ইন্ট্রোভার্ট। ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর সম্পর্কে এই বিশেষণ ব্যবহার করেন অনেকে। তিনি অর্থাৎ বলিউড (bollywood) অভিনেত্রী (Actress) রসিকা দুগল (Rasika Dugal)। তিনি নিজেও এই ইন্ট্রোভার্ট সত্ত্বা সম্পর্কে অবগত। নিজের মতো থাকতে ভালবাসেন। খুব কাছের বন্ধু ছাড়া কারও কাছে মনের কথা বলতে পারেন না। কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব হতেও অনেক সময় লাগে রসিকার। এ হেন রসিকার ‘পাওরি’ মোমেন্ট কেমন হতে পারে?
‘পাওরি’ ট্রেন্ডের সঙ্গে যাঁরা পরিচিত, তাঁরা সকলেই জানেন, অন্তত কিছু বন্ধু, সহকর্মী বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের নিয়ে এই ‘পাওরি’ ট্রেন্ডে অংশ নিচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। কিন্তু একা একা কেউ ‘পাওরি’ করছেন, দেখেছেন? রসিকা সেই দৃষ্টান্তই স্থাপন করলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা রসিকার ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, কখনও ঘরের ল্যাম্পশেড পরিষ্কার করছেন, কখনও চুপ করে বসে ভাবছেন। কখনও বা খাবার খাচ্ছেন। ভিডিয়োর ক্যাপশনে রসিকা লিখেছেন, ‘মাই কাইন্ড অব পাওরি’।
কী এই ‘পাওরি’ ট্রেন্ড? এর উৎপত্তি হল কীভাবে? তার জন্য কয়েক মাস আগের খবরে ফিরে যেতে হবে আপনাকে।
দানানীর মোবেন। বছর উনিশের মেয়ে। পাকিস্তানের পেশওয়ারে থাকেন। তাঁর বলা মাত্র তিনটি সংলাপ। ‘ইয়ে হামারি কার হ্যায়’, ‘অউর ইয়ে হাম হ্যায়’ এবং ‘ইয়ে হামারি পাওরি (পার্টি) হো রহি হ্যায়’। এই তিন সংলাপ সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হয়। একের পর এক মিম ভিডিয়োয় শোনা গিয়েছে এই সংলাপ। আর দানানীর এক কথায় হয়ে উঠেছেন—সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার। ফ্যাশন, মেকআপ কিংবা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে নানাবিধ বিষয় নিয়ে ভিডিয়ো পোস্ট করেন দানানীর। তাঁকে সকলে এখন ‘পাওরি’ ট্রেন্ডের জন্যই চেনেন। তাঁর কথায়, ‘আমি যে অগাধ ভালবাসা পেয়েছি তা থেকে সত্যিই অনুভব করেছি যে আমরা সবাই একটি বড় ডিজিটাল পরিবার! #Pawrigang হয়তো।’ সেই বড় পরিবারের অংশ এ বার রসিকাও।
আরও পড়ুন, ‘তোমার প্রতি আমার কোনও প্রেম নেই’, কাকে এ কথা বললেন পাওলি?