প্রথম কেমো নিয়েই শুটে ফিরেছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। ইনস্টাগ্রামে সেই ছবি শেয়ারও করেছেন তিনি। এই কঠিন সময়ে ঐন্দ্রিলাকে ভাল থাকতে সাহায্য করে কোন জিনিস? কোন জিনিসই বা তাঁর মুখে হাসি ফোটায়? পোস্ট শেয়ার করে জানালেন ঐন্দ্রিলার বিশেষ বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী।
ইনস্টাগ্রামে ঐন্দ্রিলার সঙ্গে ছবি শেয়ার করে সব্যসাচী লিখেছেন, “এই হাসির জন্যই কাজ করে ও।” অর্থাৎ কাজই তাঁর ভাল থাকার রসদ। পাশে যদি থকেন প্রিয় মানুষ, তবে আর চিন্তা কী? কমেন্ট বক্সেও অনুরাগীরা কামনা করেছেন ঐন্দ্রিলার দ্রুত আরোগ্য। কেউ প্রার্থনা করছেন ‘মা তারার’ কাছে। আবার কারও ভরসা ‘আল্লাহ’।
এ বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পিঠে অসহ্য ব্যথা হতে শুরু হয় ঐন্দ্রিলার। এর পরেই ডাক্তারি পরীক্ষায় ফুসফুসে টিউমার ধরা পড়ে তাঁর। তড়িঘড়ি দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। হয় বায়োপসিও। বায়োপ্সির রিপোর্টে ডান দিকের ফুসফুসের লোয়ার লোবে ৭ সেমি এক ম্যালিগন্যান্ট টিউমার ধরা পড়ে তাঁর।
দুঃসময়ে ঐন্দ্রিলার পাশে থাকার বার্তা নিয়ে দিল্লি উড়ে যান তাঁর বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী। শুরু হয় চিকিৎসা। মোট চারটে কেমো সাইকেল নিতে হবে ঐন্দ্রিলাকে। প্রথমটি নেওয়া হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয়টি শুরু হবে কিছু দিন পর। তবে এর মাঝেই শুটে ফিরেছেন তিনি। ঐন্দ্রিলার কথায়, “কষ্ট হবে, কষ্ট সহ্য করতে হবে… এর পরেই খুশির দিন আসবে।” সেই খুশির দিনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ঐন্দ্রিলার পরিবার এবং কাছের মানুষেরা। অপেক্ষা করছেন তাঁর ভক্তরাও।