স্নেহা সেনগুপ্ত
লুকটা দেখে হঠাৎই মনে পড়ে যেতে পারে দেবালয় ভট্টাচার্য পরিচালিত ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ ওয়েব সিরিজ়ের ইন্দুবালা মল্লিককে। অথবা মনে পড়ে যেতে পারে ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তর পরিচালনার তৈরি ‘আগন্তুক’ ছবির শোভারানি বসুকেও। প্রথমটিতে অভিনয় করেছিলেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। দ্বিতীয়টাতে সোহিনী সরকার। প্রকাশ্যে আসতেই লুক দু’টি নিয়ে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছিল (পুরুষ অভিনেতাদের প্রস্থেটিক মেক-আপওয়ালা লুকও হইচই ফেলেছিল)। প্রশংসিত হয়েছিলেন মেক-আপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুণ্ডু। তবে সিনেমার মতো বাংলা সিরিয়ালে প্রস্থেটিক মেক-আপের তেমন চল নেই। চিত্রনাট্যের স্বার্থে অনেক সময় চেনা চরিত্ররা ছদ্মবেশ ধারণ করেন। এমন মেক-আপ দেওয়া হয় যে, সিরিয়ালের চরিত্ররা ছাড়া দর্শক সহজেই ধরে ফেলে রূপসজ্জার কারসাজি।
এবার সিরিয়ালেও পাওয়া গেল প্রস্থেটিক মেকআপের ঝলক। বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে টিআরপি তালিকায় এক নম্বরে থাকা ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকের খলনায়িকা মিশকা, অর্থাৎ অভিনেত্রী অহনা দত্তকে দেওয়া হল এক বৃদ্ধার চেহারা। ঠিক যেমন ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’-এর শুভশ্রী কিংবা ‘আগন্তুক’-এর সোহিনী। অহনার লুক দেখে বোঝার উপায় নেই তিনিই সিরিয়ালের মিশকা। বিষয়টি নিয়ে অহনাও ভীষণ এক্সাইটেড—সেই সঙ্গে বিগলিতও তিনি। বিগলিত আরও একটা কারণে। নায়িকাকে বৃদ্ধা সাজিয়েছেন তাঁরই প্রেমিক দীপঙ্কর রায়। তিনি সেই ধারাবাহিকের রূপসজ্জার দায়িত্বে। এ ব্যাপারে TV9 বাংলাকে অহনা বলেছেন, “এই গোটা সপ্তাহ ধরে লুক নিয়ে আমার উপর নানা ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছে। আমাকে ছদ্মবেশ দেওয়া হচ্ছে। এটা ‘বুড়ি’ লুক। লুকটা তৈরি করতে খুব কম করে হলেও তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে আমার।”
এই মুহূর্তে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’য় মিশকার শয়তানি অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। সূর্য (অভিনেতা দিব্য়জ্যোতি দত্ত) জেনে গিয়েছে যে, সোনা-রূপা তাঁর এবং দীপারই (অভিনেত্রী স্বস্তিকা ঘোষ) সন্তান। এতদিন মিশকা (অহনা) সূর্যকে বুঝিয়েছিল, সে কোনওদিনও বাবা হতে পারবে না। পাল্টে ফেলেছিল তাঁর বীর্য পরীক্ষার রিপোর্ট এবং বলেছিল, দীপার দুই কন্যার কেউই তাঁর নয়। সূর্য নিজের অক্ষমতাকে ভুল প্রমাণ করার জন্য বীর্য পরীক্ষা করায়। ইনভিট্রো ফার্টিলাইজ়েনের মাধ্যমে সেই বীর্য প্রয়োগ করে মিশকা অন্তঃসত্ত্বা হয়। নানা ধরনের বদমায়েশি করতে থাকে। ছদ্মবেশও ধারণ করে। সেই জন্যই এই বৃদ্ধার প্রস্থেটিক মেক-আপ।
