দেখতে দেখতে দু’দিন। কাজ শুরু হচ্ছে না টলিপাড়ায়। শুটিং বন্ধ। যার সমাধান সূত্র খুঁজতে মরিয়া কমবেশি সকলেই। একদিকে ফেডারেশন, অন্যদিকে ডিরেক্টরস গিল্ড। একদিকে টেকনিশিয়ানস অন্যদিকে আর্টিস্ট ফোরাম, শুটিং বন্ধ ঘিরে বিভিন্ন বিভাগের মতামত ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। সোমবার রাতে হওয়া শেষ মিটিং অনুযায়ী শুটিং শুরু হওয়ার কোনও সমাধান সূত্রে পৌঁছানো যায়নি। কারণ, পরিচালকদের মত, প্রথম শুটিং-এ না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টেকনিশিয়ানরা। পরিচালকেরা প্রথম এমন কোনও পদক্ষেপ করেননি। পরবর্তীতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। যদিও নানা মতভেদের সত্ত্বেও সকলের একটাই দাবি, শুটিং সচল রাখতে হবে। তবে তার কোনও নির্দিষ্ট সমাধান না পাওয়া গেলে রাত পোহাতে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দরজায় পৌঁছে গেলেন পরিচালক প্রযোজকেরা। মঙ্গলবার দুপুরেই নবান্নের উদ্দেশে রওনা দিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব ও গৌতম ঘোষেরা। তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেছিল ডিরেক্টর গিল্ড, সেই কারণেই কী মাঠে নামলেন এবার মুখ্যমন্ত্রী?
TV9 বাংলার প্রতিনিধি সুচরিতা দের কথায়, ‘পরিচালকেরা যা জানিয়ে ছিলেন, যে তাঁরা ফ্লোরে যাবেন না, শুটিং-এ অসহযোগিতা করবেন, তেমনটাই দেখা যায়। ফলে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে টলিপাড়া। অবশেষে সেই ইন্ডাস্ট্রি অর্থাৎ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরেই সমাধান সূত্র আসতে চলেছে। শোনা যাচ্ছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব ও গৌতম ঘোষকে ডেকে পাঠিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য, একটা সমাধান সূত্রে আসার জন্য। প্রতিদিন এভাবে শুটিং বন্ধ থাকার অর্থ কোটি কোটি টাকার ক্ষতি। ক্যামেরায় ধরা পরে, প্রসেজনিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে দেব এলেন বারোটা নাগাদ, তারপর দেবের গাড়ি করেই গৌতম ঘোষ, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও গৌতম ঘোষ নবান্নের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন।’
অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে আর্টিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকেও একটি বৈঠক আজ হবে। এখন দেখার, মঙ্গলবার শেষবেলা পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্রে পৌঁছানো যায় কি না…।