পরিচালকের ক্ষমতা ছিল না, কম টাকাতেই রাজি রশিদ, কীভাবে সৃষ্টি হয় ‘আওগে যব তুম ও…’

Jan 09, 2024 | 6:48 PM

Rashid Khan Unknown Story: যে গান বলিউডের এভারগ্রীন। যে গান প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে থেকে যাবে বলেই এক শ্রেণির বিশ্বাস। এই গান যেন রশিদের কণ্ঠের জন্যই জন্ম নিয়েছিল। প্রতিটা শিল্প সৃষ্টির এক নির্দিষ্টলক্ষ্য থাকে। এই গানের সুর জন্ম নিয়েছিল বহু বছর আগে।

Follow Us

সাল ২০০৭, মুক্তি পেয়েছিল বলিউডের অন্যতম মিউজিক্যাল হিট ছবি যব উই মেট। যে ছবির গল্প ছেকে শুরু কতরে গানের উপস্থাপনা, পর্দায় চরিত্রের সমীকরণ সবটাই ছিল নজর কাড়া। আর যা ছিল তা হল প্রয়াত সঙ্গীতজ্ঞ রশিদ খানের অন্যতম সেরা সৃষ্টি। আয়ো গে যব তুম ও সাজনা…। আজ তিনি নেই। তাঁর সৃষ্টিতে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেরই মনের কোণে গুনগুনিয়ে উঠছে এই গান। আগেব, প্রেম, বিরহ সবটা গায়ক উজার করে ঢেলে দিয়েছিলেন গানের ছত্রে ছত্রে। যে গান বলিউডের এভারগ্রীন। যে গান প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে থেকে যাবে বলেই এক শ্রেণির বিশ্বাস। এই গান যেন রশিদের কণ্ঠের জন্যই জন্ম নিয়েছিল। প্রতিটা শিল্প সৃষ্টির এক নির্দিষ্টলক্ষ্য থাকে। এই গানের সুর জন্ম নিয়েছিল বহু বছর আগে।

তখনও গানের লিরিক্স তৈরি হয়নি। এক সাক্ষাৎকারে ছবির সঙ্গীত পরিচালক সন্দেশ শাণ্ডিল্য জানিয়েছিলেন ”এই ছবির জন্য লেখাই হয়নি এই গান। এই গান ছবি তৈরির বহু বছর আগেই জন্ম নিয়েছিল। সঙ্গীত পরিচালকের কথায়, ৯-এর দশকে এমন অনেকেই ছিলেন যাঁরা নিজের জন্য গান সুর সৃষ্টি করতে। অনেক গান ছবিতে জায়গাও করতে পারত না। তার মধ্যে যাঁর যেটা পছন্দ হয়ে যেত, সেই গান ছবিতে জায়গা করে নিত। তেমনই উদ্দেশ্যহীনভাবে জন্ম নিয়েছিল এই গান। তিনি বলেন, এই গানের সুর হঠাৎই এসেছিল মনে। আমি রেকর্ড করে রেখেছিলাম। সেই সময় আমি ফিয়াজ় আনওয়ারের সঙ্গে কাজ করছি। আমি তাঁকে শুনিয়েছিলাম। তিনি সেই সময়ই গানের মুখরা লিখে দিয়েছিলেন। এরপর কেটে যায় বহু বছর। তারপর ইমতিয়াজ আলিকে একদিন হঠাৎ আমি এই সুর শুনিয়েছিলাম। তিনি শুনেই বলেছিলেন, তিনি তাঁর ছবিতে গানটি ব্যবহার করবেন। আমি আবার গানের অন্তরার জন্য ছুটেছিলাম ফিয়াজের কাছে।”

এরপর খোঁজ পড়ে গায়কের। তিনি বলে চলেন, ”আমি জানতাম এই গানটার প্রতি সুবিচার তিনিই করতে পারবেন যাঁর সঙ্গীতের সেই অভ্যাসটা রয়েছে। কেউ যখন দিনের পর দিন সঙ্গীতের চর্চা করেন, তাঁর কণ্ঠস্বর শুনলেই আপনি বুঝতে পারবেন পার্থক্যটা কোথায়। উস্তাদ রশিদ সাহাবের প্রতি বরাবর আমার সেই শ্রদ্ধাটা ছিল। আমি যখন ওঁনার কাছে প্রস্তাব নিয়ে গেলাম, তিনি প্রচুর টাকা চেয়ে বসলেন। আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, এটা আমাদের সামর্থ্যের বাইরে। একই সঙ্গে বলেছিলাম, আপনি এই গানটি ফেরাতে পারবেন না। আমি বলেছিলাম– আপনি মানা করতে পারবেন না, কারণ আমি আপনাকে ভীষণ ভালবাসি। তখন উনি খুশি হয়ে বলেছিলেন, ঠিক আছে, চলে এসো, আমি রেকর্ড করব।”

