AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সৃজিত এবং আয়রার ‘মাঙ্কি বাত’, মেয়ের সঙ্গে কোন ছবি শেয়ার করলেন পরিচালক?

Srijit Mukherji: সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আয়রার সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেছেন সৃজিত। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কোনও এক রেস্তোরাঁয় বসে রয়েছেন পরিচালক। তাঁর কাঁধে চেপেছে আয়রা।

সৃজিত এবং আয়রার ‘মাঙ্কি বাত’, মেয়ের সঙ্গে কোন ছবি শেয়ার করলেন পরিচালক?
সৃজিত এবং আয়রা। ছবি: ফেসবুক থেকে গৃহীত।
| Edited By: | Updated on: Aug 14, 2021 | 3:40 PM
Share

পিতা-কন্যা। এই সম্পর্কের কোনও সংজ্ঞা হয় না। আদরে, শাসনে, স্বাধীনতায়, নির্ভরতায় ভরে থাকে বাবা-মেয়ের সম্পর্ক। ঠিক সেটাই এখন নিজের জীবনে এনজয় করছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সৌজন্যে আয়রা। সৃজিতের স্ত্রী মিথিলা এবং তাঁর প্রথম স্বামী তাহসানের কন্যা আয়রা। কিন্তু সৃজিতের সঙ্গেও ঠিক বাবা-মেয়ের সম্পর্কই শেয়ার করে খুদে।

সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আয়রার সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেছেন সৃজিত। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কোনও এক রেস্তোরাঁয় বসে রয়েছেন পরিচালক। তাঁর কাঁধে চেপেছে আয়রা। এই ছবির ক্যাপশনে সৃজিত লিখেছেন, ‘মাঙ্কি বাত’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন কি বাত নামের একটি অনুষ্ঠানে জাতির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বক্তব্য রাখেন। সেই অনুষ্ঠানের নামের আদলেই যেন এই ক্যাপশন। যদিও তা নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি সৃজিত। বরং আয়রা যেন অনেকটা মাঙ্কি অর্থাৎ বাঁদরের মতো ঝুলে বাবার কাঁধে চেপেছে, সেই অর্থেই এই ক্যাপশন বলে মনে করছেন সোশ্যাল অডিয়েন্সের বড় অংশ। বাবা-মেয়ের এক মিষ্টি মুহূর্তের ছবি পছন্দ করেছেন অনুরাগীরাও।

আয়রাকে নিয়ে লকডাউনের আগে থেকেই বাংলাদেশে ছিলেন মিথিলা। বাংলাদেশে থাকলে বেশ কিছুটা সময় আয়রা তার বাবা অর্থাৎ তাহসান খানের সঙ্গেও সময় কাটায়। বিবাহ বিচ্ছেদের পরও মিথিলা এবং তাহসান নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন।

দিন কয়েক আগে একত্রে একটি পেশাদার কাজ করায় ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হয় তাহসান-মিথিলাকে। মিথিলা সে সময় জানান, প্রাপ্তবয়স্ক দুজন মানুষ একসঙ্গে কাজ করতেই পারেন। বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে মানে কখনও একসঙ্গে কাজ করা যাবে না, তা নয়। পাশাপাশি তিনি এবং তাহসান আয়রার বাবা, মা। তাই মেয়ের কথা ভেবেও তাঁরা নিজেদের সম্পর্ক তিক্ত করতে চান না। বরং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখলে তবেই আয়রাকে সুস্থ শৈশব দেওয়া যাবে বলে মনে করেন মিথিলা।

বাংলাদেশে থাকলে আয়রা কখনও মায়ের কাছে, কখনও বা বাবার কাছে থাকে। এ নিয়ে তাঁদের পরিবারে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ব্যক্তিজীবনে ট্রোলিংয়ের শিকার যাতে না হতে হয়, তার অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবে তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে এখন আর সকলের কমেন্ট করার অধিকার নেই।

বহুবার মিথিলা সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আয়রার সঙ্গে থাকার সময় সৃজিত যেন আয়রার বয়সী হয়ে যান। বন্ধুর মতো মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক তাঁর। মিথিলা তখন যেন দুই শিশুকে সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আবার তাহসানের সঙ্গও এনজয় করে আয়রা। দুজন মানুষের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারছে সে। অনেক ভাল মুহূর্ত কাটাতে পারছে। ব্যক্তি জীবনে এ নিয়ে কোনও বিরোধ নেই। আর বাইরে থেকে কে কী বললেন, তাতে খুব একটা পাত্তা দিতে রাজি নন সৃজিত-মিথিলা।

আরও পড়ুন, ‘বাবার ঠিক করা ছেলের সঙ্গে প্রেম করে তবেই বিয়ে করব’, বললেন অন্বেষা