রেম ও বিয়ের পরও প্রকাশকে ডিভোর্স দেননি। বরং হেমা নয়, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত প্রকাশের সঙ্গেই থাকতেন ধরমজি।
হেমা ও ধর্মেন্দ্রের প্রেমের বিষয়টি কখনই মেনে নেননি প্রকাশ। এমনকী, প্রকাশ্যে কিছু না বললেও, প্রকাশ যে স্বামীর প্রেমিকা হেমাকে খুব একটা পছন্দ করতেন না তা বুঝিয়ে দিতেন। শোনা যায়, যেদিন হেমাকে বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র। সেদিন থেকেই প্রকাশ ঠিক করে ফেলেছিলেন বাড়ির বাইরে আর বের হবেন না। এমনকী, ধরমজিকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, হেমা যেন তাঁর বাড়িতে পা না দেয়। প্রকাশের সমস্ত নির্দেশ শেষদিন পর্যন্ত মেনে চলেছেন ধর্মেন্দ্র।
ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণে বেশ কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে হেমার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে বলেছিলেন, ”আমি যদি হেমার জায়গায় থাকতাম, তাহলে হেমা যা করেছে, তা কোনও দিনই করতাম না। একজন নারী হিসেবে আমি হেমার অনুভূতি বুঝতে পারি। কিন্তু আমি ধর্মেন্দ্র স্ত্রী ও সন্তানের মা হয়ে এই সম্পর্ক কী ভাবে মেনে নেব! কোনও দিনই হেমাকে মানতে পারব না তাই।”
১৯৮০ সালে ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে করেন হেমা। তাঁদের দুই কন্য়া এষা ও অহনা।