শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। টলিপাড়া পা রেখেছিলেন স্টারকিড হিসেবেই। সেটাই তাঁর মূল পরিচয়। যা মেনে নিতে পারতেন না অভিনেতা। যদিও তখন নতুন চিনছেন এই রঙিন দুনিয়াকে। ক্যামেরার সামনে অভিনয় করার স্বপ্ন বুকে নিয়ে যখন প্রথম পা বাড়িয়েছিলেন, তখন তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল ঘর মোছার বালতি আর ঝাঁটা। সম্প্রতি সহজ কথা পডকাস্টে এসে সঞ্চালক রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়কে তেমনই এক গল্প শোনালেন অভিনেতা।
কথায় বলে কেউ সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম নেন, কেউ আবার মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন নিজের স্বপ্নকে সত্যি করবেন বলে। শাশ্বতের পরিচয়ের সঙ্গে তাঁর বাবার নাম জড়িয়ে থাকলেও তিনি দ্বিতীয় শ্রেণিচাই বেছে নিয়েছলেন। চেয়েছিলেন শূণ্য থেকে শুরু করতে। আর সেই সুবাদেই পৌঁছে গিয়েছিলেন জোছোন দস্তিদারের দরজায়। ঢুকেই দেখেছিলেন, তাঁর এক বন্ধু সেখানে ঘর মুছতে ব্যস্ত। দেখে অবাক হয়েছিলেন শাশ্বত। তারপর কী ঘটে? শাশ্বতর কথায়, “ঘরে ঢুকতেই উনি আমাকে বললেন, কীরে শুভেন্দুর বেটা…, অভিনয় করবি! ওটা শুনলেই আমার তখন রাগ হতো। সবাই তাই বলত। প্রথম দেখা তাই আর কথা বাড়ালাম না। ওঁর মধ্য একটা দাপট ছিল। এরপর আমায় প্রশ্ন করলেন, ঘর মুছতে পারিস? আমার আত্মসম্মানে লাগল। মনে হল এ আর এমন কি ব্যপার! ঘুর মুছতে পারব না? বললেন, কাল থেকে চলে আয়। সকাল ৬টায় ঢুকবি, ঘর ঝাঁট দিবি, ঘর মুছবি, ফ্লোর তৈরি করবি, সাড়ে ছ’টা থেকে রিহার্সাল। সেই শুরু হল ঘর পরিষ্কার করা। মাঝে মাঝে প্রকসি দেওয়া। এভাবেই চলতে থাকে।” সেখান থেকেই শুরু অভিনয় জগতের সফর। তিলে তিলে নিজেকে তৈরি করেছেন তিনি। আজ শাশ্বত বাংলা ছবির অন্যতম কিংবদন্তি শিল্পী, বাংলার গণ্ডি পেড়িয়ে ভারতীয় ছবির নায়ক পরিচয় পরিচিত।
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। টলিপাড়া পা রেখেছিলেন স্টারকিড হিসেবেই। সেটাই তাঁর মূল পরিচয়। যা মেনে নিতে পারতেন না অভিনেতা। যদিও তখন নতুন চিনছেন এই রঙিন দুনিয়াকে। ক্যামেরার সামনে অভিনয় করার স্বপ্ন বুকে নিয়ে যখন প্রথম পা বাড়িয়েছিলেন, তখন তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল ঘর মোছার বালতি আর ঝাঁটা। সম্প্রতি সহজ কথা পডকাস্টে এসে সঞ্চালক রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়কে তেমনই এক গল্প শোনালেন অভিনেতা।
কথায় বলে কেউ সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম নেন, কেউ আবার মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন নিজের স্বপ্নকে সত্যি করবেন বলে। শাশ্বতের পরিচয়ের সঙ্গে তাঁর বাবার নাম জড়িয়ে থাকলেও তিনি দ্বিতীয় শ্রেণিচাই বেছে নিয়েছলেন। চেয়েছিলেন শূণ্য থেকে শুরু করতে। আর সেই সুবাদেই পৌঁছে গিয়েছিলেন জোছোন দস্তিদারের দরজায়। ঢুকেই দেখেছিলেন, তাঁর এক বন্ধু সেখানে ঘর মুছতে ব্যস্ত। দেখে অবাক হয়েছিলেন শাশ্বত। তারপর কী ঘটে? শাশ্বতর কথায়, “ঘরে ঢুকতেই উনি আমাকে বললেন, কীরে শুভেন্দুর বেটা…, অভিনয় করবি! ওটা শুনলেই আমার তখন রাগ হতো। সবাই তাই বলত। প্রথম দেখা তাই আর কথা বাড়ালাম না। ওঁর মধ্য একটা দাপট ছিল। এরপর আমায় প্রশ্ন করলেন, ঘর মুছতে পারিস? আমার আত্মসম্মানে লাগল। মনে হল এ আর এমন কি ব্যপার! ঘুর মুছতে পারব না? বললেন, কাল থেকে চলে আয়। সকাল ৬টায় ঢুকবি, ঘর ঝাঁট দিবি, ঘর মুছবি, ফ্লোর তৈরি করবি, সাড়ে ছ’টা থেকে রিহার্সাল। সেই শুরু হল ঘর পরিষ্কার করা। মাঝে মাঝে প্রকসি দেওয়া। এভাবেই চলতে থাকে।” সেখান থেকেই শুরু অভিনয় জগতের সফর। তিলে তিলে নিজেকে তৈরি করেছেন তিনি। আজ শাশ্বত বাংলা ছবির অন্যতম কিংবদন্তি শিল্পী, বাংলার গণ্ডি পেড়িয়ে ভারতীয় ছবির নায়ক পরিচয় পরিচিত।