Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tollywood Throwback: ভেস্তে যায় ভাস্বর-সমতার ‘সত্যি বিয়ে’, নেপথ্যে একটি ‘এগরোল’!

ollywood Throwback: ভাস্বর জানাচ্ছেন সাল ২০০৫। সোনার হরিণে তখন সমতার স্বামী হিসেবে এন্ট্রি নিচ্ছেন তিনি। ধুমধাম করে দুইজনের বিয়ের শুটিং হওয়ার কথা।

Tollywood Throwback: ভেস্তে যায় ভাস্বর-সমতার 'সত্যি বিয়ে', নেপথ্যে একটি 'এগরোল'!
সমতার সঙ্গেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছিল ভাস্বরের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 30, 2022 | 12:05 PM

 

সমতা দাস ও ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়– টেলিপাড়ায় এই দুই জনের জুটি এক সময় ছিল বেশ জনপ্রিয়। সোনার হরিণ ধারাবাহিকের একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন দু’জন। সেই ধারাবাহিকের কথা আজও লোকের মুখে মুখে। তবে জানেন কি ওই ধারাবাহিক করার সময়েই একবার প্রায় বিয়ে হয়ে যেতে বসেছিল দু’জনের। বাঁচিয়েছিল একটি ‘রোল’। ভাগ্যিস! তবে পুরোহিত গিয়েছিলেন ভারি রেগে। কী হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ১৬/১৭ বছর আগে টালিগঞ্জের এক স্টুডিয়োতে? শেয়ার করেছেন ভাস্বর নিজেই।

ভাস্বর জানাচ্ছেন সাল ২০০৫। সোনার হরিণে তখন সমতার স্বামী হিসেবে এন্ট্রি নিচ্ছেন তিনি। ধুমধাম করে দুইজনের বিয়ের শুটিং হওয়ার কথা। টালিগঞ্জেরই এক স্টুডিয়োতে বিয়ের সেট বসানো হয়েছে। ঠিক যেন সত্যিকারের বিয়েবাড়ি। গোটা এলাকা জুড়ে খাবারের স্টল, ফুচকা, আইসক্রিম– ঠিক যেমনটা হয়ে থাকে। যে পুরোহিত মশাইকে আনা হয়েছিল তিনিও কিন্তু ছিলেন একেবারে খাঁটি। শুরু হল বিয়ে। কিন্তু, এ কী! পুরোহিত শুরু করলেন বিয়ের আসল মন্ত্র পড়তে। ওদিকে একটানা শট তো আর হয় না। তাই মাঝে মধ্যে ব্রেকও নিচ্ছেন সকলে। তবে পুরোহিত মশাই কিন্তু কাজ করে চলেছেন নিষ্ঠা ভরেই।

হঠাৎই পুরোহিত মশাই আবিষ্কার করেন ব্রেকের মাঝে ‘বর-বউ’ জমিয়ে এগরোল খেয়ে চলেছে। ব্যস অমনি রেগে আগুন তিনি। ভাস্বর লিখছেন, ” উনি বলেন, ছি ছি,বিয়ের সময় উপোস না করে দুজনে এগ রোল খাচ্ছেন আর এদিকে আমি বিয়ে দেব উপোস করে বসে আছি।” ভাস্বর জানাচ্ছেন, শুটিং নয় পুরোহিত ভেবেছিলেন সত্যিই বুঝি চারহাত এক করতেই এসেছেন তিনি। বহু চেষ্টা করেও নাকি তাঁকে বোঝানো যায়নি ওই বিয়ে আসল বিয়ে নয়। উল্টে ‘পাত্র-পাত্রীর’ রোল খাওয়া দেখে বেজায় চটে যান তিনি। তবে ওই রোলই যে দুজনের জীবনে শাপে বর হয়েছিল এ কথা অস্বীকার করা যায় না। ভাগ্যিস রোল ও পেটে খিদে ছিল, নয়তো ওই দিনই শাস্ত্রমতে বিয়েটা হয়েই যাচ্ছিল দুই সহকর্মীর।

তবে মজার কিন্তু এখানেই শেষ নয়। ধারাবাহিকের প্লটে ছিল বিয়ের পর হনিমুন করতে গিয়ে সমুদ্রে ডুবে মারা যাবেন ভাস্বর। সেই মতোই এগোয় গল্প। হঠাৎই একদিন এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়েছেন ভাস্বর। হঠাৎই সেখানকার রক্ষী তাঁকে দেখে সাক্ষাৎ ভিরমি খাওয়ার মতো অবস্থায় জিজ্ঞাসাই করে বসেন, “আপনি মারা যাননি?” এরপরেই মেয়েকে ফোন করে রক্ষীর বিস্ময়ভরা কণ্ঠে বক্তব্য, “ওরে শম্পার বর মারা যায়নি, এটিএমে এসেছে।” ধারাবাহিকের অভিনেতারা যে চরিত্রে অভিনয় করেন অনেকসময়েই দর্শক গুলিয়ে ফেলেন রিল-রিয়েলের যাবতীয় গোলকধাঁধা। ভেবে নেন পর্দায় দেখা মানুষটা বুঝি বাস্তব জীবনেও ঠিক এমনটাই। ভাস্বর-সমতার ক্ষেত্রেও হয়েছিল ঠিক এমনটাই। তবে মন্দের ভাল সত্যিকারের বিয়ে থেকে নিষ্কৃতি পেয়েছিলেন দু’জনেই।