AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘কে তোর বাবা’! ঋয়ের জীবন তছনছ করেছে সুন্দরী মায়ের দুই বিয়ে

EXCLUSIVE Rituparna Sen-Rii: ছোটবেলায় স্কুলে সহপাঠীদের থেকে নিত্যদিন কু-কথা শুনতে হয়েছে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনকে। ক্লাসমেটরা তাঁকে জিজ্ঞেস করত বাবার পরিচয়। মায়ের দুটো বিয়ে থাকার মাশুল শৈশবে দিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। ভীষণ একটা খারাপ সময় দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, "আমি বাবাকে মিস করি না।"

'কে তোর বাবা'! ঋয়ের জীবন তছনছ করেছে সুন্দরী মায়ের দুই বিয়ে
ঋতুপর্ণা সেন।
| Updated on: Jun 09, 2024 | 4:25 PM
Share

ব্রোকেন পরিবারের সন্তান ঋ। মায়ের দুটি বিয়ে। বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ ছোট্ট মেয়ে কিংবা ছেলের বেড়ে ওঠায় যে কতভাবে প্রভাব ফেলতে পারে, তার জলজ্যান্ত উদাহরণ অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেন। আজও মনের গহনে তাঁর লুকিয়ে রয়েছে অপূর্ণতার হাহাকার। মায়ের দুটো বিয়ে নিয়ে জানেন কি বলেছেন অভিনেত্রী? ঋ মানেই এক আবেদন। ‘গান্ডু: দ্য লুজ়ার’ এবং ‘কসমিক সেক্স’-এর সেই অভিনেত্রী, যাঁর দেহপট আগুন ধরিয়ে দিয়েছে পুরুষদের হৃদয়ে। জানেন কি, ঋ-এর ছোটবেলা এক্কেবারেই মধুর ছিল না। অসম্ভব সুন্দরী (ঋ নিজে মুখে বলেছেন) মায়ের দুটি বিয়ে তাঁর গোটা শৈশবটাই তছনছ করে ছেড়েছে। স্কুলে পড়ার সময় নানা কটু-কথা শুনেছেন এই অভিনেত্রী।

‘কসমিক সেক্স’ ছবিতে অজস্র যৌন আবেদনে ঠাসা দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন ঋ। ছিল তাঁর ফ্লন্টাল নিউডিটিও। ছবিতে তাঁর সংলাপ, ‘বাবা গো’ আজও ভুলতে পারে না অসংখ্য পুরুষ। ঋ প্রসঙ্গে উঠলেই ঠোঁটের কোনও ‘বাবা গো’ বলে ওঠেন তাঁরা। ফ্ল্যাশব্যাকে ভেসে আসে নগ্ন ঋয়ের সেই সম্মোহন। সেই ঋ-এর জীবনে ‘বাবা’ শব্দটা খুবই ম্লান। মায়ের দুটি বিয়ে থাকা সত্ত্বেও, তাঁদের ভূমিকা সেই ভাবে উল্লেখযোগ্য নয় নায়িকার জীবনে। অভিনেত্রী বলেছেন, “আমি কিন্তু বাবাকে মিস করি না।”

ঋ-এর মা ছিলেন অসম্ভব সুন্দরী। ঋ এবং তাঁর দাদাকে প্রায় একা হাতেই তিনি বড় করে তুলেছেন। আজ তিনি আর আমাদের মধ্যে নেই। দু’বছর আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে হঠাৎই। মায়ের মৃত্যু এক্কেবারে একা করে দিয়েছে ঋ-কে। মাকে জড়িয়েই ছিল তাঁর জীবন। তবে সেই মায়ের দুটো বিয়ে থাকার কারণে খুবই সমস্যায় মোড়া শৈশব ছিল ঋ-এর। অভিনেত্রীর সাফ বক্তব্য, ইচ্ছা করে কেউ জীবনে দু’বার বিয়ে করে না। তাঁর মা-ও করেননি। সাম্প্রতিককালে অনেক তারকাই ৩-৪টে বিয়ে করে ট্রোলিংয়ের শিকার হয়েছেন। ঋ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই বলেছেন, “মা যদি লোকজনের ৩-৪টে বিয়ে দেখে যেতে পারতেন, খুব খুশি হতেন। মা মনে করতেন, যেটা তিনি করেছিলেন, তা হয়তো সমাজের নজরে ঠিক কাজ নয়। এর জন্য আমাদেরও অনেককিছু সহ্য করতে হয়েছে।”

মায়ের দুটো বিয়ে থাকার কারণে ঠিক কী-কী সহ্য করতে হয়েছিল ঋ-কে? আজ আর বলতে দ্বিধা নেই অভিনেত্রীর। বলেছিলেন, “আমাকে স্কুলে (সাউথ পয়েন্ট স্কুলে পড়তেন ঋ) ক্লাসমেটরা জিজ্ঞেস করত, এই তোর বাবার নামটা কী রে? আগের বাবা বলব, নাকি পরের বাবা বলব? তখনকার দিনের বাচ্চারা কত নিষ্টুর দেখুন, কত ক্রুয়েল! হয়তো তাঁদের বাড়ি থেকে এগুলো শিখিয়ে দিত।”

মায়ের দুটো বিয়ে থাকলেও, নিজের এবং সৎ–এই দুই বাবার সঙ্গেই দারুণ সুসম্পর্ক বজায় রাখতেন অভিনেত্রী। খুবই ভাল সম্পর্ক ছিল তাঁর দুই বাবার সঙ্গেই। সৎ বাবাকে ‘বাবু’ বলে ডাকতেন ঋ। গল্পের ছলে অভিনেত্রী এ কথাও স্বীকার করে নিয়েছিলেন, শেষের দিকে সৎ বাবা ‘বাবু’র সঙ্গে সমস্যা হয়েছে তৈরি হয়েছিল তাঁর। অভিনেত্রী দুর্ব্যবহারও করেছেন তাঁর সঙ্গে। কর্মফলে বিশ্বাসী ঋ তারপর বলেন, “সেই দুর্ব্য়বহারটা কিন্তু আমি ফেরত পারছি এখন। আমার এই নিঃসঙ্গতা হয়তো সেই কারণেই।”

দুই বাবা এবং মা, তাঁরা এখন কেউ নেই এই পৃথিবীতে। সকলেই ইহলোকের মায়া কাটিয়ে পরপারে চলে গিয়েছেন। ঋ সম্পূর্ণ একলা এখন। এ দিন গল্পের ছলে ঋ বলেছিলেন, “আমি হয়তো বাবার ভালবাসা বেশিদিন পাইনি, কিন্তু আমার মা আমাকে পুরোটা ভরিয়ে দিয়েছেন। আমি কিন্তু বাবাকে মিস করি না।”