টলিউডের অন্দরে এখন একটাই খবর। নটী বিনোদিনী ও রুক্মিণী মৈত্র। রামকমল মুখোপাধ্যায়ের ‘বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান’ ছবির ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই সিনেমহলে রুক্মিণীকে নিয়ে চর্চা শুরু। বিনোদিনী দাসীর অবতারে রুক্মিণীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক থেকে ফিল্ম সমালোচকরা। সেই টলিপাড়ার বিনোদিনী ওরফে রুক্মিণী কিন্তু সেই সব প্রশংসাকে সঙ্গে নিয়েই দিনরাত এক করছেন ছবির প্রচারে। কখনও ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা। কখনও আবার নানা সংবাদমাধ্যমের কাছে পৌঁছে বিনোদিনী হয়ে ওঠার গল্প শোনাচ্ছেন রুক্মিণী। বিনোদিনী দাসীর পথ অনুসরণ করে আশীর্বাদ নিয়ে গিয়েছেন বেলুড়মঠে। তবে সোমবার সকালে রুক্মিণী এমন এক সারাপ্রাইজ পেলেন যা দেখে, রুক্মিণীর চোখে জল। তাঁর কাছের মানুষ এমনটাই যে করবেন তা রুক্মিণী ভাবতেই পারছেন না।
পুরো ঘটনাটি রুক্মিণী লিখে ফেললেন সোশাল মিডিয়া পোস্টে। কীভাবে তাঁর হাউজ হেল্প, বিনোদিনী ছবির প্রচারে এগিয়ে এলেন।
রুক্মিণী লিখলেন, সৃষ্টিদি পাঁচ বছর আগে আমাদের বাড়িতে আসেন। আর খুব সহজেই আমাদের পরিবারের এক অংশ হয়ে যান। আজকে সকালে সৃষ্টিদি আমাকে দারুণ সারপ্রাইজ দেন। উনি রোজই লোকাল ট্রেনে চড়ে আমাদের বাড়িতে আসেন। আমাকে সারপ্রাইজ দিতে ২০০ কপি বিনোদিনী ছবির পোস্টার ছাপিয়েছেন সৃষ্টিদি। তাও আবার নিজের পয়সা খরচ করে।
রুক্মিণী এই পোস্টে আরও লেখেন, সৃষ্টিদি আমাকে বললেন, ট্রেনে যাওয়া-আসার সময় তাঁর সহযাত্রীদের এই পোস্টার বিলি করছেন এবং ছবিটা দেখতে অনুরোধ করছেন। সৃষ্টিদির এমন উদ্যোগের কথা জেনে আমি কেঁদেই ফেলেছিলাম। এই ধরনের মুহূর্তই তো আমাদের সত্যিকারের মানুষ তৈরি করে। ধন্যবাদ সৃষ্টিদি। তোমার এই উদ্যোগ আমার বিনোদিনীর যাত্রাকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলল।
নটী বিনোদিনী, বাংলার বুকে আজ থেকে প্রায় দেড়শো বছর আগে যিনি পুরুষ সমাজকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের দাপটে মঞ্চে রাজত্ব করেছিলেন। যাঁর অভিনয় মুগ্ধ করেছিল স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণদেবকে, সেই নটীর কাহিনি এবার বড়পর্দায়। টানা চার বছরের চেষ্টায় এই চরিত্রকে বুনেছেন পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায়। আর সেই চরিত্রকে লালন পালন করেছেন রুক্মিণী মৈত্র। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ২৩ জানুয়ারি সেই ছবি দর্শক দরবারে আসতে চলেছে। সম্প্রতি স্টার থিয়েটারের নাম পাল্টে করা হল বিনোদিনী থিয়েটার। যে খবরে চোখে জল এসেছিল রুক্মিণীর। এখানেই শেষ নয়, ছবি মুক্তির আগে আরও একবার ‘নটী বিনোদিনী’ নিয়ে আবেগঘন নায়িকা।