রুদ্রনীলের সঙ্গে কথা বলার পরই বাংলাদেশে মহাবিপদের মুখে বিখ্যাত অভিনেত্রী, গ্রেফতার এক অভিনেতা!

আকাশ মিশ্র |

Mar 19, 2025 | 2:45 PM

মঙ্গলবার ওপার বাংলায় আয়োজিত এক টক শো'য়ে অংশ নিয়েই, চোখের সামনে রুদ্রনীলের স্পষ্ট হল 'ইউনূস সরকারের বর্বরতা'। বুধবার সোশাল মিডিয়ায় এক লম্বা পোস্টে পুরো ঘটনা তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রুদ্রনীল। শেয়ার করলেন ওপার বাংলার এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের লিঙ্কও।

রুদ্রনীলের সঙ্গে কথা বলার পরই বাংলাদেশে মহাবিপদের মুখে বিখ্যাত অভিনেত্রী, গ্রেফতার এক অভিনেতা!

Follow Us

ইউনুস সাহেবের আপন দেশে আইন কানুন সব্বনেশে! সত্যি বললেই জেল বা খুন? বিগত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এমনই অভিজ্ঞতা হল এপার বাংলার অভিনেতা ও বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষের। রুদ্রনীলের বয়ান অনুযায়ী, ঘটনার মাশুল গুণতে হচ্ছে এক অত্যন্ত খ্যাতনামা ও জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে। ইতিমধ্যে গারদে স্থান পেতে হয়েছে মঞ্চের এক পরিচিত অভিনেতাকেও। মঙ্গলবার ওপার বাংলায় আয়োজিত এক টক শো’য়ে অংশ নিয়েই, চোখের সামনে রুদ্রনীলের স্পষ্ট হল ‘ইউনূস সরকারের বর্বরতা’। বুধবার সোশাল মিডিয়ায় এক লম্বা পোস্টে পুরো ঘটনা তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রুদ্রনীল। শেয়ার করলেন ওপার বাংলার এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের লিঙ্কও।

ঠিক কী ঘটেছে?

সোশাল মিডিয়ায় বরাবরই দারুণ অ্যাক্টিভ রুদ্রনীল ঘোষ। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির আঙিনাতেও বেশ কয়েক বছর ধরে চালিয়ে খেলছেন রুদ্রনীল। এই উভয় পরিচয় নিয়েই বাংলাদেশের ‘বাংলা কথা’ আয়োজিত টক শ’য়ে অংশ নেন অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক, রাজনীতিবিদ রুদ্রনীল। অনুষ্ঠানটিতে সহ আলোচক ছিলেন আওয়ামি লিগ পন্থী অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন সে দেশের জাতীয় পুরস্কার জয়ী বিখ্যাত অভিনেত্রী দীপান্বিতা মার্টিন। রুদ্রনীলের দাবি, আলোচনায় উঠে এসেছিল বর্তমান বাংলাদশের বাস্তব পরিস্থিতির নানা দিক। আর এরপরই অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকাকে বাড়িছাড়া হতে হয়েছে, তাঁকে খুঁজছে সে দেশের গোয়েন্দা পুলিশ। অন্যদিকে, অনুষ্ঠানে রুদ্রনীলের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন বাংলাদেশেরই এক নাট্য অভিনেতা এহসানুল আজিজ বাবু। গতকাল রাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনিও।

এরপরই বুধবার সকালে ফেসবুকের পাতায় রুদ্রনীল লেখেন, “গতকাল রাতে আমাদের টক’শো ও ভীত ইউনুস সরকারের বর্বরতার প্রমাণ। জেল বন্দী করা হলো থিয়েটার কর্মী সমাজকর্মী এহসানুল আজিজ বাবুকে। শো’ সঞ্চালিকা দীপান্বিতা মার্টিনকেও (জাতীয় পুরষ্কার জয়ী,শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী) গ্রেপ্তারের জন্য খুঁজছে বাংলাদেশ গোয়েন্দা পুলিশ, দীপান্বিতা বাড়ি ছাড়া। এদের অপরাধ? বাংলাদেশের বর্তমান কঠিন আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি ও অবাধ ক্রিমিনাল রাজত্ব, সংখ্যালঘু নিপীড়ন, বাংলাদেশে দ্রুত সুস্থ গণতান্ত্রিক নির্বাচন কামনা,ইতিহাস মুছতে অযৌক্তিক ভারত-বিদ্বেষ – ইত্যাদি নিয়ে টক-শোতে বাস্তব আলোচনা। সুতরাং, সত্য বললেই জেল বা খুন। ভারত থেকে আমায় অতিথি হিসাবে এই টক-শোতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বাবু ভাই ও দীপান্বিতা। লাইভ অনুষ্ঠানটি গতকাল রাত ১১টা নাগাদ শেষ হবার পর থেকে এখন অবধি এই খবর”।

সোশাল মিডিয়ায় বাংলাদেশ নিয়ে যখনই কোনও বক্তব্য রেখেছেন রুদ্রনীল ঘোষ, তখনই দেখা গিয়েছে ওপার বাংলার উগ্র নেটিজেনরা ঝাঁপিয়ে পড়ে রুদ্রনীলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন। এই পোস্টে সম্ভবত সে জন্যই রুদ্রনীল লিখলেন, “এই পোস্ট পড়ে বাংলাদেশে উগ্রপন্থা, ক্রাইম বা জেহাদীদের পক্ষের শক্তিরা আবার এই স্বৈরাচার অনাচারকে প্রশ্র‍য় দিতে কমেন্টে ঝাঁপিয়ে পড়বেন জানি। ব্যার্থ ইউনুস সরকারকে বাঁচাবার জন্য গালমন্দ করবেন কমেন্টে। কিন্তু তাতে আপনার প্রিয় দেশকে বাঁচাতে পারবেন তো? নাকি আবার বলবেন,ভারতীয় মিডিয়ার গুজব! এসব করে আর সত্য তো ঢাকা যাবে না বন্ধু। আপনাদের মত মাত্র ৫% আহাম্মকদের জন্যই ৯৫% নিরাপরাধ বাংলাদেশীরা ক্ষতিগ্রস্ত ও নিপীড়িত হচ্ছেন,অর্থ কষ্টে ভুগছেন। শুধু সংখ্যালঘু হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান-আদিবাসীরাই নয়, সত্যি বলতে চাওয়া সংখ্যাগুরু মুসলমানরাও ভীত ও নিপীড়িত আপনাদের আচরণে। পারবেন তো ৯৫% মানুষের গণতান্ত্রিক ইচ্ছাকে গলা টিপে মেরে মাত্র ৪-৫% সর্বজ্ঞানীকে নিয়ে দেশ চালাতে??ভাবুন!

 

ওপার বাংলার এই টক শোয়ে অংশ নিয়েছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। রইল তার লিঙ্ক।