পিলু ধারাবাহিকে মেঘার মত একইভাবে ডান্স বাংলা ডান্স স্টেজ জন্ম দিয়েছে আরও এক অভিনেত্রীর। মোহনা মাইতি, গৌরী এলো ধারাবাহিকের মুখ্যভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যায় যাকে। জি বাংলার এই ধারাবাহিকে গৌরীকে দেখা যায় এক অন্যরূপে, শান্ত, স্নিগ্ধ অথচ অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পিছপা না হওয়া একটি মেয়ে। পর্দার সামনে গৌরীর ছবিটা যখন এমন, ঠিক পর্দার পেছনে থাকা সেই মোহনাই বাস্তবে কেমন! ডান্স বাংলা ডান্স-এর মঞ্চে দর্শকদের সঙ্গে পরিচয় পর্বে মিটেছে তার। সবে মাত্র দশম শ্রেণির ছাত্রী মোহনা। লেখাপড়ার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে চলছে অভিনয়ের কাজ।
মেগা ধারাবাহিকে হাতেখড়ি চলতি বছরেই। গৌরী এলো ধারাবাহিক দিয়েই শুরু অভিনয় সফর। ফলে বাড়ছে পরিচিতি, বাড়ছে জনপ্রিয়তা। তার প্রভাব ব্যক্তিগত জীবনে ঠিক কতটা পড়ছে মোহনার! TV9 বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মোহনা জানায়, না, সেভাবে নাকি তাকে কেউ চিনতেই পারে না। কারণ তার বয়স। মোহনার কথায়, ”অনেকেই দেখে অবাক হয়, বলে মাত্র ১৬ বছরের একটি মেয়ে পর্দায় এতটা পরিণত! তাই অনেকেই আমায় চিনতে পারে না। ফ্রক পরে যখন বাইরে যাই, তখন কেউ কেউ আবার বুঝতে পারে, কিন্তু আমায় দেখে অবাক হয়। সবাই ভাবে গৌরী একজন বড় মেয়ে। সে যে দশম শ্রেণিতে পড়ে, বিশ্বাস করতে পারে না অনেকেই”।
এতটা দক্ষতার সঙ্গে নিজের বয়সের থেকে এককদম এগিয়ে অভিনয় করাটা সত্যি সহজ নয়। যদিও অতীতে তা ভুল প্রমাণ করে নিজেকে সকলের নজরের কেন্দ্রে তুলে ধরেছিলেন রানিমা দিতিপ্রিয়া রায়। তাই মোহনারও পছন্দের চরিত্র টলিউডের খুকু। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি গৌরী চায় অভিনয়কেই কেরিয়ার করে এগিয়ে নিয়ে যেতে। যদিও শুটিং সেটেই কেটে যায় দিনের বেশিরভাগ সময়। কিন্তু এই ব্যালান্সটা বজায় রাখে কীভাবে! মোহনার উত্তর- ”সমস্যা তো হয় একটু। আগের মো ওতোটা লেখাপড়া করার সময় পাই না আমি। তবে করি। সামনেই বোর্ড পরীক্ষা। শুটিং সেটে থাকতে হয় সকাল আটটা থেকে প্রায় রাত দশটা। তারই ফাঁকে ফাঁকে সময় পেলে বইটা খুলি”।