সিনেমা-ওয়েব সিরিজ়ের মতো সবসময় পূর্ব নির্ধারিত কাজ হয় না বাংলা ধারাবাহিকে। নিত্যদিন এপিসোড তৈরি করতে হয়। তাই-ই হাতে সময় সীমিত। সেই সীমিত সময়ের মধ্যেই সাজগোজ সারতে হচ্ছে। অহনা বলেছেন, “আমাদের সিরিয়ালে অত সময় পাওয়া যায় না। কিন্তু তিন ঘণ্টার মধ্যেই দীপঙ্কর এই লুকটা দিয়েছে আমাকে। আমার মুখের আমল বদল আনতে হয়েছে। সেটাই দরকার ছিল। বৃদ্ধের চামড়া ঝুলে থাকে। সেটা আনতে হয়েছে প্রস্থেটিকে। এটা প্রথম লুক। আরও তিন-চারটে লুক আছে।”
ঘটনাচক্র ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ সিরিয়ালের মেক-আপ আর্টিস্ট দীপঙ্কর রায় বাস্তবে অহনার বিশেষ বন্ধু। তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমিকের হাতে বৃদ্ধা সেজে অহনা বলেছেন, “এটা একটা দারুণ থ্রিলিং ব্যাপার। সেটের সকলেই অনেক প্রশংসা করেছেন ওর কাজ। আমার দৃঢ় বিশ্বাস টিভিতে যাঁরা দেখছেন, একবার দেখাতেই আমাকে চিনতে পারবেন না।” রোজ তিনঘণ্টা ধরে চড়া মেক-আপ দেওয়ার পর্ব চলে। ত্বকের জন্য চিন্তায় ছিলেন অহনা। বলেছেন, “প্রথমে ত্বকের বিষয়টা নিয়ে আমি একটু চিন্তায় ছিলাম। দীপঙ্কর কিন্তু আমাকে বাড়তি কোনও ছাড় দেয়নি। অন্য আর্টিস্টদের মতো আমাকেও বকাঝকা দিয়েছে। কাঠ হয়ে বসিয়ে রেখেছিল।” সেই সঙ্গে কপট অভিযোগ তাঁর, “মুখ খুলে খেতেও দেয়নি আমাকে। খুব সমস্যা হয়েছিল। সারাদিন, ১৪ ঘণ্টা ত্বকে টান ধরে ছিল। এর জন্য অনেক যত্নও নিচ্ছি বাড়তি।” যদিও প্রেমিকের জন্য গর্বিত অহনা, “দীপঙ্করের জন্যে আমার খুব ভাল লাগছে। ওঁর কাজ সকলের ভাল লাগছে ভেবে আমি খুব খুশি।”
স্নেহা সেনগুপ্ত
লুকটা দেখে হঠাৎই মনে পড়ে যেতে পারে দেবালয় ভট্টাচার্য পরিচালিত ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ ওয়েব সিরিজ়ের ইন্দুবালা মল্লিককে। অথবা মনে পড়ে যেতে পারে ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তর পরিচালনার তৈরি ‘আগন্তুক’ ছবির শোভারানি বসুকেও। প্রথমটিতে অভিনয় করেছিলেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। দ্বিতীয়টাতে সোহিনী সরকার। প্রকাশ্যে আসতেই লুক দু’টি নিয়ে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছিল (পুরুষ অভিনেতাদের প্রস্থেটিক মেক-আপওয়ালা লুকও হইচই ফেলেছিল)। প্রশংসিত হয়েছিলেন মেক-আপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুণ্ডু। তবে সিনেমার মতো বাংলা সিরিয়ালে প্রস্থেটিক মেক-আপের তেমন চল নেই। চিত্রনাট্যের স্বার্থে অনেক সময় চেনা চরিত্ররা ছদ্মবেশ ধারণ করেন। এমন মেক-আপ দেওয়া হয় যে, সিরিয়ালের চরিত্ররা ছাড়া দর্শক সহজেই ধরে ফেলে রূপসজ্জার কারসাজি।
এবার সিরিয়ালেও পাওয়া গেল প্রস্থেটিক মেকআপের ঝলক। বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে টিআরপি তালিকায় এক নম্বরে থাকা ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকের খলনায়িকা মিশকা, অর্থাৎ অভিনেত্রী অহনা দত্তকে দেওয়া হল এক বৃদ্ধার চেহারা। ঠিক যেমন ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’-এর শুভশ্রী কিংবা ‘আগন্তুক’-এর সোহিনী। অহনার