এত বছর ধরে গড়া সম্পর্কের ইতি, প্রিয়াঙ্কার স্বপ্নে পোঁতা হল শেষ পেরেক!

Jun 20, 2024 | 8:02 PM

Priyanka Chopra: সোনাকে নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। প্রিয়াঙ্কা যখন প্রথম ওই রেস্তরাঁ খোলেন তখন তা নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। কারণ একটাই, রেস্তরাঁটির আকাশচুম্বী দাম। একটি সিঙাড়ার দাম ভারতীয় মুদ্রায় ১০০০ টাকা শুনে চোখ কপালে উঠেছিল অনেকেরই।

এত বছর ধরে গড়া সম্পর্কের ইতি, প্রিয়াঙ্কার স্বপ্নে পোঁতা হল শেষ পেরেক!
শুধু প্রিয়াঙ্কাই নন, নিকও জড়িয়েছিলেন এই স্বপ্নের সঙ্গে!

Follow Us

এত বছর ধরে একটা স্বপ্নকে লালন করেছিলেন তিনি। ২০২১-এ তখন ভরা লকডাউন। সেই সময়ও নতুন ভাবে শুরু করেছিলেন একটা জার্নি। গত বছর সেই জার্নির ‘দি এন্ড’ করেছিলেন তিনি নিজেই। এবার স্বপ্নেও পুঁতল শেষ পেরেক। কথা হচ্ছে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও তাঁর সাধের সোনার।

বিদেশের মাটিতে নিউ ইয়র্কে প্রিয়াঙ্কা শুরু করেছিলেন তাঁর সাধের রেস্তরাঁ সোনা। ভদকা দিয়ে ফুচকা থেকে শুরু করে সিঙ্গারা মিলত সব ভারতীয় খাবারই। গত বছর সেই ব্যবসা থেকে সরে আসেন প্রিয়াঙ্কা। তবে টিমটিম করে চলছিল রেস্তরাঁটি। এবার বড় খবর। ঝাঁপ বন্ধ হচ্ছে ‘সোনার’। সারাজীবনের জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তা। কারণ কী? এ দিন সোনার অফিসিয়াল ইনস্টা পেজ থেকে ঘোষণা করা হয়, “তিনি বছরের সুন্দর যাত্রার পর অবশেষ সোনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আপনাদের সকলকে এতদিন পরিসেবা দিয়ে আমরা খুব খুশি। আমাদের টিমও যারা এতদিন আপনাদের ভালবাসা দিয়ে গিয়েছে তাঁদের সকলকে অনেক ধন্যবাদ। আগামী ৩০ জুন দুপুরে শেষ বারের মতো সোনাতে খাবার পাওয়া যাবে। আপনাদের সকলের উপস্থিতি একান্ত কাম্য। আমাদের দরজা ওইদিন সকলের জন্য খোলা আছে।”

সোনাকে নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। প্রিয়াঙ্কা যখন প্রথম ওই রেস্তরাঁ খোলেন তখন তা নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। কারণ একটাই, রেস্তরাঁটির আকাশচুম্বী দাম। একটি সিঙাড়ার দাম ভারতীয় মুদ্রায় ১০০০ টাকা শুনে চোখ কপালে উঠেছিল অনেকেরই। এখানেই শেষ নয়। মুম্বইয়ের অন্যতম জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড বড়া পাও। সাধারণ দোকানে মাত্র ৪০ টাকায় মেলে এই খাবার। কিন্তু প্রিয়াঙ্কার দোকনে তার দাম ছিল ১৪ ডলার অর্থাৎ ১ হাজার টাকার উপরে। সাধারণ ন্যাপকিনেরও দাম প্রায় ৩৭৪০ টাকা। আর খাবারের প্লেটের দাম রাখা হয়েছিল কমপক্ষে ৬০ ডলার। প্রথম দিকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার রেস্তরাঁ এই নামে বেশ চললেও পরবর্তীতে সোনার চাহিদা কমতে থাকে ক্রমশ। প্রিয়াঙ্কা ওই সংস্থা ছাড়ার পর ব্যবসার অবস্থাও বিশেষ ভাল যাচ্ছিল না। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন অপর মালিক, জানা যাচ্ছে এমনটাই।

Next Article