
শেফালি জরিওয়ালার মৃত্য়ুতে স্বাভাবিকভাবেই হতবাক গোটা বিনোদুনিয়া। মাত্র ৪২ বছর বয়সে কীভাবে এমন পরিণতি ঘটল, তা নিয়েই চর্চা বুঁদ গোটা বলিপাড়া। ঠিক এরই মাঝে শেফালির মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিলেন তাঁর বন্ধু পূজা।
বলিপাড়ায় রটে গিয়েছে, শেফালি নাকি যৌবনকে অটুট রাখার জন্য নানা চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এটাও রটে, তিনি নাকি বিশেষ ওষুধও নিচ্ছিলেন বেশ কয়েকবছর ধরে। তবে শেফালির পরিবারের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এবার মুখ খুললেন শেফালির বহু পুরনো বন্ধু পূজা। তিনিও একসময় শেফালির সঙ্গে মডেলিং জগতে যুক্ত ছিলেন। এই মুহূর্তে তিনি রয়েছেন দুবাইয়ে।
এক সংবাদমাধ্যমে পূজা জানিয়েছেন, অ্যান্টি এজিং ট্রিটমেন্ট অনেকেই করেন। ওষুধ খান। কিন্তু শেফালি ওষুধ না খেয়ে ইনজেকশন নিয়েছিল। আর এই ইনজেকশনই হয়তো বিপদ ডেকে এনেছে।
সালটা ২০০২। সেই সময় রিমিক্স অ্যালবামের ঝড় চলছে বিনোদন জগতে। ঠিক এরই মাঝে কাঁটা লাগা গানের রিমিক্সে তুফান তুললেন ধূসর চোখের মেয়ে শেফালি জরিওয়ালা। ছিপছিপে শরীরে, তাঁর আদব-কায়দা পুরুষ হৃদয়ে উষ্ণতা ভরিয়ে দিয়েছিল। আর সুন্দরী শেফালি রাতারাতি স্পটলাইটে। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সোজা বলিউডে এন্ট্রি। অক্ষয় কুমার ও সলমনের সঙ্গে করলেন মুঝসে শাদি করোগি ছবি। শুধু ছবি নয়, শেফালিও সুপারহিট। তারপর টুকটাক কয়েকটি হিন্দি ছবিতে দেখা গেলেও, শেফালি জনপ্রিয়তা পেলেন মূলত মিউজিক অ্যালবাম ও রিয়ালিটি শোয়ের অংশ হয়েই। বুগি উগি, নাচ বলিয়ে এবং বিগ বসে এসে নজর কাড়লেন তিনি।
২০০৪ সালে প্রথম বিয়ে হয় শেফালির। পাত্র পাঞ্জাবি গায়ক হরমিত সিং। নিয়মিত দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত তাঁদের। সেই সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। ২০০৯ সালে ডিভোর্স। তারপর শেফালি মন দিলেন ব্যবসায়ী পরাগকে। সোশাল মিডিয়ায় মাঝে মধ্যেই পরাগকে সঙ্গে নিয়ে নানা ছবি পোস্ট করতেন শেফালি। সেই পরাগই শুক্রবার অসুস্থ শেফালিকে নিয়ে আসেন হাসপাতালে। সেখানেই শেফালিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে জানা গিয়েছে। শেফালির অকাল প্রয়াণে স্তম্ভিত গোটা দেশ।