লুক দেখে বোঝার উপায় নেই তিনিই সিরিয়ালের মিশকা। বিষয়টি নিয়ে অহনাও ভীষণ এক্সাইটেড—সেই সঙ্গে বিগলিতও তিনি। বিগলিত আরও একটা কারণে। নায়িকাকে বৃদ্ধা সাজিয়েছেন তাঁরই প্রেমিক দীপঙ্কর রায়। তিনি সেই ধারাবাহিকের রূপসজ্জার দায়িত্বে। এ ব্যাপারে TV9 বাংলাকে অহনা বলেছেন, “এই গোটা সপ্তাহ ধরে লুক নিয়ে আমার উপর নানা ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছে। আমাকে ছদ্মবেশ দেওয়া হচ্ছে। এটা ‘বুড়ি’ লুক। লুকটা তৈরি করতে খুব কম করে হলেও তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে আমার।”
এই মুহূর্তে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’য় মিশকার শয়তানি অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। সূর্য (অভিনেতা দিব্য়জ্যোতি দত্ত) জেনে গিয়েছে যে, সোনা-রূপা তাঁর এবং দীপারই (অভিনেত্রী স্বস্তিকা ঘোষ) সন্তান। এতদিন মিশকা (অহনা) সূর্যকে বুঝিয়েছিল, সে কোনওদিনও বাবা হতে পারবে না। পাল্টে ফেলেছিল তাঁর বীর্য পরীক্ষার রিপোর্ট এবং বলেছিল, দীপার দুই কন্যার কেউই তাঁর নয়। সূর্য নিজের অক্ষমতাকে ভুল প্রমাণ করার জন্য বীর্য পরীক্ষা করায়। ইনভিট্রো ফার্টিলাইজ়েনের মাধ্যমে সেই বীর্য প্রয়োগ করে মিশকা অন্তঃসত্ত্বা হয়। নানা ধরনের বদমায়েশি করতে থাকে। ছদ্মবেশও ধারণ করে। সেই জন্যই এই বৃদ্ধার প্রস্থেটিক মেক-আপ।
সিনেমা-ওয়েব সিরিজ়ের মতো সবসময় পূর্ব নির্ধারিত কাজ হয় না বাংলা ধারাবাহিকে। নিত্যদিন এপিসোড তৈরি করতে হয়। তাই-ই হাতে সময় সীমিত। সেই সীমিত সময়ের মধ্যেই সাজগোজ সারতে হচ্ছে। অহনা বলেছেন, “আমাদের সিরিয়ালে অত সময় পাওয়া যায় না। কিন্তু তিন ঘণ্টার মধ্যেই দীপঙ্কর এই লুকটা দিয়েছে আমাকে। আমার মুখের আমল বদল আনতে হয়েছে। সেটাই দরকার ছিল। বৃদ্ধের চামড়া ঝুলে থাকে। সেটা আনতে হয়েছে প্রস্থেটিকে। এটা প্রথম লুক। আরও তিন-চারটে লুক আছে।”
ঘটনাচক্র ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ সিরিয়ালের মেক-আপ আর্টিস্ট দীপঙ্কর রায় বাস্তবে অহনার বিশেষ বন্ধু। তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমিকের হাতে বৃদ্ধা সেজে অহনা বলেছেন, “এটা একটা দারুণ থ্রিলিং ব্যাপার। সেটের সকলেই অনেক প্রশংসা করেছেন ওর কাজ। আমার দৃঢ় বিশ্বাস টিভিতে যাঁরা দেখছেন, একবার দেখাতেই আমাকে চিনতে পারবেন না।” রোজ তিনঘণ্টা ধরে চড়া মেক-আপ দেওয়ার পর্ব চলে। ত্বকের জন্য চিন্তায় ছিলেন অহনা। বলেছেন, “প্রথমে ত্বকের বিষয়টা নিয়ে আমি একটু চিন্তায় ছিলাম। দীপঙ্কর কিন্তু আমাকে বাড়তি কোনও ছাড় দেয়নি। অন্য আর্টিস্টদের মতো আমাকেও বকাঝকা দিয়েছে। কাঠ হয়ে বসিয়ে রেখেছিল।” সেই সঙ্গে কপট অভিযোগ তাঁর, “মুখ খুলে খেতেও দেয়নি আমাকে। খুব সমস্যা হয়েছিল। সারাদিন, ১৪ ঘণ্টা ত্বকে টান ধরে ছিল। এর জন্য অনেক যত্নও নিচ্ছি বাড়তি।” যদিও প্রেমিকের জন্য গর্বিত অহনা, “দীপঙ্করের জন্যে আমার খুব ভাল লাগছে। ওঁর কাজ সকলের ভাল লাগছে ভেবে আমি খুব খুশি।”