
এই মুহূর্তে লিভিং লেজেন্ড শর্মিলা ঠাকুরের নতুন ছবি ‘পুরাতন’ প্রেক্ষাগৃহে রমরমিয়ে চলছে। সম্প্রতি কলকাতায় এই ছবির প্রচারে এসেছিলেন কিংবদন্তি নায়িকা। সেখানেই তাঁর থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি আর ছবি করতে চাইছেন না কেন? ‘পুরাতন’-কে তাঁর শেষ ছবি কেন বলছেন? এর উত্তরে তিনি জানান, শরীর ঠিক থাকছে না। ছবির শ্যুটিং-এর ধকল নিতে পারছেন না তিনি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই একটি জাতীয় স্তরের টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে শর্মিলা ঠাকুর জানিয়েছেন তিনি ক্যান্সার সারভাইভার। ২০১৮ সালে তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হন। যদিও একদম প্রাথমিক স্তরে ধরা পরে যায়। চিকিৎসার পর এখন তিনি ক্যান্সার মুক্ত। এমনকি তাঁকে কেমো নিতেও হয়নি। তাই ক্যানসার হলে ভয়ের কিছু নেই, তবে একদম প্রাথমিক স্তরে ধরা পরতে হবে। এখনতো অনেকের ক্যানসার হয় ,আবার ভাল হয়ে যায়। বলেই জানান তিনি। তিনি আরও জানান, তাঁর পুত্র সইফ আলি খান, শর্মিলার এই ক্যানসার নিয়ে অকপট কথা দেখে আশ্চর্য হয়েছিলেন। তবে শর্মিলা জানিয়ে ছিলেন, এতে অসুবিধা বা লজ্জিত হওয়ার তো কথা নয়। তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর ব্রেস্ট স্ক্যান করান, যাতে ক্যানসার তাঁর শরীরে ফিরে এসেছে কিনা তা নজরে রাখা যায়।
আপাতত আশি বছরের এভারগ্রিন সুন্দরী শর্মিলা ঠাকুর সুস্থ রয়েছেন। প্রসঙ্গত, অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের প্রথম চলচ্চিত্র ছিল সত্যজিৎ রায় পরিচালিত বাংলা ছবি ‘অপুর সংসার’। তিনি দু’বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। প্রথমবার ‘মৌসম’ (১৯৭৫) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে এবং দ্বিতীয়বার ‘আবার অরণ্যে’ (২০০৩) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে। এছাড়া তিনি ‘আরাধনা’ (১৯৬৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।