Aparajita Adhyay: ভাইরাল জ্বর থেকে উঠেই টানা ৮ ঘণ্টা জলে শুটিং; একবারের জন্যেও কেন ডাঙায় উঠেননি অপরাজিতা?
Jol Thoi Thoi Bhalobasha: পরপর সিনেমায় কাজ করে ফের ধারাবাহিকে অভিনয় করতে শুরু করেছেন বাংলা বিনোদন জগতের অন্যতম দাপুটে অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। ২০২২-২০২৩ সালই সেই প্রমাণ। প্রথমে 'লক্ষ্মীকাকিমা সুপারস্টার'। তারপর 'জল থই থই ভালবাসা'। দুটি সিরিয়ালেই মা লক্ষ্মীর নামকরণে হয়েছে অপরাজিতার নাম। প্রথমটিতে লক্ষ্মী দাস। দ্বিতীয়টিতে কোজাগরী বসু। এই কোজাগরী বসু হতে গিয়েই জীবনের না শেখা অধ্যায়টিও পূরণ করে ফেললেন অভিনেত্রী।
স্নেহা সেনগুপ্ত
জলে ভীতি ছিল অপরাজিতার। মোটে নামতেই চাইতেন না। ‘জল থই থই ভালবাসা’ করতে গিয়ে সেই ভীতিও কাটাতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। এই সিরিয়ালের কোজাগরী কেমন মানুষ? সিরিয়াল যাঁরা ইতিমধ্যেই দেখেছেন, তাঁরা জানেন, সে নিতান্তই শিশু। বয়স হতে পারে ৫০ পেরিয়েছে। কিন্তু তাঁর জীবনীশক্তি ছোটদেরও হার মানাবে। পাড়ায় ছোটদের জন্য আয়োজিত ‘যেমন সাজো’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে কোজাগরী। সেই অংশগ্রহণকারীদের তালিকায় থাকে না বড়রা। ঠিক তেমনই ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিযোগিতাতেও পাড়ার ছোটদের সঙ্গেই নাম লেখায়। বাড়ির সদস্যদের অমত থাকা সত্ত্বেও নিজের ইচ্ছেকেই প্রাধান্য দেয় সাহসিনী।
সিরিয়ালের প্রোমোতেই স্পষ্ট হয়েছিল, ছোটদের সঙ্গে একই সারিতে দাঁড়িয়ে ‘কোজাগরী’ অপরাজিতা। পরনে তাঁর সুইমিং কস্টিউম। তা হলে কি চরিত্রের ইংলিশ চ্যানেল পার করার অদম্য কাহিনি লিখলেন প্রযোজক-লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়? তাঁর নতুন জার্নি সম্পর্কে TV9 বাংলাকেই প্রথম অকপট কিছু প্রশ্নের উত্তর দিলেন অপরাজিতা…
প্রশ্ন: আপনি কি সাঁতার কাটতে জানতেন?
অপরাজিতা: না না, আমি তো পাথর-বাটি। আমাকে জলে ফেললেই ডুবে যাব।
প্রশ্ন: তা হলে ‘জল থই থই ভালবাসা’ সিরিয়ালে সাঁতার কাটলেন কীভাবে?
অপরাজিতা: যেদিন সিরিয়ালের প্রোমো শুটিং হয়, সেদিন সবে মাত্র আমি ভাইরাল জ্বর থেকে উঠেছি। সেইদিন খুবই অসুবিধে হচ্ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়বার সেই অসুবিধে আর হয়নি।
প্রশ্ন: জলে কতক্ষণ শুটিং চলেছিল?
অপরাজিতা: সেদিন ৮ ঘণ্টা শুটিং হয়েছিল। আমি বলেছিলাম, আমাকে জলে নামিয়ে দেবেন, তারপর আমি আর উঠব না। জল থেকে উঠলেই ভিজে শরীরে আবার ঠান্ডা লেগে যেতে পারত। যতক্ষণ ওরা ক্যামেরা সেটআপ করছিল, অ্যাঙ্গেল পাল্টাচ্ছিল আমি জলেই ছিলাম। সেই ফাঁকে ট্রেনার মহিলা যিনি ছিলেন, তাঁর কাছে সাঁতারটা শিখে নিই। আমি নিজেও খানিকটা কোজাগরীর মতোই। মনে করি শেখার কোনও বয়স নেই। বিকল্পও নেই। সেদিন ৮ ঘণ্টার শুটিংয়ের বিরতিতেই সাঁতার শিখে নিয়েছিলাম।
প্রশ্ন: তা হলে তো আপনি এখন সাঁতার কাটতে জানেন…
অপরাজিতা: মোটামুটি পারব। পাথর-বাটির মতো ডুবে যাব না আর। অন্তত ভেসে থাকার উপায় জানা হয়ে গিয়েছে।
প্রশ্ন: কোজাগরী কি সত্যিই ইংলিশ চ্যানেল পার করবে এই ধারাবাহিকে?
অপরাজিতা: সেটা তো লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানেন। আমি জানি না।
প্রশ্ন: সিরিয়াল তৈরির সময় আপনার নিজের অনেক ইনপুট থাকে। ‘জল থই থই ভালবাসা’র ক্ষেত্রে কতখানি নিজস্ব মতামত দিচ্ছেন?
অপরাজিতা: আমি মনে করি না লীনাদির গল্পে কোনও নিজস্ব ইনপুট দেওয়ার প্রয়োজন আছে। কারণ, তিনি এমন একজন লেখিকা, যখন থেকে আমি তাঁর ছোট গল্প পড়েছি, জানেন কী করতে হবে। তার উপর তিনি জানেন কোন শিল্পী কী করতে পারেন। এবং তিনি সেই অনুযায়ীই একটি গল্প তৈরি করেন। অনেক জায়গাতেই আমি নিজের ইনপুট দিয়ে থাকি। যেমন পরিচালক মৈনাক ভৌমিক আমার মতামত না নিয়ে ছবিই করেন না। ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতেও তাই। একমাত্র লীনাদিকে আমি কোনও মতামত দিই না। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়কে কোনও মতামত দিই না। এবং অবশ্যই নন্দিতা রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কেও দিই না। কারণ আমি মনে করি, এরা প্রত্যেকেই আমার চেয়ে আমাকে বেশি ভাল চেনেন।