আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ আছেন সইফ আলি খান। তবে এখনও রয়েছেন হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে মঙ্গলবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে। তবে বৃহস্পতিবার রাতের ভয়ানক হামলার ঘটনা এখনও উজ্জ্বল সইফের পরিবারের মনে। অন্যদিকে, সইফ আলি খানের বোন, অভিনেত্রী সোহা আলি খানও বেশ দুশ্চিন্তায় তাঁর দাদাকে নিয়ে। ঠিক এরই মাঝে এক সংবাদমাধ্যমকে সোহা জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতেও এসেছিল ডাকাত!
সোহা জানান, সালটা ২০১১। মুম্বইয়ের খার এলাকার এক অ্যাপার্টমেন্টে স্বামী কুণাল খেমুর সঙ্গে থাকতেন সোহা। এখন অবশ্য সেই অ্যাপার্টমেন্ট বদলে অনত্র রয়েছেন তাঁরা। সোহার কথায়, সেদিন রাতে এক ফিল্মি পার্টি থেকে ফিরে আমি আর কুণাল ডিনার টেবিলে বসে গল্প করছিলাম। অনেকটাই রাত হয়ে গিয়েছিল গল্প করতে করতে। হঠাৎই বারান্দার দিকে খুটখাট আওয়াজ পাই। কুণাল বারান্দার দিকে এগিয়ে যায়। কুণাল দেখতে পায়, এক ব্যক্তি বারান্দায় ওঠার চেষ্টা করছে। কুণালকে দেখে পা ফসকে মাটিতেও পড়ে যায়। কুণালও চট জলদি লোকটাকে ধরতে নিচে নামে। তবে ততক্ষণে লোকটা পালিয়ে গিয়েছিল। দাদার উপর হামলার ঘটনার পর সেই রাতের কথা খুব মনে পড়ছে। সত্যিই বড্ড ভয়ের রাত ছিল।
প্রসঙ্গত, বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় মুম্বই পুলিশ ইতিমধ্যেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের বান্দ্রা আদালত অভিযুক্তকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনা সূত্রে পুলিশ ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে, সইফের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কারণেও হতে পারে। আদালতও এই দাবিকে উড়িতে দিতে নারাজ।
সইফের বাড়িতে যে ভয়ানক কাণ্ড ঘটে গিয়েছে তাতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে অধিকাংশেরই কপালে। পুলিশ ইতিমধ্যেই জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি ভারতীয় নাগরিক নন। তিনি বেআইনিভাবে দেশে লুকিয়েছিলেন। ছিল একাধিক হামলার ছক। সইফ আলি খানের ওপর এই আক্রমণ পূর্বপরিকল্পিত।
তদন্তে নেমে আরও অনেক দিনেই নজর রাখছে পুলিশ। আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, অভিযুক্তের কাছ থেকে অস্ত্র ও অন্যান্য প্রমাণ জোগার করতে আরও বেশ কিছুটা সময় লাগবে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে দফায় দফায় জেরা। অন্যদিকে, অভিযুক্তের আইনজীবী দাবি করেন, সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটলে নাকি এতটা গুরুত্ব পেত না।