
খুব জলদিই সিনেমার পর্দায় দেখা যাবে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে হিয়া চট্টোপাধ্যায়কে। টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে প্রমাণ করতে এবার একেবারে তৈরি শাশ্বতকন্য়া হিয়া। কিন্তু জানেন কি, এই হিয়ার জন্মের সময়ই মারাত্মক বিপদে পড়েছিলেন শাশ্বত? অ্য়াম্বুলেন্স না পাওয়ায়, নিজেই গাড়ি চালিয়ে দক্ষিণ কলকাতা থেকে সল্টলেকে এসে সদ্য়োজাত মেয়েকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন শাশ্বত! হ্য়াঁ, ঠিক এমনটাই ঘটেছিল। সেদিনের কথা আজও ভুলতে পারেননি তিনি। সম্প্রতি ইনডালজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই ঘটনার কথাই তুলে ধরলেন শাশ্বত।
শাশ্বতর স্ত্রীর চিকিৎসকরা আগে থেকেই জানতেন, তাঁর গর্ভে থাকা সন্তান প্রি ম্য়াচুয়র। চিকিৎসকরা জানতেন, সাড়ে সাত মাসেই ওর জন্ম হবে। সেই মতোই দক্ষিণ কলকাতার এক নার্সিং হোমে ভর্তি করা হল শাশ্বতর স্ত্রীকে। শাশ্বতর স্ত্রী যখন অপারেশন থিয়েটারের ভিতর, তখন অভিনেতা বসে রয়েছেন চিকিৎসকদের বসার ঘরে। হঠাৎ শাশ্বত দেখলেন, মেয়ে জন্ম হওয়ার পরেই সদ্যোজাতকে তোয়ালে জড়িয়ে অন্য একটি ঘরে নিয়ে গেল। নার্সের পিছু নিলেন শাশ্বত। অভিনেতা দেখলেন, একটা ছোট খাটের উপর বড় আকারের একটা লাইট জ্বলছে, সেখানে বাচ্চাকে শোয়ানো হল। কিছু বুঝতে না পেরে, শাশ্বত জিজ্ঞাসা করতেই নার্স বলে উঠলেন, ওর ইনকিউভেটার দরকার। কিন্তু এই নার্সিং হোমে ইনকিউভেটার নেই। ওকে নিয়ে যেতে হবে সল্টলেকের নার্সিং হোমে।
ঠিক এরপরই শুরু হল নতুন বিপদ। শাশ্বত জানতে পারলেন, ওই সময় হাসপাতালে কোনও অ্যাম্বুলেন্স নেই। কীভাবে সদ্য়োজাত মেয়েকে সল্টলেকে নিয়ে আসবেন অভিনেতা? সেদিন বেশি চিন্তাভাবনা করেননি শাশ্বত। সদ্য কেনা অল্টো গাড়ি করেই সদ্য়োজাত মেয়েকে সল্টলেকের নার্সিং হোমের উদ্দেশে রওনা দিলেন। ড্রাইভারের সিটে শাশ্বত। পিছনের সিটে নার্সের কোলে সদ্যোজাত আর ডাক্তার স্টেথো দিয়ে বুক দেখছে। গাড়ির ভিতর চলছে হিটার। কলকাতার ব্যস্ত রাস্তার মধ্য়ে দিয়ে গাড়ি ছুটিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন শাশ্বত। এভাবেই সেদিন মেয়ের প্রাণরক্ষা করেছিলেন তিনি। কিন্তু আজও সেই নার্সিং হোমের অবহেলা ভুলতে পারেননি টলিউড অভিনেতা।