১৯৯৮-এ মা, ২০২১-এ শাশুড়ি, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এমন সম্পর্ক ময়নার!
Moyna Mukherji Sabitri Chatterjee: সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় মানেই জীবন্ত ইতিহাস। যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছেন, যে জীবন দেখেছেন তিনি, তা নতুন প্রজন্ম গল্পেই শুনতে অভ্যস্ত। শুটিংয়ের অবসরে সেই সব পুরনো দিনের গল্প কি হয়?
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় এক জীবন্ত কিংবদন্তীর নাম। বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রী এখনও কাজ করছেন। তাঁর সঙ্গে কাজের সুযোগ পেলে এই প্রজন্মের অভিনেত্রীরা আপ্লুত হয়ে পড়েন। ব্যতিক্রম নন ময়না মুখোপাধ্যায়ও। ‘ধুলোকণা’ ধারাবাহিকে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে ময়না বললেন, “১৯৯৮ সালে ‘পৌষ ফাগুনের পালা’ নামের একটা সিরিয়াল করতাম। সেখানে সাবুদি আমার মা হয়েছিলেন। আবার এত বছর পর ‘ধুলোকণা’তে শাশুড়ি মা। আমার খুব এক্সাইটেড লাগে ওঁর সঙ্গে কাজ করার সময়। এই বয়সেও যে কাজ করছেন, এ ভাবে ডায়লগ মনে রাখছেন, সেটা শেখার মতো। সাবুদি ইমোশনাল সিনের রিহার্সালে একরকম, আর ফাইনাল পারফরম্যান্সে একেবারে অন্যরকম, অসাধারণ। গ্লিসারিন ছাড়া চোখে জল আনেন এখনও। গলা কাঁপিয়ে কান্নার সময় যে মডিলিউশন করেন, সত্যিই আমাদের ওঁর থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।”
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় মানেই জীবন্ত ইতিহাস। যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছেন, যে জীবন দেখেছেন তিনি, তা নতুন প্রজন্ম গল্পেই শুনতে অভ্যস্ত। শুটিংয়ের অবসরে সেই সব পুরনো দিনের গল্প কি হয়? ময়না বললেন, “আসলে নতুন সিরিয়াল আমাদের। খুব প্রেশার থাকে। উনি যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছেন, সে সুযোগ তো আমরা পাব না। আগে কেমন ভাবে কাজ হত, সেটা লিভিং লেজেন্ডের থেকে জানতে পারলে, ওঁর মুখ থেকে শোনা বড় পাওনা হবে। পুরনো দিনের অনেক রসদ নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে। এখনও সে সুযোগ হয়নি। তবে নিশ্চয়ই হবে।”
View this post on Instagram
বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর ‘দিদি’ ডাক নাকি পছন্দের। ময়না শেয়ার করলেন, “আমরা সকলেই সাবুদি বলে ডাকি। উনি সেটাই পছন্দ করেন। দিদি বলেই সকলে ডাকেন। সাবুদি সিরিয়াসলি মজার মজার কথা বলেন। সেটা শুনে আমরা ফ্লোরে তো হাসিই। অনেক সময় শটের মধ্যেও মনে পড়লে হেসে ফেলি। খুব মজা করে কাজ হয়।”
‘ধুলোকণা’ ছাড়াও এই মুহূর্তে ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন ময়না। তবে ‘ধুলোকণা’য় যে চরিত্রে তিনি সুযোগ পেয়েছেন, তার জন্য চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ থাকার কথা জানালেন। ময়না বললেন, “সব পজিটিভ চরিত্র যে এক হবে, তার তো কোনও মানে নেই। এত সুন্দর করে চরিত্রায়ণ করছেন লীনাদি, কাজ করতে দারুণ লাগছে। লীনাদির গল্প আর ডায়লগ তো স্পেশালিটি। প্রথমে অন্য চরিত্র নিয়ে কথা হয়েছিল। আমিও ভেবেছিলাম, এত বছর ধরে তো পজিটিভ চরিত্র করছি। আবার একটা পজিটিভ চরিত্র! কিন্তু পরে ওর উপরেই পুরোটা ছেড়ে দিয়েছিলাম। উনি লিখছেন মানে চরিত্রটা অন্যরকমই হবে। সেই সুযোগও বড় পাওনা।”
আরও পড়ুন, সুস্থ এবং জীবিত আছি, কাজে ফিরতে পেরে কৃতজ্ঞ আমি: মন্দিরা বেদী