আপামর বাঙালি তাঁর রূপে মুগ্ধ। তাঁর মেধায় উদ্বেল। তাঁর ব্যক্তিত্বের সামনে নতজানু। মহিলাদের মনের ক্রাশ। যে সময় থেকে ‘মহারাজ’ এদেশ-ওদেশ ঘুরে ছক্কা মারছেন মাঠে, তবে থেকেই। দাদার দাদাগিরি সেই থেকেই। তাই তাঁকে সামনে থেকে দেখামাত্রই মনের মধ্যে পিয়ানো বেজে ওঠে অনেকের। বিশেষ করে অভিনেত্রীদের। তেমনই এক নিদর্শন পাওয়া গেল সম্প্রতি।
রবি ওঝার ‘এক আকাশের নীচে’ ধারাবাহিকে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অদিতি চট্টোপাধ্যায়। তাঁর পান-পাতার মতো মুখ দেখে অনেকেই মোহিত ছিলেন। সেই অদিতি অনেকগুলো দিন দেশে ছিলেন না। ফিরে এসে ফের অভিনয়ে মন দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি সম্প্রচার শুরু করেছে ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ ধারাবাহিকটি। নায়ক অনিকেতের (অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু) মা অপরাজিতার চরিত্রে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। ধারাবাহিকের প্রচার করতেই দাদাগিরিতে এসেছিলেন অদিতি এবং এসেই দাদার সম্মুখে পড়ে যান তিনি। এবং তখনই দাদা সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে নিজের মনের কথা জানিয়ে দেন অদিতি।
ডায়াসে দাঁড়িয়ে দাদাগিরি খেলতে-খেলতে অদিতি বলে বসেন, “আপনি অসম্ভব সুন্দর। সব সময়ই আপনাকে দারুণ সুন্দর দেখতে লাগে। তবে এবার আরও সুন্দর লাগছে…” সৌরভকে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বলেই চলেন অদিতি। থামেন না, “একটা ভীষণ…” বলতে-বলতে নিজের মনের ভাবপ্রকাশ করতেও অসুবিধা হয় তাঁর। তাও বলেন, “ইউ আর লুকিং গ্রেট… অসাধারণ”।
সুন্দরী নায়িকার থেকে এ সমস্ত শুনে নিজেও উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন অদিতি। অদিতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে ‘ম্যাম’ সম্বোধন করে বলেন, “এই জন্যই তো আমার দাদাগিরিতে আসা, যাতে নিজেকে আরও বেশি আপগ্রেড করতে পারি।”
এ সবের পর অদিতি বলেন, “আপনার বয়সটা কিন্তু ক্রমশই কমছে।” আবেগাপ্লুত সৌরভ বলেন, “ভাল তো, আপনাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে যে”। এই ক্লিপিংস যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় বের হয়, এক ব্যক্তি কমেন্টও করেছেন, “এত ফ্লার্টিং চললে কিন্তু ডোনা বৌদি আপনাকে মারবে।”