আইনি বিপাকে শাহরুখ খান, বাদশার মন্নতে হানা দিল প্রশাসন!

বেশ কিছুদিন আগেই মহারাষ্ট্রের কোস্টাল জোন ম্যানেজমেন্টের কাছে মন্নতের সংস্কার এবং কিছু নতুন নির্মানের জন্য অনুমতি চেয়েছিলেন শাহরুখের স্ত্রী গৌরী খান।

আইনি বিপাকে শাহরুখ খান, বাদশার মন্নতে হানা দিল প্রশাসন!

|

Jun 21, 2025 | 1:02 PM

দেখুন কাণ্ড! মন্নত সংস্কারের কারণে নিজের বাড়ি ছেড়ে ভাড়া বাংলোতে রয়েছেন শাহরুখ ও তাঁর পরিবার। কিন্তু হঠাৎ শাহরুখ পড়লেন আইনি খপ্পরে। তথ্য বলছে, মন্নতের মেরামতির করাতে গিয়ে শাহরুখ ভেঙেছেন উপকূল অঞ্চলের সংস্কারের নিয়ম। এই অভিযোগে শাহরুখের বিরুদ্ধে নোটিস দিয়েছে বন দফতর এবং বৃহন্মুম্বই পুরসভা। বেআইনি সংস্কারের অভিযোগ পেয়েই দুই বিভাগ এক যোগে বাদশার বাংলোয় হানা দিয়েছে। তবে এই নিয়ে শাহরুখের তরফ থেকে কোনওরকম মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বেশ কিছুদিন আগেই মহারাষ্ট্রের কোস্টাল জোন ম্যানেজমেন্টের কাছে মন্নতের সংস্কার এবং কিছু নতুন নির্মানের জন্য অনুমতি চেয়েছিলেন শাহরুখের স্ত্রী গৌরী খান। সেই অনুমতি পাওয়ায় কারণেই আগামী মে মাস থেকে মন্নতের সংস্কারের কাজ শুরু হচ্ছে। আর সেই কারণেই মুম্বইয়ের পালি হিল এলাকার একটি বাংলো ভাড়া নিয়েছেন শাহরুখ। যার ভাড়া প্রতিমাসে ২৫ লাখ টাকা। জানা গিয়েছে, এই বাংলোটি বলিউড প্রযোজক বাসু ভাগনানির।

এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ জানিয়ে ছিলেন, মুম্বইয়ে পা রাখার পর যখন তাঁর রাতদিন কাটছে স্ট্রাগলের মধ্যে দিয়ে, তখনই একদিন নজর গিয়ে পড়ে সমুদ্রমুখী এই বাংলোতে। তবে এখনকার মন্নত, তখন এমন ছিল না। শাহরুখ সেই সাক্ষাৎকারে জানিয়ে ছিলেন, তখনই তিনি মনে মনে ঠিক করেছিলেন, যদি কোনওদিন সুপারস্টার হতে পারেন, তাহলে এই বাংলোটা তিনি কিনবেন। এর পরের ঘটনাটি বলিউডের ইতিহাস। বলিউড বাদশার সেই সাধের মন্নত নিয়েই বড় ভুল করে বসল মুম্বইয়ের সাবআর্বান কালেক্টর। ২০১৯ সালে মন্নতের লিজহোল্ড থেকে সম্পুর্ণ শাহরুখের নামে সম্পুর্ণ মালিকানা হস্তান্তরের সময়ই বড়সড় ভুল করে বসে মুম্বইয়ের সাবআর্বান কালেক্টর।

২০০১ সালে খোরশেদ ভানু সঞ্জনা ট্রাস্ট থেকে গ্রেড ৩ হেরিটেজের তালিকায় থাকা বাংলোটি ৯৯ বছরের লিজে নেন শাহরুখ খান। হেরিটেজ আইনের কারণে এই বিল্ডিংয়ের কোনও কাঠামোগত পরিবর্তন করার আইন ছিল না। তবে শাহরুখ, সেখানে একটি মাল্টিস্টোরি অ্যানেক্স নির্মাণ করেন, যেখানেই পুরো পরিবারকে নিয়ে থাকেন তিনি। এই নির্মাণের জন্য বেশকিছু নিয়ম ও আইন মেনে চলতে হয়েছে শাহরুখ খানকে।