ঋতুপর্ণা সেন। টলিউডের ঋ। গোটা বাংলা যখন জ্বলছে তিলোত্তমার বিচার চেয়ে, তিনিও থাকলেন না চুপ। রাত জাগা থেকে শুরু করে তদন্ত, সবটাতেই তিনি চান যেন রাজনৈতিক রং না লাগে। চান রাতের কলকাতা সত্যি যেন একদিন মহিলাদের জন্য সুরক্ষিত হয়ে যায়। তবে কিছু প্রশ্ন TV9 বাংলায় তুলতে ভুললেন না তিনি। রাত দখল প্রসঙ্গে বললেন, ‘রাতে আমি অনেক সময় ফিরি। আমার সহকর্মীরাও অ্যাপ ক্যাবে ফেরে। এই রাত দখলের মুভমেন্টটা ভাল। এই যে আমরা রাতে চাইলে যা খুশি তাই করতে পারি। এই আন্দোলনটা দরার। কোথাও যে এই রাত মেয়েদের জন্য সুরক্ষিত, সেটা করার জন্য এটা হওয়া উচিত। প্রতিটা শহরের একটা করে বৈশিষ্ট রয়েছে। আমার এই শহর তো হঠাৎ করে মুম্বই হয়ে যেতে পারে না। আজ মুম্বইতে তুমি রাত তিনটের সময়ও অটোওয়ালার সঙ্গে বাড়িতে ফিরে আসতে পারবে। তোমার একবিন্দুও ভয় করবে না। কলকাতারও নিজের একটা সত্ত্বা আছে। কলকাতা যে অসুরক্ষিত আমি কখনও বলব না। এই আন্দোলনটা ঠিক আছে, কিন্তু রোজ কি কেউ পারবে? আমি কি এক সপ্তাহ পর পারব ময়দানের সামনে রাত তিনটে নাগাদ ধূমপান করতে? সেখানে কি পুলিশ থাকবে?’
যদিও ১৪ অগস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে চর্চিত ঋ। যেখানে তিনি তিলোত্তমার মা-বাবার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তারপরই চরম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এই প্রসঙ্গে ঋ-কে প্রশ্ন করা হলে, তিনি ঠিক কী বলতে চেয়েছেন তা খোলসা করে বললেন, ‘আমায় খোঁটা দেওয়ার সবথেকে বড় অস্ত্র হচ্ছে আমার সিনেমা। সত্যি কথা বলে ফেলেছি, কেউ নিতে পারছেন না। ৭৮ বছর বয়সে আমার মা মারা গিয়েছেন। আমি মনোবিদ দেখিয়েছি। আমি এখনও কাঁদি। সকলের শোকটাও তো এক হয় না। আবার কখনও হতেই পারে। কোথাও কি অস্বাভাবিক লাগছে না? কত পরিবারের সন্তানই তো চলে যায়, বাবা-মায়েদের দেখেছি শোকে উঠতে পারছেন না। কোথাও গিয়ে আমার মনে হয়েছিল এতটা ‘স্মার্ট’ কীভাবে! যদিও রাজনৈতিকভাবে আমার অনেক কিছুই মনে হচ্ছে। তবে আমি চাই অন্তত এই বিষয়টায় কোনও রাজনৈতিক রং না লেগে প্রকৃত বিচার হয়।’