‘… কাঁকড়ার মতো হাল করে দেব’, কাকে এমন ‘হুমকি’ শ্রুতির?
প্রসঙ্গত, দেশের মাটি শুরু হওয়ার পর থেকেই দর্শকের একাংশের পছন্দ রাজা-মাম্পি জুটি ওরফে রাহুল-রুকমা। তাঁদের আনন্দে ফেসবুকে গদগদ পোস্ট, তাঁদের বিরহে চোখে জল আসে ভক্তদের।
ঝালে-ঝোলে কষা কষা করে রান্না করা এক প্লেট কাঁকড়া, যা দেখলে জিভে জল চলে আসতে বাধ্য। অভিনেত্রী শ্রুতি দাসেরও এসেছিল তেমনটাই… কিন্তু একই সঙ্গে প্রচ্ছন্ন হুমকিও দিয়ে রাখলেন শ্রুতি, কাদের উদ্দেশ্যে?
গত রবিবার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সমুদ্র ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন শ্রুতি। ছোট্ট রোড ট্রিপ। সঙ্গে বাবা-মা যেমন ছিলেন, ঠিক তেমনই হাজির ছিলেন তাঁর প্রেমিক পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারও। সমুদ্রতট থেকে একের পর এক ছবি শেয়ার করেছিলেন তিনি। কিন্ত এ দিন ইনস্টাগ্রামে ওই ঝাল ঝাল কাঁকড়তে কামড় বসানোর এক ছবি পোস্ট করে শ্রুতি লেখেন, “মাঝে মাঝে ফেসবুকের কিছু লোকজনের কমেন্ট দেখে এমন রাগ হয় মনে হয় এই কাঁকড়া টার মতো তার হাল করে দেব…”। এর পরেই শ্রুতি যোগ করেন, “পরে ভাই এত টেস্টি হবে না, তাই ক্যানসেল।” ‘হুমকি’ দিয়েও ফিরিয়ে নিলেন শ্রুতি। একই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন কাঁকড়াটির স্বর্গীয় স্বাদের কথাও।
এই মুহূর্তে ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন শ্রুতি। তাঁর চরিত্রের নাম নোয়া। বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর অল্প দিনের কেরিয়ার। কিন্তু ইতিমধ্যেই দর্শকের দরবারে তিনি পরিচিত নাম। প্রথম ধারাবাহিকেই তাঁর জনপ্রিয়তা এসেছিল। এখন ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকেও তাঁর অভিনয় বেশ চর্চিত। তবে এরই মধ্যে জুড়েছে বিতর্ক। কখনও গায়ের রঙ নিয়ে আবার কখনও ধারাবাহিকে তাঁর ভূমিকা কেন্দ্র করে শুনতে হয়েছে খারাপ মন্তব্য। প্রতিবারই শ্রুতি যদিও প্রতিবাদ করেছেন। ট্রোলারের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইমে অভিযোগও জানিয়েছেন। নিয়েছেন উপযুক্ত ব্যবস্থাও।
View this post on Instagram
প্রসঙ্গত, দেশের মাটি শুরু হওয়ার পর থেকেই দর্শকের একাংশের পছন্দ রাজা-মাম্পি জুটি ওরফে রাহুল-রুকমা। তাঁদের আনন্দে ফেসবুকে গদগদ পোস্ট, তাঁদের বিরহে চোখে জল আসে ভক্তদের। সপ্তাহ কয়েক আগে রাম্পি ফ্যানের একাংশ অতি আনন্দে শুরু করেছিল ধারাবাহিকটির অন্যান্য জুটিকে অপমান। শুরু হয়েছিল কুৎসিত ট্রোলও। এই ট্রোলিংয়ের সবচেয়ে বড় শিকার হয়েছিলেন শ্রুতি দাস ওরফে নোয়া ও দিব্যজ্যোতি ওরফে কিয়ান। এ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রাহুল। ফেসবুকে তিনি লিখেছিলেন, “অনেকদিন অনেক কিছু সহ্য করছি,কিন্তু রাজা-মাম্পি কে ভালোবাসার অর্থ যদি হয় আমার সহ অভিনেতা/অভিনেত্রীদের অপমান করা…রক্ষে করুন,চাই না এমন ভালোবাসা”। রাহুলের সমর্থনে এগিয়ে আসেন রুকমাও। তিনি লেখেন, “ঠিক কথা বলেছ, সব কিছুর একটা লিমিট থাকা উচিত।”
ধারাবাহিকের রয়েছে নানা ট্র্যাক। সেই ট্র্যাকের উপরেই ভিত্তি করে কখনও রাহুল-রুক্মার কেমিস্ট্রি পেয়ে যায় প্রাধান্য আবার কখনও বা শ্রুতি-দিব্যজ্যোতি জায়গা পান গোটা এপিসোড জুড়ে। এই মুহূর্তে যেমন শ্রুতির ট্র্যাকটি টানটান উত্তেজনায় ভরা। শ্রুতিও মনপ্রাণ ঢেলে অভিনয় করছেন।
আরও পড়ুন: স্মৃতির সরণী দিয়ে হাঁটলেন সৌমিত্র কন্যা পৌলমী বোস; শেয়ার করলেন অদেখা কিছু ছবি
আরও পড়ুন: Mallika Sherawat: সিনেমায় এসেছিলেন বলে বাবা ত্যাজ্য করেছিলেন; মল্লিকাও ত্যাগ করেছিলেন পিতৃ পরিচয়