মদ্যপ অবস্থায় নীতু কাপুরকে মারধর, সেদিন ঋষি কাপুরের পাশবিক অত্যাচার দরজার ফাঁক দিয়ে দেখছিলেন রণবীর, তারপর এগিয়ে যেতেই…
নীতু সিং ও ঋষি কাপুরের দাম্পত্য জীবন যে খুব একটা শান্তিপূর্ণ ছিল না তা বলিউডের প্রায় সবাই জানে। এক সময় তো বিনোদনমূলক সব ম্যাগাজিনের শিরোনামে উঠে আসত কাপুর খানদানের এই ট্র্যাজিক গল্প।

নীতু সিং ও ঋষি কাপুরের দাম্পত্য জীবন যে খুব একটা শান্তিপূর্ণ ছিল না তা বলিউডের প্রায় সবাই জানে। এক সময় তো বিনোদনমূলক সব ম্যাগাজিনের শিরোনামে উঠে আসত কাপুর খানদানের এই ট্র্যাজিক গল্প। মদ্যপ অবস্থায় ঋষি যে নীতুকে মারধরও করতেন,তা গসিপ ম্যাগাজিনের নানা প্রতিবেদনে জায়গা করে নিত। এমনকী, ঋষির জন্যই সিনেমার কেরিয়ারকে ত্য়াগ করেছিলেন নীতু। কিন্তু নীতু ও রণবীরের এই কলহে পিষে মরছিল তাঁদের একমাত্র পুত্র রণবীর। রণবীর এখন বলিউডের হার্টথ্রব হলেও, হৃদয় তাঁর ক্ষতবিক্ষত। যাঁর বহু অংশই ছোটবেলার এই ট্রমায় মোড়া।
রণবীর কাপুর কখনও সেভাবে নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে একবার নিখিল কামাথের ইউটিউব চ্য়ানেলে এসে মনের আবেগ আলগা করেছিলেন। রণবীর স্পষ্ট জানিয়ে ছিলেন, ঋষি ও নীতুর অশান্তি তাঁর উপর কীভাবে প্রভাব ফেলেছিল।
রণবীর জানান, ছোটবেলায় মা-বাবা যখন দুজনে ঝগড়া করত, তখন সিঁড়িতে বসে থাকতাম। চুপচাপ শুনতাম। বাবা খুব জোরে মাকে বকাবকি করত। আর মা হাউ হাউ করে কাঁদত। তাই ছোটবেলা থেকেই কেউ যদি আমার উপর চিৎকার করে কথা বলে, আমার সেই ছোটবেলার ট্রমাটা সামনে চলে আসে। অস্বস্তি হয়। হাত পা কাঁপতে শুরু করে।
এই সাক্ষাৎকারেই রণবীর জানিয়ে ছিলেন, একদিন মা-বাবা বেডরুমে অশান্তি করছিল। দরজার ফাঁক দিয়ে আমি বোঝার চেষ্টা করছিলাম। হঠাৎই বাবা দেখে নেয়। আমি ঘরে ঢুকতে গেলেই আমার উপরও চিৎকার করে। সেদিন মা আর আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম। খুব কেঁদেও ছিলাম। আমি বাবাকে খুবই ভালোবাসতাম। তবে মদ্যপ হয়ে বাবার এমন কাজ, কখনই পছন্দ ছিল না আমার। আই মিস মাই ফাদার। কিন্তু ওই ট্রমা আমার পিছু ছাড়েনি।





