সায়নী ঘোষ। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি। তবুও লড়াই থামাননি তিনি। রাজনীতির ময়দানে পায়ের তলার মাটি শক্ত করছিলেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসকে ভালবেসে একাধিক উদ্যোগে হয়েছিলেন সামিল। ধীরে ধীরে নিজেকে প্রমাণও করা শুরু করেন তিনি। একটা সময়ের পর তাঁরই কপালে যে যাদবপুরের মতো হাইভোল্টেজ কেন্দ্র অপেক্ষা করছে, তা হয়তো অনেকের জানা ছিল না। কিন্তু সময় এল, সুযোগও এল, আর সঙ্গে এল যাদবপুরের মানুষের আশীর্বাদ, বিশ্বাস, ভালবাসা আস্থা। বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে এখন সাংসদ সায়নী ঘোষ। ভোটে জিতেই নিজ ছন্দে সুর চড়ালেন তিনি। ভোট জেতার জন্য প্রতিশ্রুতির বন্যা নয়। বরং ভোটে জিতেই কথা দিতে ভুললেন না তিনি। নয়া উদ্যোগে যে তিনি মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত, তা স্পষ্ট করে দিলেন।
জয় যুক্ত হয়ে বললেন, ”যাদবপুর লোকসভার মা, মাটি মানুষকে আমার প্রণাম এবং কৃতজ্ঞতা। এই জয় গণতন্ত্রের জয়, এই জয় আপামর বঙ্গবাসী তথা ভারতবর্ষের জয়। আগামীদিনে মাথা উঁচু করে তৃণমূলের পতাকা বহন করবো এবং মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এবং অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মাথা নিচু করে যাদবপুরের মা, মাটি মানুষকে পরিষেবা পৌঁছে দিতে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সকল স্তরের জনপ্রতিনিধি সহ প্রত্যেক শাখা- সংগঠনের নেতৃত্ব এবং সহকর্মী, প্রত্যেকটি বুথের সহযোদ্ধা, সোশ্যাল মিডিয়ার সহকর্মীদের জানাই আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে ধন্যবাদ। যারা গত ৮১ দিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে গণতান্ত্রিক এই লড়াইয়ে সামিল হয়েছিলেন।”