প্রতিটা সুন্দর সৃষ্টির পিছনেই একটি করে গল্প থাকে। রশিদ খানের সেই সৃষ্টি আজ প্রতিটা মানুষের মনে মোচড় দিয়ে উঠছে। তিনি আর নেই। থেকে গেল তাঁর সুর সাম্রাজ্য, থেকে গেল তাঁর অগুনতি ভক্তের ভালবাসা, শ্রদ্ধা, চোখের জল। তিনি থেকে গেলেন তাঁর প্রতিটা সুরে, প্রতিটা সৃষ্টিতে, মানুষের ভালবাসায়। TV9 বাংলা তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করে।

সাল ২০০৭, মুক্তি পেয়েছিল বলিউডের অন্যতম মিউজিক্যাল হিট ছবি যব উই মেট। যে ছবির গল্প ছেকে শুরু কতরে গানের উপস্থাপনা, পর্দায় চরিত্রের সমীকরণ সবটাই ছিল নজর কাড়া। আর যা ছিল তা হল প্রয়াত সঙ্গীতজ্ঞ রশিদ খানের অন্যতম সেরা সৃষ্টি। আয়ো গে যব তুম ও সাজনা…। আজ তিনি নেই। তাঁর সৃষ্টিতে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেরই মনের কোণে গুনগুনিয়ে উঠছে এই গান। আগেব, প্রেম, বিরহ সবটা গায়ক উজার করে ঢেলে দিয়েছিলেন গানের ছত্রে ছত্রে। যে গান বলিউডের এভারগ্রীন। যে গান প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে থেকে যাবে বলেই এক শ্রেণির বিশ্বাস। এই গান যেন রশিদের কণ্ঠের জন্যই জন্ম নিয়েছিল। প্রতিটা শিল্প সৃষ্টির এক নির্দিষ্টলক্ষ্য থাকে। এই গানের সুর জন্ম নিয়েছিল বহু বছর আগে।

তখনও গানের লিরিক্স তৈরি হয়নি। এক সাক্ষাৎকারে ছবির সঙ্গীত পরিচালক সন্দেশ শাণ্ডিল্য জানিয়েছিলেন ”এই ছবির জন্য লেখাই হয়নি এই গান। এই গান ছবি তৈরির বহু বছর আগেই জন্ম নিয়েছিল। সঙ্গীত পরিচালকের কথায়, ৯-এর দশকে এমন অনেকেই ছিলেন যাঁরা নিজের জন্য গান সুর সৃষ্টি করতে। অনেক গান ছবিতে জায়গাও করতে পারত না। তার মধ্যে যাঁর যেটা পছন্দ হয়ে যেত, সেই গান ছবিতে জায়গা করে নিত। তেমনই উদ্দেশ্যহীনভাবে জন্ম নিয়েছিল এই গান। তিনি বলেন, এই গানের সুর হঠাৎই এসেছিল মনে। আমি রেকর্ড করে রেখেছিলাম। সেই সময় আমি ফিয়াজ় আনওয়ারের সঙ্গে কাজ করছি। আমি তাঁকে শুনিয়েছিলাম। তিনি সেই সময়ই গানের মুখরা লিখে দিয়েছিলেন। এরপর কেটে যায় বহু বছর। তারপর ইমতিয়াজ আলিকে একদিন হঠাৎ আমি এই সুর শুনিয়েছিলাম। তিনি শুনেই বলেছিলেন, তিনি তাঁর ছবিতে গানটি ব্যবহার করবেন। আমি আবার গানের অন্তরার জন্য ছুটেছিলাম ফিয়াজের কাছে।”

এরপর খোঁজ পড়ে গায়কের। তিনি বলে চলেন, ”আমি জানতাম এই গানটার প্রতি সুবিচার তিনিই করতে পারবেন যাঁর সঙ্গীতের সেই অভ্যাসটা রয়েছে। কেউ যখন দিনের পর দিন সঙ্গীতের চর্চা করেন, তাঁর কণ্ঠস্বর শুনলেই আপনি বুঝতে পারবেন পার্থক্যটা কোথায়। উস্তাদ রশিদ সাহাবের প্রতি বরাবর আমার সেই শ্রদ্ধাটা ছিল। আমি যখন ওঁনার কাছে প্রস্তাব নিয়ে গেলাম, তিনি প্রচুর টাকা চেয়ে বসলেন। আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, এটা আমাদের সামর্থ্যের বাইরে। একই সঙ্গে বলেছিলাম, আপনি এই গানটি ফেরাতে পারবেন না। আমি বলেছিলাম– আপনি মানা করতে পারবেন না, কারণ আমি আপনাকে ভীষণ ভালবাসি। তখন উনি খুশি হয়ে বলেছিলেন, ঠিক আছে, চলে এসো, আমি রেকর্ড করব।”

প্রতিটা সুন্দর সৃষ্টির পিছনেই একটি করে গল্প থাকে। রশিদ খানের সেই সৃষ্টি আজ প্রতিটা মানুষের মনে মোচড় দিয়ে উঠছে। তিনি আর নেই। থেকে গেল তাঁর সুর সাম্রাজ্য, থেকে গেল তাঁর অগুনতি ভক্তের ভালবাসা, শ্রদ্ধা, চোখের জল। তিনি থেকে গেলেন তাঁর প্রতিটা সুরে, প্রতিটা সৃষ্টিতে, মানুষের ভালবাসায়। TV9 বাংলা তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করে।

Next Article