
নয়ের দশকে টলিউডের হার্টথ্রব ছিলেন অভিনেতা জয় বন্দ্য়োপাধ্যায়। মেয়ে মহলে তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। জানা যায়, সেই সময় কলেজ পড়ুয়ারা কথায় কথায় জয়ের প্রেমে পড়তেন। অঞ্জন চৌধুরী হীরক জয়ন্তীর হিরো, মিলন তিথির মতোই প্রেমিক। বাস্তবে তাঁর নাম জুড়েছিল বহু নায়িকার সঙ্গে যার মধ্যে ছিলেন চুমকি চৌধুরীও। বিতর্ক, অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের জন্য বহুবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন জয়। অভিনয়ের থেকে দূরে সরে গিয়ে, রাজনীতিতে পা দিয়েও বিতর্কে পড়েন। আর রাজনীতির মাঠে তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন তাঁর সহঅভিনেত্রী শতাব্দী রায়।
জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াণের খবর পেয়েই শতাব্দী এক সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, ”নিজের জীবনটা একেবারে অগোছালো করে রেখেছিল জয়। নেশায় ডুবে গিয়েছিল। ফলে সুস্থ রইল না। আমার মনে হয়, নিজের উপর অত্য়াচার করেছে। না হলে তো জয়ের এটা চলে যাওয়ার বয়স নয়।”
একই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সুবাদে বন্ধুত্ব ছিল জয় ও শতাব্দীর। তবে রাজনীতিতে আসার পর তিক্ততা শুরু হয়। শতাব্দীর কথায়, জয় যখন আমার বিপক্ষে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়ায়, তখন আজেবাজে কথা বলত, সেই সময় ওর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হয়েছিল। পরে অবশ্য ফের কথা হয়েছিল।