শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। কখনও পথে নেমে কখনও আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়ে তিনি তিলোত্তমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। চেয়েছেন বিচার। চেয়েছেন নারীদের নিরাপত্তা। ধর্ষকের ভয়াবহ শাস্তি হওয়া উচিত। প্রতিটা মানুষের মুখে এখন একটাই দাবি। ফাঁসি হোক। কিন্তু না, শুভশ্রীর নজরে এবার অন্য শাস্তি। এই নারকীয় ঘটনায় ইতিটানতে হলে ভয়াবহ শাস্তি দিতে হবে। আর কী তা! এবার নিজেই বাতলালেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্টোরি শেয়ার করে যে ছবি তুলে ধরলেন শুভশ্রী, তা স্পষ্ট করে গারুদা পুরাণ অনুসারে ধর্ষকের শাস্তি হওয়া উচিত।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে বড় খাঁচার ভিতর এক মানুষ। তিনি সম্পূর্ণ উলঙ্গ। শাস্তি দিতে তার যৌনাঙ্গের উপর খাঁচায় করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ইঁদুর। যা ক্ষতবিক্ষত করেছে তাকে। এরই সঙ্গে লেখা, এরকমই শাস্তি হোক। যাতে এরপর কোনও পারভার্ট ধর্ষণের কথা ভাবার সময়ও ভয় কাঁপে।
এরই কয়েকদিন আগে নিজেই এক কবিতা লিখে প্রতিবাদে সামিল হন তিনি। দাবি করেছেন শাস্তির। একই সঙ্গে জানিয়েছেন আর নিয়মে বেঁধে থাকতে চান না তিনি। মানতে চান না কোনও রীতি। তাঁর প্রশ্ন, ‘সংস্কার ধরে রাখার দায়িত্ব কি শুধু আমাদের? ওরা তা হলে করবে কী?” প্রশ্ন হল এই ‘ওরা’ আদপে কারা? পুলিশ নাকি প্রশাসন নাকি শুভশ্রীর নিশানায় অন্য কেউ! শুভশ্রী আরও লেখেন, “… অনেক হয়েছেন নোংরামি, অনেক করেছো পাপ/ তাই তো নেই কোনও অনুতাপ। তাই তো ফেসবুকে পোস্টের বন্যা। আমরা না কি পতিতা/ আমরা না কি নষ্টা! দেখ তাহলে, এই নষ্টারাই এবার গড়বে দুনিয়া। যেখানে বাপকেও ছাড়ে না পাপ!” নতুন দুনিয়া গড়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে চেয়েছেন প্রতিকারও। তবে নেটিজেনদের একটাই প্রশ্ন তাঁকে শুভশ্রীর এই প্রতিবাদ আদপে কার বিরুদ্ধে? একজন লিখেছেন, “আপনার স্বামী রাজ চক্রবর্তী একজন তৃণমূল বিধায়ক। বারবার করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠছে, রাজের এই ব্যাপারে মত কী? তিনি কি শাসকদলের পদ ছেড়ে দেবেন?”