ছোট্ট একটা শব্দ, ‘হ্যাঁ’। আর তাতেই তোলপাড় নেটদুনিয়া। অনেক প্রশ্ন, অনেক কৌতূহল, লুকিয়ে থাকা উত্তরের অবসান হল তবে অবশেষে? এক হলেন শোভন-স্বস্তিকা? উত্তর দিলেন স্বস্তিকা নিজেই।
শনিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন পর্দার রাধিকা ওরফে স্বস্তিকা দত্ত। লাল পাঞ্জাবিতে শোভন আর শাড়িতে তিনি। হাসি-হাসি মুখ, স্বস্তিকার হাত ছুঁয়ে যাচ্ছে শোভনের পাঞ্জাবি। ব্যাক গ্রাউন্ডে আলো-আঁধারি কলকাতা যেন ভালবাসার রঙে যোগ করেছে অন্য মাত্রা। শোভনও একই ছবি শেয়ার করেছিলেন তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে। ক্যাপশনে শোভন লিখেছিলেন, “দুই দিয়ে গুন-দ্বিগুণ”। আর স্বস্তিকার ছোট্ট উত্তর, “হ্যাঁ”।
কীসের হ্যাঁ? শোভনের প্রেম প্রস্তাবের? নাকি একসঙ্গে সারাজীবন কাটানোর অঙ্গীকারের? স্বস্তিকার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে হেসে উঠলেন তিনি। বললেন, “ছবিটা তোলার সময় শোভন বলল ‘আরে একটু হাস’, তখনই হ্যাঁ বলেছিলাম ওকে।” শুধুই কি হাসিতে সম্মতি? কথাতেই তো বলে, “হাসি তো ফাঁসি”। স্বস্তিকার উত্তর, “ওর সব কিছুতেই হ্যাঁ বলি আমি। তাই এ বারেও হ্যাঁ।” আর প্রেমে, সেখানেও হ্যাঁ? “ওই যে বলে না তিনটে ম্যাজিকাল শব্দ, কেউ কোনওদিনও বলিনি কাউকে। শোভনের সঙ্গে কথা বলতে ভাল লাগে, ওকে কম সময়ে অনেক বেশি চিনেছি। ওই তথাকথিত প্রস্তাব তো দিইনি কেউ কাউকে। তাই কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে প্রেম কবে থেকে শুরু বলতে পারব না। কারণ শোভন আমার প্রেমিক কতটা জানি না, শুধু জানি যদি জীবনে কোনও দিন ফেডআপও হয়ে যাই ওর সঙ্গেই ফেডআপ হতে চাই।”
স্বস্তিকার ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট
শোভন-স্বস্তিকার আলাপ এক অনুষ্ঠানে। দু’জনেরই অতীত রয়েছে। কিন্তু সে সব মনে রাখতে চান না দু’জনেই। অল্পদিনে কীভাবে এত কাছের হয়ে গেলেন শোভন। স্বস্তিকার কথায়, “ওর স্ট্রাগলটাকে সম্মান করি। ও মানুষ হিসেবে এত ভাল। সব কিছু শেয়ার করা যায়। রাস্তা দিয়ে সুন্দরী মহিলা গেলেও ওকে বলি “দেখ দেখ”। আবারও বলছি শোভনের সঙ্গে প্রেম, ভালবাসা এ সবের থেকেও সবচেয়ে বড় কথা হল ও আমার খুব ভাল বন্ধু। খুব কাছের বন্ধু। ওকে আই লাভ ইউ বলিনি কোনও দিনও। শুধু বলেছি ‘আছি’।”
গতকাল শোভনের সঙ্গে ছবিটা পোস্ট করার আগের মুহূর্তেও নানা চিন্তা মাথায় আসছিল স্বস্তিকার। এটা নিয়ে খবর হবে, চলবে গুঞ্জন, পক্ষে-বিপক্ষে উঠে আসবে নানা কথা। কিন্তু ‘লোক ক্যায়া কহেঙ্গে’কে হার মানিয়ে দিয়েছে ওদের ইকুয়েশন, ওদের কেমিস্ট্রি। অভিনেত্রীর কথায়, “কোনওদিনই ব্যক্তিগত জীবনকে প্রকাশ্যে আনিনি। এই প্রথম। শোভনকে একটা কথাই বারেবারেই বলব, তোর পাশে আছি। সবসময় থাকব।”
আর বাবা-মা? তাঁরা জানেন সবটা? “বাবা-মা ওকে ভীষণ ভালবাসে। দেখাও করেছে ওরা অনেকবার…”, স্বস্তিকার গলায় ঝলকে উঠল খুশি, পরিতৃপ্তি, স্বজন ফিরে পাওয়ার আত্মবিশ্বাস। ফেব্রুয়ারি সত্যিই প্রেমের মাস!