Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ক্রিসমাসের প্রস্তুতিতে এখন থেকেই মেতেছেন ঋতাভরী ‘সান্তা’ চক্রবর্তী

“যেদিন জেনেছিলাম মা-ই আসল ‘সান্তা’, কেমন জানি মন খারাপ হয়েছিল। ছোটবেলায় মা আমাকে বুঝিয়েছিল ওঁর কথা শুনে চললে ক্রিসমাস গিফট হিসেবে পুতুল পাওয়া যাবে আর না শুনলে রংপেন্সিল

ক্রিসমাসের প্রস্তুতিতে এখন থেকেই মেতেছেন ঋতাভরী ‘সান্তা’ চক্রবর্তী
বড়দিনের আগে বড়দিনের ছবি। ঋতাভরী চক্রবর্তী।
Follow Us:
| Updated on: Dec 08, 2020 | 6:10 PM

ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty) ক্লাস সিক্স-এ পড়বার সময় সত্যিটা জানতে পারেন। ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলেন সে সময়ে। তার আগে অবধি বিশ্বাস করতেন পৃথিবীতে ‘সান্তা ক্লজ’ বলে সত্যিই কেউ আছেন যিনি ক্রিসমাস ইভে মোজার ভিতর গিফট লুকিয়ে রেখে যান।
হোয়াটস অ্যাপ ভয়েস নোটে বললেন, “যেদিন জেনেছিলাম মা-ই আসল ‘সান্তা’, কেমন জানি মন খারাপ হয়েছিল। ছোটবেলায় মা আমাকে বুঝিয়েছিল ওঁর কথা শুনে চললে ক্রিসমাস গিফট হিসেবে পুতুল পাওয়া যাবে আর না শুনলে রংপেন্সিল। ক্লাস সেভেনে পড়বার সময় বুঝে গিয়েছিলাম, যে মা-ই আসলে সান্তা তাই সরাসরি বলে দিয়েছিলাম আমার ‘রেসিং গেমস’-এর সিডি লাগবে।”

 

 

‘মা’ মানে শতরূপা সান্যালের প্রোফাইলের এক ভিডিও দেখে ঋতাভরীর সঙ্গে ‘বড়দিন’ প্রসঙ্গে কথা শুরু হল। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মেয়ে ঋতাভরী ভীষণ মন দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজাচ্ছেন। পুতুল, লাইটস, খেলনা দিয়ে সাজানো এক ক্রিসমাস ট্রি। একটা ছবিতে ক্রিসমাস ট্রিয়ের ফাঁক দিয়ে উঁকিও মারছেন ঋতাভরী।

 

ডিসেম্বর মাস শুরু না হতেই ক্রিসমাসের এমন ধুন্ধুমার আয়োজন?
“ছোটবেলা থেকেই বড়দিন নিয়ে ভীষণ এক্সাইটেড থাকি। ছোটবেলায় এত বড় ক্রিসমাস ট্রি বাজারে পাওয়া যেত না। মা একটা ছোটখাটো দেখতে ক্রিসমাস ট্রি কিনে আনত। সেগুলো স্টার, বল, রিবন দিয়ে সাজাতাম। তারপর প্লাম কেক, কত কিছু…” বললেন ঋতাভরী।

 

দেশ-বিদেশ ঘুরতে ভালবাসেন ঋতাভরী। তাই যেখানেই যান না কেন তার ‘টু ডু লিস্ট’-এ সেই দেশ থেকে পুতুল কেনার কথা লেখা থাকবেই। মায়ের পোস্ট করা ছবিতে সেই সব পুতুলও বসে আছে ক্রিসমাস ট্রি ঘিরে।

এখন আপনি সান্তার সেই মোজা ভর্তি গিফটের অপেক্ষা করেন না?

“ক্লাস ইলেভেন থেকে তো আমিই সান্তা হয়ে গিয়েছিলাম। সবাইকে আমি গিফট দিতাম।” (পাঠানো ভয়েস নোটে মা শতরূপা সান্যালের হাসির আওয়াজ পাওয়া গেল)।

 

কিন্তু এটা সত্যিই যে ঋতাভরী এখন নিজেই ‘সান্তা ক্লজ’। ঋতাভরীর সল্টলেকের একটি স্কুল চালান। নাম ‘দ্য আইডিয়াল স্কুল ফর দ্য ডেফ’। শ্রবণশক্তিহীন বাচ্চাদের স্কুল। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত সুদৃঢ় করার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। তাদের কাছে ঋতাভরী সত্যিকারের ‘সান্তা’। প্রতি বছর ঠিক এ রকম সময়েই স্কুলে ঝুলি ভর্তি গিফ্ট নিয়ে যান ‘সান্তা’ চক্রবর্তী।
“গিফটের বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা পছন্দ। সবাইকে এক ধরণের গিফ্ট দিলে চলবে না, সবার জন্য আলাদা-আলাদা গিফট দিতে হবে। কারওর গিফটের সঙ্গে কারও গিফট মিলে গেলেই, সে যে কী বিপদ!”

তবে এ বছর ‘আইডিয়াল স্কুল’-এর ছাত্রছাত্রীদের তো মন খারাপ হবে। কারণ এখন তো সব স্কুল বন্ধ যে। তাই এ বছর সান্তা অ্যবসেন্ট, গিফ্ট নেই।

“ওদের এ বছর অন্যভাবে এক সারপ্রাইজ দেব ভেবেছি । কাউকে কিছু বলব না। একদিন আগে সবাইকে জানিয়ে দুম করে স্কুল খুলব, সেদিনই হবে ক্রিসমাস সেলিব্রেশন,” বললেন ঋতাভরী চক্রবর্তী।