স্নেহা সেনগুপ্ত
তিনি মঞ্চাভিনেতা। ‘নান্দীকার’ নাট্যদলের অন্যতম সদস্য। ‘মানুষ’ নাটকে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে মানুষের ভালবাসা অর্জন করেছেন অনেক আগেই। সিনেমায় অভিনয় করেন। সিরিয়ালেও পরিচিত মুখ। একটি সিরিয়ালে, একটি চরিত্রে অভিনয় করেই পরিচিত হয়েছেন। লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (তিনি লেখিকাও) ও শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রযোজিত ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকে শ্রীময়ী, তথা ইন্দ্রাণী হালদারের ছোট ছেলে ডিঙ্কার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এত নিখুঁত ছিল অভিনয়, যে পার্শ্বচরিত্র হলেও তাঁকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দর্শকদের বলতে শোনা গিয়েছে, “দেখেছ ডিঙ্কা সংলাপ বলতে-বলতে কীরকম সুন্দর জল খাচ্ছিল… আসলে নাটকের ছেলে কি না…”।
‘শ্রীময়ী’ সিরিয়াল শেষ হওয়ার পর দর্শকমনে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, এবার সপ্তর্ষি কোন ধারাবাহিকে? সপ্তর্ষি বলেছিলেন, তিনি আগাম কিছু বলতে পারবেন না। ইদানিং একটি প্রোমো বেরিয়েছে স্টার জলসায়। লীনাদেরই আসন্ন ধারাবাহিক ‘এক্কা দোক্কা’য় তিনি প্রধান পুরুষ চরিত্রে। তাঁকে কাস্ট করা হয়েছে ‘মোহর’ ধারাবাহিকের প্রধান নারী চরিত্র মোহর, তথা অভিনেত্রী সোনামণির বিপরীতে। দুই ‘দুশমন’ পরিবারের ছেলেমেয়ের গল্প। ডাক্তারি পটভূমিকা। কে কাকে টেক্কা দেবে। প্রতিপক্ষ পরিবার থেকে এসে নায়ক-নায়িকা কি শত্রুই থাকবে, নাকি তাঁদের মধ্যে প্রেম জমে উঠবে? প্রোমো দেখে সেই আভাসই মিলেছে। এদিকে ‘ডিঙ্কা’ সপ্তর্ষিকে ফের টিভির পর্দায় দেখতে পাওয়া যাবে জেনে দর্শকও আনন্দিত। এসবের মাঝে সপ্তর্ষি কী বলেছেন TV9 বাংলাকে।
ডিঙ্কার পর সপ্তর্ষির পরবর্তী চমকের নাম কী?
সপ্তর্ষি: চরিত্রটার নাম পোখরাজ। গোটা গল্পটা বলতে চাই না এখনই। নায়ক-নায়িকা ডাক্তারি পড়ে। ফাইনাল ইয়ার। দু’জনের পরিবারের মধ্যে রেষারেষি রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে একটা খুনসুটিও আছে। লীনাদির সঙ্গে প্রথম কাজ করেছিলাম ‘শ্রীময়ী’তে। তিনি দারুণ লেখেন। সবটা মিলিয়েই লীনাদি-শৈবালদার সঙ্গে আরও একটা কাজ করছি।
এই চরিত্রটা ডিঙ্কার চেয়ে কতখানি আলাদা?
সপ্তর্ষি: এক্কেবারে আলাদা দুটো চরিত্র। ডিঙ্কা এক্কেবারে একটা বাচ্চা ছেলে ছিল। পোখরাজ অনেক বড়লোক। লেখাপড়ায় ভাল। পরিবারের সকলে ডাক্তার। চরিত্র দুটোর মধ্যে কোনওই মিল নেই সেই অর্থে।
ডিঙ্কা থেকে পোখরাজ হয়ে ওঠা কিংবা সেই ইমেজ ভেঙে ফেলা কতটা চ্যালেঞ্জিং?
সপ্তর্ষি: জার্নি তো সবে শুরু হল… দর্শক ও আমার পারফরম্যান্সের উপরই সবটা নির্ভর করছে।
চরিত্রের পরিচয় নিয়ে বাঁচতে ভাল লাগে, নাকি ব্যক্তি সপ্তর্ষিকেই এগিয়ে রাখেন সব সময়?
সপ্তর্ষি: একজন অভিনেতা তখনই সফল হন যখন দর্শক তাঁর করা চরিত্রগুলো মনে রাখতে শুরু করেন। ব্যক্তিগত সপ্তর্ষি থাকবেই। কিন্তু আমাকে কেউ যদি আমার চরিত্রর নাম ধরেও ডাকেন আমার ভাল লাগে।
আপনি এবং আপনার স্ত্রী সোহিনী সেনগুপ্ত (নাট্যব্যক্তিত্ব, যিনি ‘নান্দীকার’ নাট্যদলের অন্যতম স্তম্ভ), আপনারা দু’জনেই লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ধারাবাহিকে অভিনয় করেন… বহুবার মঞ্চেও আপনাদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। ধারাবাহিকে একসঙ্গে কবে দেখা যাবে?
সপ্তর্ষি: আমরা একদলে থিয়েটার করি। এখনও পর্যন্ত আমাদের একসঙ্গে কাজ করার মতো কোনও চরিত্র তৈরি হয়নি ধারাবাহিকে। যে কারণে লীনাদি আমাদের কাস্ট করেননি। লীনাদি খুবই সুন্দর চরিত্র বাছতে পারেন। উনি যদি মনে করেন, আমাদের নিশ্চয়ই কাস্ট করবেন।
পরপর দুটো কাজ করলেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়দের (ম্যাজিক মোমেন্টস) সঙ্গে… ধারাবাহিকে ওনার সঙ্গেই কাজ করার কোনও বিশেষ কারণ আছে?
সপ্তর্ষি: আমি তো সবে কাজ করতে শুরু করেছি। কত আর কাজ করলাম। আমি নিজে পছন্দ করার কেউ নই। পরপর দুটো সুযোগ পেয়েছি, এই যা। লীনাদি এমন একজন মানুষ, যাঁর সঙ্গে সকলেই কাজ করতে আগ্রহী। সেখানে আমার সুযোগ হয়েছে। নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে করি সেই জন্য।