সিরিয়াল বেশি পরিচিতি দিয়েছে- মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন বললেন এই কথা?

মৈনাকের মতে কমার্শিয়াল ছবির সংখ্যা একদম কমে গিয়েছে, হয়না বললেই চলে তাই বাঙালি দর্শকদের সংখ্যাও খুব কমে গিয়েছে, ফলত এখনকার বাংলা ছবি আরবান পপুলার ছবির মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে রয়ে গিয়েছে।

সিরিয়াল বেশি পরিচিতি দিয়েছে- মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন বললেন এই কথা?

|

Apr 21, 2025 | 5:37 PM

অভিনেতা মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহুর্তে ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। নতুন এই ধারাবাহিকের নাম ‘মিঠি ঝোড়া’। সম্প্রতি tv9 বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মৈনাক জানিয়েছেন , সিনেমা নয় বরং টিভি সিরিয়াল করে তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। প্রসঙ্গত মৈনাক সিনেমা, সিরিজ থেকে সিরিয়াল সব মাধ্যমেই কাজ করেছেন।
মৈনাক বলেন, ” গত বছর আমি আমার কিছু বন্ধুকে নিয়ে নর্থ বেঙ্গল জলদা পাড়ার কাছে একটি গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে কয়েকজন গ্রামের লোক আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন, কারন তারই আমার প্রথম ছবি ‘অমরসঙ্গী’ দেখেছে, পরে ‘বরবাদ’ দেখেছেন সেটাই তাদের স্মৃতিতে থেকে গিয়েছে। মাঝের যে এত সিরিজ করেছি সেটা তারা দেখেননি। কাট টু এর পর আবার আমার ‘মিঠি ঝোড়া’ সিরিয়াল শুরু হতেই দর্শকদের নজরে পড়েছি। যদিও আমরা জানি এই সিরিয়ালের গল্প সেই পারিবারিক টানাপোড়েন গল্প, তবুও লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ও শর্বরী দির চিত্রনাট্য ও ডায়লগের জন্য দর্শকদের ভালবাসা পাচ্ছি। ”

মৈনাকের মতে কমার্শিয়াল ছবির সংখ্যা একদম কমে গিয়েছে, হয়না বললেই চলে তাই বাঙালি দর্শকদের সংখ্যাও খুব কমে গিয়েছে, ফলত এখনকার বাংলা ছবি আরবান পপুলার ছবির মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে রয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ” এই সবে একটা ‘খাদান ‘ হয়েছে, সঙ্গে ‘বহুরূপী’ হয়েছে, বাংলার সাধারণ দর্শক ভালবাসায় উজার করে দিয়েছে, এই ধরণের মাস ছবির প্রয়োজন। নাহলে সিনে সিনেমা দেখার দর্শক কমছে। এমনকি এখন যে সব বাংলা ওয়েব সিরিজ হচ্ছে সেগুলিও বলা যায় প্রায় ফ্যামিলি ড্রামা। অর্থাৎ টিভি প্লাস বলা যায়, নাহলে এতদিনেও বাংলায় একটা ‘ফ্যামিলি ম্যান’ হয়না, একটা ‘পাতাল লোক’ দেখিনা। কেবল পরিচালক অয়ন চক্রবর্তীর ‘নিখোঁজ ‘ একটু অন্য ধরনের স্বাদ দেয়। আমার মনে হয় টলিউডের ইন্ডাস্ট্রির ব্যপ্তি হবেনা যদিনা সেই ভাবে কমার্শিয়াল ছবি তৈরি হয়।”
মৈনাক আরও যোগ করেন, ” প্রত্যন্ত জেলা, গ্রামে এখন বাংলা ছবি পৌঁছয়না কারন হল নেই, তবে ঘরে ঘরে সিরিয়াল পৌঁছে গিয়েছে। তাই দর্শক সিরিয়াল এর অভিনেতাদের বেশি চেনে।”