‘বাদ দিন না!’, রাজ রাজনীতি টেনে আনছেন, কড়া প্রতিক্রিয়া বন্ধু রুদ্রনীলের

এই ছবির যে টিজার প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে আমি ক্ষুদিরাম চাকী, আমি ঝুলি না, ঝোলাই, সোশাল মিডিয়ায় এই সংলাপ নিয়ে বিস্তর লেখালেখি চলছে। আমিও দেখতে পেলাম। এক্ষেত্রে আমার দল,রাজনীতির বাইরে গিয়ে, নিরপেক্ষভাবে বলতে চাই, এই ধরনের কোনও ঘটনায়, মানুষ যদি কোথাও কষ্ট পান, কোথাও যদি মনে হয় তাঁদের প্রিয় দুই বিপ্লবীকে কষ্ট দেওয়া হয়েছে, কোথাও অসম্মান করা হয়েছে। তাতে এত বিতর্কের তো দরকার নেই।

বাদ দিন না!, রাজ রাজনীতি টেনে আনছেন, কড়া প্রতিক্রিয়া বন্ধু রুদ্রনীলের

|

Dec 30, 2025 | 6:16 PM

রাজ চক্রবর্তীর ‘হোক কলরব’ ছবির টিজারে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের মুখে ক্ষুদিরাম চাকী, আমি ঝুলি না, ঝোলাই সংলাপ নিয়ে এই মুহূর্তে বিতর্ক চরমে। সোশাল মিডিয়ায় একেবারে তোলপাড়। এই বিতর্ক নিয়ে অবশ্য রাজ দোষ ঠেলেছেন বিজেপি আইটি সেলের উপর। আর এবার এই বিতর্কে প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপি নেতা, অভিনেতা এবং রাজের বন্ধু রুদ্রনীল ঘোষ।

কী বললেন রুদ্রনীল?

টিভি নাইন বাংলাকে রুদ্রনীল বললেন, ‘রাজ চক্রবর্তী ও প্রযোজক শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের হোক কলরব নিয়ে অবশ্যই সবার উৎসাহ রয়েছে। আমারও রয়েছে। আমার শুভেচ্ছা রইল এই ছবির জন্য। কিন্ত এই ছবির যে টিজার প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে আমি ক্ষুদিরাম চাকী, আমি ঝুলি না, ঝোলাই, সোশাল মিডিয়ায় এই সংলাপ নিয়ে বিস্তর লেখালেখি চলছে। আমিও দেখতে পেলাম। এক্ষেত্রে আমার দল,রাজনীতির বাইরে গিয়ে, নিরপেক্ষভাবে বলতে চাই, এই ধরনের কোনও ঘটনায়, মানুষ যদি কোথাও কষ্ট পান, কোথাও যদি মনে হয় তাঁদের প্রিয় দুই বিপ্লবীকে কষ্ট দেওয়া হয়েছে, কোথাও অসম্মান করা হয়েছে। তাতে এত বিতর্কের তো দরকার নেই। এই দৃশ্য কেটে নতুন টিজার আনাই যায়। কিন্তু দুভার্গ্যজনক হল, এটা না হয়ে, যাঁরা ছবিটা তৈরি করেছেন, তাঁদের এই বিতর্ককে কাউন্টার করাটা। কোথাও গিয়ে একটা মানুষকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়ে যাচ্ছে, জনগণকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়ে যাচ্ছে। যা অভিপ্রেত একেবারেই নয়।

এই বিষয়ে রুদ্রনীল আরও বলেন, ”শুধু তাই নয়, আমি জানতে পারলাম, আমার সহকর্মী, বন্ধু ছবির পরিচালক রাজ বলেছে, এটা বিজেপির আইটি সেলের চক্রান্ত। রাজ চক্রবর্তী কি সম্পূর্ণ চোর তকমা পাওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক বলে, মানুষের যা রায়, তা বিজেপির রায় বলে আখ্যায়িত করলেন? তাহলে তিনি কি ভুল কাজ করলেন না! তাহলে তো এটা বুঝতে হবে, বিজেপি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামী যেভাবে সম্মান করে, যেভাবে এই ব্যক্তিত্বদের তুলে ধরতে চায়, খুঁড়ে ইতিহাসকে সামনে নিয়ে আসতে চায়, সেটা সাধারণ মানুষ পছন্দ করছেন। সাধারণ মানুষ সেই সত্যিটাকে মেনেই, বাংলার মাটির যে প্রিয় দুই শহিদ যাঁরা, তাঁদের সম্মান রক্ষার্থে কথা বলছেন। আমি আমার বন্ধু ভাই রাজ চক্রবর্তীকে বলব, একেবারে তৃণমূল স্টাইলে, যা মানুষ কোনও কথা বললেই, তা বিজেপির কথা, বলতে বলতে তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন, বিজেপির কথাই সাধারণ মানুষের কথা। বিজেপি আইটি সেলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। রাজ চক্রবর্তীর এই ছবির টিজারের যে সামান্য কথাটি এসেছে, তা পরিবর্তন করলেই মানুষ শান্ত হয়ে যাবে। তৃণমূলের নেচার হচ্ছে, মানুষ যা বলছেন তা ভুল, তৃণমূল যা চাপিয়ে দিচ্ছে তাই ঠিক। মানুষ যদি কোনও ঘটনা নিয়ে কষ্ট পায়, বঞ্চিচ হন, তাহলে বিজেপির সুরে সুর মিলে যাচ্ছে! আমি দেখলাম, রাজ এর মধ্যে রাজনীতি টেনে আনছে এবং মানুষের আবেগকে ছোট করছে। এই প্রবণতা থেকে সরে আসা উচিত। আমি তো বলব, বাদ দিয়ে দিন না এই জায়গাটা যদি কোনও বিতর্ক তৈরি করে, প্রচুর মানুষ আপনার সিনেমা দেখুক। মেসি কাণ্ড থেকে যে অন্যদের উপর দোষ দেওয়ার প্রবণতা, সেটা থেকে সরে আসা উতিত।”