হিয়ার বাবা মেনেই নিল না বিষয়টা, পিতার অমতেই এমন করলেন অভিনেত্রী
Hiya Mukherjee: বিভিন্ন ব়্যাম্প শোতে, পত্র-পত্রিকায় 'গীতা এলএলবি'র বড়-বড় ছবি বের হত। তাঁর এই গ্ল্যামারের পেশা একেবারেই পছন্দ করতেন না বাবা। মেয়েকে নিয়ে ছিল তাঁর অনেক স্বপ্ন। তিনি চেয়েছিলেন মেয়ে লেখাপড়া করুক। অ্যাকাডেমিক্সে কিছু একটা করুক। কিন্তু হিয়ার মন টেনেছিল অভিনয় গ্ল্যামারকে।
অভিনেত্রী হিয়া মুখোপাধ্যায়। বাংলা সিরিয়াল ‘গীতা এলএলবি’তে তাঁকে দেখা যায় দাপুটে নায়িকা গীতার চরিত্রে। এই গীতা যে-সে মেয়ে নয়। তিনি ভীষণই প্রতিবাদী। আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন বটে। তবে দুষ্টুলোকদের ধোলাই দিতেও পিছপা হন না। গীতার সংলাপ, “কোর্টের ভিতর আমার মুখ চলে আর কোর্টের বাইরে হাত”। এই গীতা ওরফে অভিনেত্রী হিয়া মুখোপাধ্যায় ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেলিং বিয়ে। দারুণ একটি মডেল ছিলেন তিনি। বিভিন্ন ব়্যাম্প শোতে, পত্র-পত্রিকায় তাঁর বড়-বড় ছবি বের হত। তাঁর এই গ্ল্যামারের পেশা একেবারেই পছন্দ করতেন না বাবা। মেয়েকে নিয়ে ছিল তাঁর অনেক স্বপ্ন। তিনি চেয়েছিলেন মেয়ে লেখাপড়া করুক। অ্যাকাডেমিক্সে কিছু একটা করুক। কিন্তু হিয়ার মন টেনেছিল অভিনয় গ্ল্যামারকে।
তারপর আস্তে-আস্তে অভিনয় জগৎ থেকে সরে আসতে শুরু করেন হিয়া। বাবার সঙ্গে দীর্ঘদিন বাক্যালাপ বন্ধ ছিল অভিনেত্রীর। কেবলমাত্র অভিনেত্রীর মা ছিলেন পাশে। মায়ের সমর্থন এবং উৎসাহেই হিয়া ধীরে-ধীরে অভিনয় জগতের মধ্যে নিজেকে বিলিয়ে দিতে শুরু করেন। অবশেষে তাঁর কাছে আসে ‘গীতা এলএলবি’ সিরিয়ালের অফার। রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।
আর তাঁর বাবা? হিয়া বলেছিলেন, “এখন আমার বাবা আমাকে এবং আমার এই পেশাকে মেনে নিয়েছেন। তিনি আমার জন্য ভীষণ গর্বিত। বাবাকে গর্বিত করতে পেরে আমার নিজের ভীষণ ভাল লাগছে। আশা করি তাঁকে আমি আরও আনন্দ দিতে পারব আগামীদিনেও। এখন বাবা মায়ের সঙ্গে বসে আমার সিরিয়াল দেখেন। এটা আমার কাছে বিরাট বড় পাওয়া।” ছলছল চোখে অভিনেত্রী বলেছেন, “আমার বাবা-মা যদি খুশি থাকেন, তা হলেই আমার আনন্দ। আমার আর কিচ্ছু চাই না।”