গর্বে বুক ফুলে যাচ্ছে তাঁর। স্ত্রী যে জয়ী হবেন সে আঁচ আগেই পেয়েছিলেন প্রবাল বসু। এ দিন সকাল থেকেই স্ত্রীর সঙ্গেই ছিলেন তিনি। টিভিনাইন বাংলা ফোন করতেই উচ্ছ্বাস যেন ঝরে পড়ল গলায়। পাশেই বসে ছিলেন রচনা। প্রবাল বলছিলেন, “ও পাশেই আছে। এখন জেলাশাসকের অফিসে আছি। কী যে ভাল লাগছে ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আসলে ও এরকমই যে ছোঁয়, তাই সোনা হয়ে যায়। যেখানেই হাত দিয়েছে সেখানেই সাফল্য এনেছে।”
স্ত্রীর সঙ্গে সকাল থেকেই ছিলেন তিনি। বলছিলেন, “গর্বে বুক ফুলে যাচ্ছে আমার। বলতেই পারি, আই অ্যাম এ প্রাউড হাজব্যান্ড’। না, একসঙ্গে থাকেন না তাঁরা। বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। তবে ‘ভাল বউ’ হয়ে ওঠা হয়নি তাঁর, নিজেই জানিয়েছিলেন রচনা। একসঙ্গে সংসার না করলেও দূরে থাকা স্বামী আজও তাঁর বন্ধু। রচনা ভোটে দাঁড়ানোর পর বুকে রচনার ছবি লাগানো টি-শার্ট পরে হাজির হয়েছিলেন তিনি। স্ত্রীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। ভোট আবহে তাঁদের সম্পর্কেও কি তবে নতুন শুরু?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই এ বছর রাজনীতিতে পদার্পণ করেছিলেন রচনা। ভোট প্রচারে তাঁর নানা কথা মিম হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছিল সামাজিক মাধ্যমে। তবে রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, মিম হলেও তা আদপে রচনার পক্ষেই গিয়েছে। ‘কিচেন পলিটিক্স’-এর গ্রহণযোগ্যতাই রচনার জনপ্রিয়তার মাপকাঠি হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। সেই তুরুপের তাসকে কাজে লাগিয়েই বাংলার নতুন সাংসদ তিনি। পাশেই আছেন প্রবাল, বাড়িয়েছেন বন্ধুত্বের হাত।