
স্নেহা সেনগুপ্ত
‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ ধারাবাহিকে মা তারার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ছোটপর্দায়। তারপর কাজ থামাননি একদিনের জন্যেও। কোনও না-কোনও সিরিয়ালে অভিনয় তাঁর জারি থাকে। তিনি নবনীতা দাস। তাঁর আরও এক পরিচয়–তিনি অভিনেতা জিতু কামালের স্ত্রী। থুড়ি ছিলেন। স্ত্রী ছিলেন। এখন তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। হঠাৎই একদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেন নবনীতা যে, তিনি আর জিতুর কেউ নন। ইনিয়ে-বিনিয়ে জিতুও সীলমোহর দেন সেই পোস্টে। তবে নিত্যদিনই জিতুর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ‘বাচ্চা বউ’কে উদ্দেশ্য করে থাকে কোনও না-কোনও কথা। তা দেখে নেটিজ়েনদের মনে হতে থাকে, বউকে হয়তো খুবই ‘মিস’ করেন অভিনেতা। আজ বিজয়া দশমী (২৪ অক্টোবর)। গত বছর আজকের দিনটায় জিতু-নবনীতা ছিলেন পাশাপাশি, হাত ধরাধরি করে। লাল পাড় শাড়িতে সিঁদুর খেলেছিলেন নবনীতা। স্বামী-সোহাগীরা যেমন খেলেন আরকী। কিন্তু এবারটা তেমনটা এক্কেবারেই ঘটছে না। বিয়েটা টিকে নেই। তাই সিঁদুর খেলাও নেই অভিনেত্রীর জীবনে। TV9 বাংলাকে আরও কিছু বিস্ফোরক কথা বলেছেন নবনীতা।
পঞ্চমী-ষষ্ঠী চুটিয়ে কাজ করেছিলেন তিনি। সপ্তমী পর্যন্ত ছিল তাঁর পুজোপরিক্রমার নানা কাজ। এ প্যান্ডেল থেকে ও প্যান্ডেলে ঘুরে বেড়ানো। অষ্টমী থেকে আজ দশমী পর্যন্ত বিষাদে মাখা নবনীতার পুজো। কাজের বাইরে একটিও ঠাকুর দেখেননি। কোত্থাও যানওনি। কেবলই বিশ্রাম আর বিশ্রাম। এরপরই শুরু হবে তাঁর কাজের চাপ। দশমীতে সিঁদুরটাও খেলবেন না নবনীতা। সবটাই কি জিতুর থেকে আলাদা হওয়ার দুঃখে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচ্ছেদ-পোস্ট দেওয়ার সময় নবনীতা তাঁর এবং জিতুর একসঙ্গে যাপিত কিছু ছোট্ট-ছোট্ট বিষয়কে তুলে ধরেছিলেন। এক তোয়ালে, এক দাঁত মাজার ব্রাশের ব্যবহার, ইত্যাদিকে ‘মিস’ করছিলেন নবনীতা। TV9 বাংলাকে নবনীতা বলেছেন, “এবার পুজোতে আমি কোত্থাও যাইনি। পুজো পরিক্রমার কাজ দুটো আগে থেকে স্থির করা ছিল, তাই তখনই বেরিয়েছিলাম। বাকি দিনগুলো আমি কোত্থাও যাইনি। আমি এবার মা দুর্গাকে বরণ করিনি। আমি সিঁদুরও খেলব না। জিতুর জন্যে কিন্তু কিছু নয়। আমি আসলে খুবই ক্লান্ত। আমার জীবনটাও পাল্টে ফেলেছি। জামাকাপড় থেকে ফোন–সবকিছুই আমি পাল্টে ফেলেছি। ওখান থেকে ফেরার পর থেকে আগের কিছুই ব্যবহার করি না আর।”