সংসার করেন ২৬ বছরের ছোট পৃথার সঙ্গে, তবে প্রাক্তন স্ত্রীর ফোন এলেই কী করেন সুদীপ?
Sudip Mukherjee: প্রথম স্ত্রী দামিনী বেনি বসুর সঙ্গে তাঁর ভালবাসা করে বিয়ে। ১৪ বছরের ব্যবধান ছিল তাঁদের। দামিনীর সঙ্গে বিয়েটা টেকেনি সুদীপের। তারপর তিনি বিয়ে করেছেন এক নৃত্যশিল্পীকে। সেই স্ত্রী এবং দুই পুত্রকে নিয়ে সুখে সংসার করছেন সুদীপ।
স্নেহা সেনগুপ্ত
কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিয়ে নিয়ে খুব আলোচনা হয়েছে সম্প্রতি। কাঞ্চনের রোগা- পাতলা চেহারা নিয়ে বডি শেমিং তো হয়েছেই। সেই চেহারায় তিনটে বিয়ে করেছেন বলে কপালে জুটেছে তীব্র কটাক্ষও। তার মধ্যে তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বয়সের ফারাক ২৬ বছর। এই ফারাকে আগেও বিয়ে হয়েছে বাঙালি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে। শ্রেষ্ঠ নিদর্শন অভিনেতা দীপঙ্কর দে এবং অভিনেত্রী দোলন রায়। তাঁদের প্রচণ্ড এজ-গ্যাপে বিয়ে। এই নিয়ে হাসি-মস্করা-তামাশার পাত্র হয়েছিলেন। এরকম অভিনেতা আরও আছে। যেমন, অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্য়ায়। প্রথম স্ত্রী দামিনী বেনি বসুর সঙ্গে তাঁর ভালবাসা করে বিয়ে। ১৪ বছরের ব্যবধান ছিল তাঁদের। দামিনীর সঙ্গে বিয়েটা টেকেনি সুদীপের। তারপর তিনি বিয়ে করেছেন এক নৃত্যশিল্পীকে। সেই স্ত্রী এবং দুই পুত্রকে নিয়ে সুখে সংসার করছেন সুদীপ।
টানা-টানা চোখ, নাচে পারদর্শী পৃথা চক্রবর্তীকে এক নাচের অনুষ্ঠানে প্রথম দেখেছিলেন সুদীপ। তাঁর পটলচেরা চোখ দেখে আকৃষ্ট হয়েছিলেন প্রথমে। তারপর দেখলেন পৃথা তাঁকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন ফেসবুকে। এমন তো কত ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টই পান সুদীপ! কিন্তু ওই টানা-টানা চোখের সুন্দরীর থেকে নজর সরেনি। প্রোফাইল পিকচার দেখেই চিনে নিয়েছিলেন মঞ্চের সেই সুন্দরী নৃত্যশিল্পীই তাঁকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন। সেই সময় তিনি ডিভোর্স। অভিনেত্রী দামিনী বেনি বসুর সঙ্গে ছাড়াছাড়িটা হয়েই গিয়েছে।
সম্প্রতি ‘বঁধুয়া’ সিরিয়ালে সুদীপ এক সাংঘাতিক খারাপ লোকের চরিত্রে অভিনয় করছেন। সেই চরিত্রটির সঙ্গে যে চরিত্রটির প্রেম দেখানো হচ্ছে, তার সঙ্গে বয়সের ফারাক ১৪ বছর। সিরিয়ালে অসম বয়সের প্রেম দেখানো হচ্ছে! এ ব্যাপারে সুদীপ হাসতে-হাসতে TV9 বাংলাকে বললেন, “আমার কাছে বয়সটা কেবলই একটা নম্বরমাত্র। ওটায় কিস্সু যায় আসে না। সিরিয়ালে ১৪ বছরের গ্যাপ দেখানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে আমার স্ত্রীর সঙ্গে আমার বয়সের ফারাক আরও বেশি। প্রায় ২৪-২৫ বছর। সেটা নিয়ে কী বলবেন! একটা সময় অনেক কথা শুনেছি। অনেক লোকে অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু আমরা কেউই পাত্তা দিইনি ব্যাপারটাকে। এগুলোয় সত্যিই কিছু যায় আসে না।”
সুখে সংসার করছেন সুদীপের। তিনিও শিল্পী, তাঁর স্ত্রীও। কিন্তু দু’জনের শিল্প-প্রদর্শনের ক্ষেত্র সম্পূর্ণ আলাদা। সুদীপের কাজ ক্যামেরার সামনে কিংবা পিছনে (অভিনেতা পরিচালনাতেও পটু)। তাঁর স্ত্রী পৃথা কিন্তু নিজের সুনাম তৈরি করেছেন মঞ্চেই। অন্য দিকে সুদীপের প্রাক্তন স্ত্রী দামিনী বেনি বসু অভিনেত্রী। তাঁর সঙ্গে যদি ভবিষ্যতে কখনও অভিনয় করার সুযোগ আসে, কী করবেন সুদীপ? একটুও না ভেবে অভিনেতা বলেছেন, “অভিনয় করব। আমি তো পিছিয়ে আসব না। আমার সঙ্গে ব্যক্তিজীবনে যাই হয়ে থাক বেনির, আমি ওকে শিল্পী হিসেবে এবং মানুষ হিসেবে খুবই সম্মান করি। আমি তো ওর অভিনয়ের ক্লাসের ফাস্ট ব্যাচের স্টুডেন্টও।”
ড্যাশিং, সুদর্শন এবং দরাজ কণ্ঠের অধিকারী সুদীপ নাকি কোনওদিনও কোনও মহিলাকে প্রেম প্রস্তাব দিতেই পারেননি? যত প্রস্তাব পেয়েছেন সবই অল্প বয়সি মেয়েদের থেকে। বলেছেন, “আমি প্রেম প্রস্তাব দিতে খুব ভয় পেতাম। আমি আসলে খুবই ভিতু এবং লাজুক। মার খাওয়া এবং রিজেক্টেড হওয়ার ভয়ে কোনওদিনও কোনও মহিলার দিকে ঝুঁকিনি। দামিনীও আমার কাছে প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল, পৃথাও… আমি এগোতে পারিনি নিজে থেকে…।”