
নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলেন না সানি দেওল। গত সোমবার থেকে ধর্মেন্দ্রর শারীরিক অবস্থা নিয়ে যে ধরনের ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়েছে, তা দেখে রীতিমতো বিরক্ত সানি। এর আগে সোশাল মিডিয়ায় বার বার ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন অভিনেতা। তবে এবার আর সোশাল মিডিয়ায় নয়, বরং সরাসরি পাপারাজ্জিদের ক্য়ামেরার সামনে রুদ্রমূর্তি ধরলেন সানি। একহাত নিলেন ছবি শিকারিদের।
সোমবার থেকেই গুরুতর অসুস্থ ধর্মেন্দ্র। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁক। যত রাত বাড়ে, ততই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। দেওল পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন ধর্মেন্দ্র। এমনকী, সংবাদমাধ্যমের কাছে অনুরোধ করা হয়, ভুয়ো খবর যেন না রটে।
মঙ্গলবার সকালে হঠাৎই রটে যায় প্রয়াত ধর্মেন্দ্র। খবর ছড়িয়ে পড়তেই রেগে লাল হন সানি দেওল, ববি দেওল। মুখ খোলেন এষা ও হেমাও। বুধবার হাসপাতাল থেকে ধর্মেন্দ্র ঘরে ফিরতেই ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে সানির। বাড়ির সামনে পাপারাজ্জিদের দেখতেই রীতিমতো তেড়ে আসেন। হাতজোড় করেই চিৎকার করে ওঠেন। পাপারাজ্জিদের উদ্দেশে বলেন, ”তোমাদের লজ্জা করে না। তোমার বাড়িতেও তো মা-বাবা আছেন। কী নিলর্জ্জ তোমরা। এখনও ভিডিয়ো তুলে যাচ্ছ।”
প্রসঙ্গত, ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের চিকিৎসক প্রতীত সমদানির নজরদারিতে চিকিৎসা চলছিল ধর্মেন্দ্র। সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে সমদানি এদিন বলেন, “বুধবার সকাল সাতে সাতটা নাগাদ ধর্মেন্দ্রজিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে। বাড়িতে তাঁর চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁর পরিবারের লোকজন।”
২ দিন আগে বর্ষীয়ান এই অভিনেতার প্রয়াণের খবর প্রকাশ করা হয়েছিল বিভিন্ন মিডিয়ায়। তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র-কন্যা তথা অভিনেত্রী এষা দেওল। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছিলেন, “আমার বাবার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি সুস্থ হচ্ছেন। সবাইকে অনুরোধ, আমাদের পরিবারের গোপনীয়তাকে সম্মান করুন।” ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী অভিনেত্রী হেমা মালিনীও। ভুয়ো খবর না রটিয়ে ধর্মেন্দ্রর দীর্ঘায়ুর জন্য প্রার্থনা করতে সবাইকে অনুরোধ করা হয় সানি দেওলের টিমের পক্ষ থেকেও।