পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় ও সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহিত জীবনে বহুদিন পার হয়েছে। সুদীপা অগ্নিদেবের দ্বিতীয় স্ত্রী। ভালবাসার বিয়ে, বয়সের ফারাক বিস্তর। দু’জনে বিয়ে করার পর তা নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। আজও ‘বুড়ো বর’ ট্যাগ অগ্নিদেবের গায়ে। তাতে কী? স্বামীর কাছে আজীবন ঋণী সুদীপা। কেন জানেন? বরানগরের মেয়ের জীবন দর্শন যে তাঁর হাত ধরেই। না, আজ তাঁদের বিবাহবার্ষিকী নয়। তবু পৌষালী দুপুরের স্বামীর জন্য ভালবাসা উজাড় করে দিয়েছেন সুদীপা। করেছেন এক প্রেমমাখা পোস্ট। বহু দিন আগের এক ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, “অগ্নিদেবই শিখিয়েছে আমার কেমন হওয়া উচিৎ। ওই আমায় শিখিয়েছে আমার কী ধরনের পোশাক পরা উচিৎ। ওই আমাকে শিখিয়েছে আমার ব্যবহার কেমন হওয়া উচিৎ। শিখিয়েছে কীভাবে খাব, শোব, শিকার করব। এক কথায়, ও হল পারফেকশনিস্ট।”
বরাবরই স্বামীকে নিয়ে গর্বিত সুদীপা। চিরকালই জোর গলায় তাঁর জীবনে স্বামীর অবদান স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তাঁদের নিয়ে কম কটাক্ষ হয়নি। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে অগ্নিদেবের সংসার ভাঙার জন্য দায়ী করা হয়েছে সুদীপাকে। যদিও সুদীপার সৎ ছেলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কিন্তু বেজায় মধুর। তাঁদের দু’জনের বয়সের ফারাক খুব একটা বেশি নয়। তাই মা-ছেলে নয়, তাঁরা দু’জনে বন্ধুর মতো।
গত বছর পুজোর সময় সুদীপার জীবনে উঠেছিল ঝড়। প্রথমে হারিয়েছিলেন তাঁদের প্রিয় পোষ্যকে। এর কিছু দিন পরেই বাইপাস সার্জারির জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল অগ্নিদেবকে। যদিও সেই অস্ত্রোপচার সফল হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে সে সময়ে টিভিনাইন বাংলাকে বলেছিলেন, “আপনাদের সবার প্রার্থনায় অপারেশন সফল হয়েছে। জ্ঞান ফেরেনি কিন্তু সব কিছু ঠিকঠাক হয়েছে। আজ সারাদিনটাই হয়তো জ্ঞান সেভাবে ফিরবেন না। ডাক্তার তাই বললেন। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই।” আপাতত সব শান্ত। স্বামী, পুত্র ও পরিবার নিয়ে সুখের সংসার করছেন তিনি।