স্ত্রী পিয়ার সঙ্গে প্রেম ঠিক কতখানি গভীরে? পরমব্রতর স্পষ্ট জবাব, ‘ও আমার বড়…’

Parambrata Chattopadhyay Wife: বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন এবং তাঁকে বিয়ে করার কারণে তাঁর নামের আগে 'বউচোর' তকমাটাও বসিয়ে দিয়েছে 'কুৎসিত' সমাজ। কিন্তু পরমব্রতর অন্তরটা কেমন? সেই অন্তরে কতখানি ভাঙচুর হয়? তা কিন্তু কম মানুষই জানেন। জানেন গুঁটিকয়েক কাছের মানুষ এবং সেই সমস্ত মানুষ, যাঁরা পরমব্রতকে খুবই কাছ থেকে দেখেছেন শুরু থেকে।

স্ত্রী পিয়ার সঙ্গে প্রেম ঠিক কতখানি গভীরে? পরমব্রতর স্পষ্ট জবাব, ও আমার বড়...
পরমব্রত এবং পিয়া

|

Mar 08, 2024 | 11:14 PM

দক্ষিণ কলকাতায় বড় হয়েছেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্য়ায়। বাবার নাম সতীনাথ চট্টপাধ্য়ায় এবং মা সুনেত্রা ঘটক চট্টোপাধ্যায়। অল্প বয়সেই বাবা-মা দু’জনকে হারিয়েছেন পরমব্রত। একটা সময় নিঃসঙ্গ জীবন কাটিয়েছিলেন অভিভাবকহীনভাবে। তারপর জীবনে প্রেম আসে। নেদারল্যান্ডসের ডাক্তার প্রেমিকা ইকার সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন পরমব্রত। সেই সম্পর্কের সমীকরণ পাল্টে গেল হুট করে। পরমব্রতর সঙ্গে ইকার একত্রযাপন ইতি হল। একসঙ্গে একটি সরকারী কাজ করতে গিয়ে গায়ক এবং সঙ্গীত পরিচালক বন্ধু অনুপম রায়ের স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে বিশেষ বন্ধুত্ব তৈরি হল পরমব্রতর (আগে থেকেই বন্ধু ছিলেন পিয়া-পরমব্রত) এবং সেই সম্পর্ক চলল বেশ কয়েক মাস। হঠাৎ গত বছর, ২৭ নভেম্বর, পিয়াকে বিয়ে করে ফেললেন পরমব্রত। এতগুলো কথা বলার কারণ, আপাত দেখতে ‘পাকা-পাকা’ পরমব্রতর একটা রঙিন ব্যক্তিত্ব রয়েছে। মেধা রয়েছে। সুদর্শন চেহারাও রয়েছে। যে চেহারার প্রতি বারবারই আকৃষ্ট হয়েছেন মহিলারা। বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন এবং তাঁকে বিয়ে করার কারণে তাঁর নামের আগে ‘বউচোর’ তকমাটাও বসিয়ে দিয়েছে ‘কুৎসিত’ সমাজ। কিন্তু পরমব্রতর অন্তরটা কেমন? সেই অন্তরে কতখানি ভাঙচুর হয়? তা কিন্তু কম মানুষই জানেন। জানেন গুঁটিকয়েক কাছের মানুষ এবং সেই সমস্ত মানুষ, যাঁরা পরমব্রতকে খুবই কাছ থেকে দেখেছেন শুরু থেকে।

পরমব্রত অভিভাবকহীন। কেবল তাই নয়, সময়ের অনেকটা আগে নিজের বাবা-মাকে চিরতরে হারিয়েছেন। এক ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি মানুষ চিনতে পারেন না। ফলে পরমব্রতর ঠকে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে অনেকবার। ইন্ডাস্ট্রির ভিতরের মানুষজন বলছেন, ভাল ছেলে পরমব্রত। ওকে অনেকে ভুল বোঝেন। সেই পরমব্রতর কাছে তাঁর স্ত্রী পিয়া ঠিক কতখানি। পরমব্রত অকপট বলেছেন, “দেখুন আমার তো বাবা-মা কেউই আর বেঁচে নেই। তাই আমার জীবনে কাছের মানুষ বলতে কেউ ছিল না তেমনভাবে। সেই শূন্যস্থানে আমার স্ত্রী পিয়া। ও আমার অনেকটাই জুড়ে। বলতে পারেন, আমার বড় দায়িত্ব ওঁর কাঁধে তুলে দিয়েছি আমি।” আর পিয়া, সবসময় খুবই মিষ্টিভাষী তিনি। পরমব্রতর সরল দিকটাকেই হয়তো ভালবেসেছেন।