অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে নাকি বিবাহবিচ্ছেদ হবে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের। এমন একটি গুজব গত এক বছর ধরে রটেছে। তারপর থেকেই ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। এমনও শোনা গিয়েছে, ঐশ্বর্য নাকি শ্বশুরবাড়ি ত্যাগ করে মা বৃন্দারাইয়ের সঙ্গে মুম্বইয়ে তাঁর বাড়িতে থাকছেন। কন্যা আরাধ্যা বচ্চনকেও নাকি তিনি সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন। শোনা যায়, ঐশ্বর্যর সঙ্গে নাকি শ্বশুরবাড়ির কারওরই সম্পর্ক ভাল নেই এখন। বিশেষ করে তাঁর শাশুড়িমা জয়া বচ্চন এবং ননদ শ্বেতা বচ্চন নন্দার। ২০১৭ সালে যখন ঐশ্বর্য বিয়ে করেন, বচ্চন পরিবারে তখন তাঁকে নিয়ে সকলে খুব খুশি। বিশেষ করে অমিতাভ বচ্চন। তা নিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে জয়া বলেছিলেন, “ঐশ্বর্যকে দেখলেই আমার স্বামী অমিতাভের চোখ চিকচিক করে উঠত”।
অমিতাভ-জয়ার দুই সন্তান–অভিষেক এবং শ্বেতা। কন্যার প্রতিই একটু বেশি দুর্বল ছিলেন অমিতাভ। মাত্র ২১ বছর বয়সে তাঁর বিয়ে হয়। তারপর থেকে অমিতাভ মেয়ের অভাব অনুভব করতেন বাড়িতে। সেই অভাব নাকি মিটিয়ে দিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। অভিষেকের সঙ্গে বিয়ের পর তিনি যখন বচ্চন পরিবারের বউ হয়ে এলেন, অমিতাভ নাকি তাঁর মধ্যেই কন্যাকে খুঁজতেন। জয়া বলেছিলেন, “আমার স্বামী অমিতাভের ঐশ্বর্যকে দেখেই চোখ চিকচিক করে উঠত। দেখে মনে হত, তিনি যেন শ্বেতাকেই দেখছেন। ঐশ্বর্য আমাদের পরিবারে আসার পর কন্যার অভাব দূর করে দিয়েছিল।”
এখনও কি এমনই সম্পর্ক শ্বশুর-বউমাতে? এখনও কি ঐশ্বর্যকে দেখে অমিতাভের চোখ চিকচিক করে ওঠে? এখনও কি ঐশ্বর্যর মধ্যে শ্বেতাকে দেখতে পান তিনি? অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে ঐশ্বর্যর বিচ্ছেদের গুঞ্জনের পর অনেকে অনেক কিছু অনুমান করছেন। যদিও এ বিষয়ে একটি কথাও বলেননি ঐশ্বর্য কিংবা বচ্চন পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা বিষয়টিকে সম্পূর্ণভাবে লুকিয়ে রেখেছেন আমজনতার নজর থেকে। পরিস্থিতি যে স্বাভাবিক আছে, সেই আভাস দেওয়ার জন্য বচ্চন পরিবারের সঙ্গে মাঝেমধ্যে জনসমক্ষেও আসেন ঐশ্বর্য। যেমন, কন্যা আরাধ্যার স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে বচ্চনদের সঙ্গে হাজির থাকেন ঐশ্বর্যও। আম্বানিদের প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানে স্বামী অভিষেকের সঙ্গেই যান সেখানে। অনেকের অনুমান, কন্যা আরাধ্যার জন্যেই নাকি সম্পর্কটা আইনিভাবে টিকিয়ে রেখেছেন অভিষেক-ঐশ্বর্য। এ সবই অনুমান। আসল কথা তো জানেন ঐশ্বর্যই।