
সোমবার দুপুর থেকেই আশঙ্কাজনক বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। শারীরিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে, তাঁকে রাখা হয়েছে ভেন্টিলেশনে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, শারীরিক অবস্থা একই রকম রয়েছে ধর্মেন্দ্র। এই মুহূর্তে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ধর্মেন্দ্রকে দেখতে গিয়েছেন তাঁর দুই ছেলে সানি দেওল ও ববি দেওল। হাসপাতালেই রয়েছেন ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী হেমা মালিনী। এমনকী, অভিনেতার শারীরিক অবস্থার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি হাসপাতালে গিয়েছেন শাহরুখ খান ও সলমন খান।
সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সোমবার বলিউডের এই বর্ষীয়ান অভিনেতাকে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে তাঁকে রাখা হয়েছে ভেন্টিলেশনে। ধর্মেন্দ্রর চিকিৎসার জন্য আলাদা মেডিক্যাল বোর্ডও তৈরি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে অভিনেতা রয়েছেন চিকিৎসকদের কড়া নজরে।
Srk leaving from the hospital after checking on Dharmendra ji’s health ❤#ShahRukhKhan #DharmendraDeol pic.twitter.com/3JvpqAD3df
— Riyaz (@RiyazSrkian) November 10, 2025
সোশাল মিডিয়ায় ধর্মেন্দ্রর শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে হেমা মালিনী লিখলেন, ” ধরমজির স্বাস্থ্য নিয়ে সবাই দুশ্চিন্তায়। তাই সবাইকে জানাতে চাই। চিকিৎসকদের কড়া নজরে রয়েছেন তিনি। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।” এমনকী, সানি দেওলের টিমের তরফ থেকেও জানানো হয়েছে, ধর্মেন্দ্রর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
আগামী ডিসেম্বর মাসে ৯০ বছরে পা রাখবেন ধর্মেন্দ্র। ৯০ বছর বয়স হলেও, বলিউডে এখনও দাপটের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। জয়া বচ্চন ও শাবানা আজমির সঙ্গে জুটি বেঁধে করণ জোহরে রকি অউর রানি কি প্রেমে কাহানি ছবিতে তো তাঁর অভিনয় সিনেমার পর্দায় ম্যাজিক তৈরি করেছিল। এমনকী, সদ্য প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর ইক্কিস ছবির ঝলক। যেখানে ধর্মেন্দ্রকে বোঝাই যায় না তাঁর নব্বই বছর বয়স। তারই মাঝে খবরে এল ধর্মেন্দ্র হাসপাতালে।
ধর্মেন্দ্রর পরিবারের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য প্রকাশ করা হয়নি। কয়েকদিন আগেই শ্বাসকষ্ট হওয়ার কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থা স্থিতিশীলই ছিল। তবে সোমবার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ধর্মেন্দ্রর শারীরিক অবস্থা তেমন আশঙ্কাজনক নয়। চিকিংসায় সাড়া দিচ্ছেন অভিনেতা। তবে যেহেতু অভিনেতার বয়স নব্বইয়ের দোড়গোড়ায়, সেহেতু কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না চিকিৎসকরা।