জনগণের কাছে তিনি ‘মসিহা’, কারও কাছে ‘ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী’। তিনি সোনু সুদ। গত বছর লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানো থেকে শুরু করে এ বারে অক্সিজেনের জোগান, হাসপাতালে শয্যার ব্যবস্থা– সোনু ফেরাননি কাউকে। কিন্তু আজ তিনি ভেঙে পড়েছেন। হাজার চেষ্টা করেও ভারতীকে তিনি বাঁচাতে পারেন না।
ভারতীর বাড়ি নাগপুরে। তাঁকে কোনও দিনও দেখেননি সোনু। কিন্ত ভারতীর পরিবার তাঁর কাছে সাহায্য চাইতেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নাগপুর থেকে তাঁকে চিকিৎসার জন্য হায়দরাবাদে নিয়ে এসেছিলেন সোনু সুদ। এক মাস ধরে যুদ্ধ করে অবশেষে মারা গিয়েছেন ভারতী। আর সে কারণেই সোনু ভেঙে পড়েছেন।
এক পোস্টে সোনু লিখেছেন, “গত এক মাসে বাঘিনীর মতো লড়ে গিয়েছ তুমি ভারতী। যদিও তোমার সঙ্গে আমার কোনও দিন দেখা হয়নি, কিন্তু সারা জীবন তুমি আমার জীবনে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে থাকবে। তোমার পরিবারের জন্য আমার সমবেদনা। খুব শীঘ্রই তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যাব আমি। তোমায় মিস করব ভারতী। খুব মিস করব তোমায়।”
আরও পড়ুন-‘মাস্ক পরে রক্তদান নয়’, বলছেন সোনু নিগম, কী বলছেন চিকিৎসকরা?
ভারতী লড়াইয়ে হার মেনেছেন ঠিকই, সোনুর জন্য লড়াই জিতেছেনও অনেক মানুষ। দিন কয়েক আগে তাঁর এনজিও থেকে কর্ণাটকে আপদকালিন পরিস্থিতে জোগান দেওয়া হয়েছে ১৬ টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের। সম্প্রতি সুরেশ রায়নার পরিবারের এক সদস্যের অক্সিজেনের দরকার হলেও পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। নিজেও কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিল সোনু। তবে সেরে উঠেই আবারও জনগণের সেবায় ব্রতী হয়েছেন সোনু সুদ।