
অভিনেত্রী জয়া বচ্চনকে নিয়ে অনেক খবরই এখন ভাইরাল হয়। তবে ছোট থেকেই যে তাঁর ব্যবহারে ঝাঁজ ছিলো সেটা অভিনেতা রবি ঘোষ নিজেই বলে গিয়েছেন তাঁর নিজের লেখায়। আজকের অভিনেত্রী সাংসদকে সকলেই চেনে। তবে কত জন জানে কীভাবে তিনি সিনেমায় পাঠ করতে এসেছেন। জয়া ভাদুড়ির প্রথম ছবি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ‘মহানগর ‘ এ অভিনয় দিয়ে। ছোট্ট জয়া ভাদুড়িকে পরিচালক সত্যজিতের সঙ্গে প্রথম আলাপ করিয়ে দেন অভিনেতা রবি ঘোষ। তাঁরই লেখায় জেনে নেওয়া যাক সেই কাহিনি।
রবিঘোষের কলমে, “মানিকদা ক্তষখন ‘মহানগর’-এর জন্য একটা বছর চোদ্দর ছটফটে বাঙালি মেয়ে খুঁজছেন। জয়াকে দেখে ভাবলাম এ পারবে। বললাম তরুণদাকে। তরুণদা বললেন— ‘আমি জানি না, ওকেই বরং জিজ্ঞেস করে দেখো।’ জয়া কিন্তু সেই সময়ে ফিল্মকে বেশ অপছন্দ করতেন। তা বলে কয়ে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে রাজি করালাম। ফিরলাম কলকাতা। মানিকদাকে ফোন করলাম। তবে বলেছিলাম— ‘ঘরে যেন বেশি লোকজন না থাকে। যা খেপচুরিয়াস মেয়ে,’ বিগড়ে গেলে মুশকিল। মানিকদা বললেন— ‘ঠিক আছে, নিয়ে এসো।’ নির্দিষ্ট দিনে নিয়ে গেলাম। ঘরে মানিকদা, বউদি ছাড়াও বংশী চন্দ্রগুপ্ত ছিলেন। মানিকদা সাংঘাতিক হিউম্যান সাইকোলজি বুঝতেন। উনি খুব স্বাভাবিকভাবে জিজ্ঞেস করলেন— ‘কী করা হয়?’ ছবি-টবি দেখা হয়?’
জয়া বলল— ‘হ্যাঁ ।’ উনি বললেন— ‘কী রকম?’ যেই না বলা, জয়া অবিশ্বাস্যভাবে তখনকার হিন্দি ছবির যত স্টার নায়িকা— মধুবালা, নার্গিস, সুরাইয়া সব্বাইকে নকল করে দেখাতে লাগলেন। এক ঘন্টা এরকম চলল। সেদিন ফেরার সময় মানিকদা বললেন— ‘রবি, আমি তাহলে শুটিংয়ের তারিখ ঠিক করছি। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম— ‘তার মানে সিলেক্টেড।’ এর পরই শুরু হয়ে গেল মহানগরের শুট।” অবশ্যই এর পর বাংলা তথা ভারতীয় ছবি পেল জয়া ভাদুরির মত শক্তিশালী অভিনেত্রী।