পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়কে কে না চেনেন? প্রায় ৩০ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে সাফল্যের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। মন জয় করেছেন বহু মানুষের। কথায় বলে, ‘কুপুত্র যদি বা হয় কুমাতা কদাপি নয়’। ছেলে এখনও স্কুলে পড়ে পুষ্পিতার। আর এই ছেলেকে নিয়েই মহা জেরবারে পুষ্পিতা। চেষ্টা করেছেন, চলেছে কাউন্সিলিং, তবে লাভ হয়নি কিছুই। এক অদ্ভুত নেশায় বুঁদ তাঁর ছেলে। সেই নেশা মোবাইল গেমের নেশা। গেলে আসক্ত তাঁর আদরের ধন। তাঁর একমাত্র ভালবাসার কারণ।
পুষ্পিতার কথায়, “সব ট্রাই করেছি আমরা। পড়াশোনায় জিরো। কিচ্ছু করতে পারছি না। কিছুতেই পারছি না। এত ফোনের নেশা ওর।” অসহায় মা আরও বলেন, “হাতে যদি একটু পাওয়ার থাকত তবে অনেক বাচ্চার জীবন সুন্দর হয়ে যেত। ওরা তো বুঝে নিজের ক্ষতিটা করছে না। ওরা নতুন জিনিস পেয়ে ভেসে গেল। আমি কিন্তু সবটা পুরো সময়টা ছেলেকে দিয়েছি। কিচ্ছু লাভ হয়নি।” সন্তান জন্মানোর সময় নিজের কেরিয়ারকে খানিক জলাঞ্জলি দিয়েছেন পুষ্পিতা। বেশ কিছু বছর অভিনয় জগৎ থেকেও ছিলেন দূরে। তবে তাঁর আফসোস, লাভ হয়নি কিছুই। ফোনে আসক্তি কাটেনি ছেলের। এর আগে নানা রিয়ালিটি শোয়ে হাজির হয়েও ওই একই কথা বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। মায়ের কান্না দু’চোখ বেয়ে ঝরে পড়েছে বারংবার।
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক শো’য়ে এসেও একই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সে সময় পাশে পেয়েছিলেন তিনি রচনাকে। ভরসা জুগিয়ে রচনা বলেছিলেন, “তোর ছেলে ছোট , আমার জন ১১ এ পড়ে। আমিও এই ফেজ দিয়ে গিয়েছি। জানি। এটা তোকেই পারতে হবে। তোকেই ওকে বের করে আনতে হবে। তুই নিজে পজিটিভ থাক।” তাই-ই থাকার চেষ্টা চালিয়ে যান অভিনেত্রী। তবু মায়ের মনে আশঙ্কা দূর করবে, সে সাধ্যি কার?