Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সুস্থ এবং জীবিত আছি, কাজে ফিরতে পেরে কৃতজ্ঞ আমি: মন্দিরা বেদী

Mandira Bedi: মাত্র ৪৯ বছর বয়সে আচমকা রাজ কুশলের চলে যাওয়াটা মেনে নেওয়া মন্দিরা বেদীর পক্ষে সহজ ছিল না। রাজের প্রয়াণের এক মাস পর কিছুটা সামলে উঠেছেন ঠিকই। কিন্তু এখনও পরিস্থিতি তাঁর কাছে সহজ নয়।

সুস্থ এবং জীবিত আছি, কাজে ফিরতে পেরে কৃতজ্ঞ আমি: মন্দিরা বেদী
মন্দিরা বেদী। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে গৃহীত।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 14, 2021 | 4:10 PM

নিখুঁত মেকআপ। প্লিট দিয়ে পরা শাড়ি। কনট্রাস্ট ব্লাউজ। দেখে বোঝার উপায় নেই কিছুদিন আগেই ব্যক্তি জীবনের উপর দিয়ে বিশাল ঝড় বয়ে গিয়েছে তাঁর। তিনি অর্থাৎ মন্দিরা বেদী। স্বামী রাজকে হারানোর পর কাজে ফিরলেন তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের কাজে ফেরার ছবি শেয়ার করেছেন মন্দিরা। ক্যামেরার সামনে তাঁর কাজ। ফলে মেকআপ করা তাঁর কাজেরই অঙ্গ। শুটিং সেট থেকে নিজের ছবি শেয়ার করে মন্দিরা লিখেছেন, ‘কাজে ফিরতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ। আমার জীবনে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদেরকে পেয়ে আমি স্নেহধন্য, কৃতজ্ঞ। সুস্থ এবং জীবিত আছি বলেও কৃতজ্ঞ আমি।’

মাত্র ৪৯ বছর বয়সে আচমকা রাজ কুশলের চলে যাওয়াটা মেনে নেওয়া মন্দিরা বেদীর পক্ষে সহজ ছিল না। রাজের প্রয়াণের এক মাস পর কিছুটা সামলে উঠেছেন ঠিকই। কিন্তু এখনও পরিস্থিতি তাঁর কাছে সহজ নয়। যে মন্দিরার সোশ্যাল ওয়াল ভরে থাকত হাসিখুশি ছবিতে, রাজের প্রয়াণের পর সেখানে বিষাদ নজরে পড়েছে সকলের। কিন্তু জীবনের কথা ভেবেই হাসতে হল মন্দিরাকে। ফিরতে হল পেশাদার জগতে। রাজ চলে যাওয়ার পর এই প্রথম যেন জীবনের দিকে মুখ ফেরালেন।

View this post on Instagram

A post shared by Mandira Bedi (@mandirabedi)

রাজের প্রয়াণের ঠিক এক মাস পর মুম্বইয়ের বাড়িতে রাজের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ পুজোর আয়োজন করেছিলেন মন্দিরা। সঙ্গে ছিল দুই সন্তান বীর এবং তারা। আসলে জীবন এতটাই আকস্মিক, রাজের মৃত্যুর পর তা যেন আরও বেশি করে অনুভব করছেন মন্দিরা। একমাত্র ঈশ্বর সব কিছুর নিয়ন্ত্রক। তাই ঈশ্বরের কাছে নিজেকে সম্পূর্ণ নিবেদন করে ভাল থাকার রাস্তা খুঁজছেন তিনি।

মন্দিরার বাবা, মা রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের সামনেও সব সময় মন খুলে নিজের কথা বলতে পারছেন না তিনি। কাঁদতে পারছেন না। কারণ মন্দিরা কাঁদলে তাঁরাও কষ্ট পাচ্ছেন। বীর এবং তারা দুই সন্তানের সম্পূর্ণ দায়িত্ব এখন মন্দিরার উপরেই। সন্তানদের সামনেও ভেঙে পড়লে চলবে না। নিজস্ব স্পেস দরকার ছিল তাঁর। একমাত্র ঈশ্বরের কাছেই সেই সমর্পণ সম্ভব।

রাজের অপূর্ণ সব দায়িত্বই এখন মন্দিরার কাঁধে। ঠিক এক বছর আগে তারাকে দত্তক নিয়েছিলেন রাজ-মন্দিরা। যে দিন মেয়েকে বাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন, সে দিনটাকেই তারার জন্মদিন হিসেবে সেলিব্রেট করতে চেয়েছিলেন। সেই অর্থে বাড়িতে মেয়ের প্রথম জন্মদিন যাতে কোনও ভাবে মিস না হয়, মেয়ের যাতে মন খারাপ না হয়, তার জন্য গত ২৯ জুলাই বাড়িতেই আয়োজন করেছিলেন মন্দিরা। বোনের জন্মদিনে মন্দিরার ছেলে বীরও এনজয় করেছে। সে সব ছবি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করেন তিনি।

রাজের আচমকা প্রয়াণ মন্দিরাকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। ২৫ বছরের পরিচিতি এবং ২৩ বছরের দাম্পত্য এক মুহূর্তে শেষ হয়ে গিয়েছে। নিজের ইমোশন লুকিয়ে রাখেননি। কেঁদেছেন। কষ্ট পেয়েছেন। রাজকে মিস করেছেন। কিন্তু নতুন করে সব কিছু শুরু করার অদম্য প্রয়াস জারি রেখেছেন নিরন্তর।

আরও পড়ুন, সৃজিত এবং আয়রার ‘মাঙ্কি বাত’, মেয়ের সঙ্গে কোন ছবি শেয়ার করলেন পরিচালক?