
নতুন বছরে বাংলা সিনেমায় বক্স অফিস সাফল্য আনতে, প্রযোজকদের ভরসা কি সেই তিন কিংবদন্তি বাঙালি অভিনেত্রী? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে নেটপাড়ায়। কেউ কেউ এই তিন কিংবদন্তি বাঙালি অভিনেত্রীকে বহু বছর পর আবার বাংলা সিনেমায় দেখে উচ্ছ্বসিত, কেউ আবার বলছেন পুরানো চাল ভাতে বাড়ে। বাঙালি দর্শকদের হলমূখী করতেই কি এই কৌশল! সম্প্রতি বাংলা ছবির ক্ষেত্রে প্রেক্ষাগৃহের সামনে যে লাইন চোখে পড়ছে, অবশ্যই সেই লাইন অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর , মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কে আবার বাংলা ছবিতে দেখার ইচ্ছে। পরিচালক সুমন ঘোষের ছবি ‘পুরাতন’-এ শর্মিলার ঠাকুরের অভিনয় দেখে মুগ্ধ দর্শকমহল। সঙ্গে অবশ্যই রয়েছেন আর এক লম্বা রেসের ঘোড়া টলিকুইন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আবার সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই হলে মুক্তি পেল মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের ছবি ‘আড়ি’। ‘বালিকা বধূ’ থেকে শুরু করে আড়ি, দর্শক মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের প্রাণবন্ত অভিনয়ে মজে আছেন।
আবার আগামী সপ্তাহেই হাজির হবেন আর এক কিংবদন্তি অভিনেত্রী রাখি গুলজার। পরিচালক নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘আমার বস’ এর হাত ধরে। টলিপাড়ায় একই মাসে তিন জন কিংবদন্তি বাঙালি অভিনেত্রী, যাঁরা সর্বভারতীয় স্তরে নাম করেছেন, তাঁদের মূখ্য চরিত্র করে সিনেমা করা কি কাকতলীয়? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রযোজক অভিনেতা নুসরত জাহান ও যশ দাশগুপ্ত বলেছেন, “এটা একদমই কাকতলিয়। আমরা কেউ জানতাম না অন্য হাউস কী করছে, যখন জানতে পারি তখন নিজেরাই অবাক হই।”
তবে তিন অভিনেত্রীর তিনটি ছবি একদম অন্য ধারার ছবি। নুসরত আরও বলেন, “এটাতো সত্যি ভাগ্যের, যে কিংবদন্তি বাঙালি অভিনেত্রীরা আবার বাংলা ছবি করতে রাজি হয়েছেন।” পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছেন, তিনি খুশি পরপর তিন কিংবদন্তিকে বাংলা সিনেমায় দেখা যাচ্ছে।
বাংলা সিনেমা ঘুরে দাঁরানোর জন্যই কি এই পন্থা? নাকি পরিচালক প্রযোজকরা তাঁদের গল্প বলতে নির্ভর করছেন এই কিংবদন্তি অভিনেত্রীদের উপর। অনেক দর্শক আবার বলছে, বক্স অফিসের নিরিখে হোক বা চরিত্রের প্রয়োজনে, বাঙালির এই তিন কিংবদন্তি অভিনেত্রীকে বাংলা সিনেমার পর্দায় দেখেই মন ভাল হয়ে যাচ্ছে। একই সময় রাখি গুলজার, শর্মিলা ঠাকুর, মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় দেখা বিভিন্ন প্রজন্মের দর্শকদের কাছে অবশ্যই বড় পাওনা।